BN/Prabhupada 0140 - একটা পথ ধার্মিক একটি পথ অধার্মিক, তৃতীয় পথ নেই

Revision as of 09:55, 3 December 2021 by Soham (talk | contribs)
(diff) ← Older revision | Latest revision (diff) | Newer revision → (diff)


Lecture on SB 6.1.45 -- Laguna Beach, July 26, 1975

এই হচ্ছে কৃষ্ণ ভাবনামৃত আন্দোলন। আমরা মানুষকে শিক্ষা দিচ্ছি যে আপনি প্রত্যেক জন্মে বারবার দুঃখ পাচ্ছ। এখন মানুষের সমাজ এমন একটি অবস্থানে এসেছে যে তারা জানেই না যে এই জীবনের পরে জীবন আছে। তারা খুব উন্নত হয়ে গেছে। ঠিক এই বিড়াল এবং কুকুরের মতো, তারা জানেন না যে জীবনের পরেও জীবন আছে। যেটা এখানে বিবৃত করা হয়েছেঃ যেন যাবান যথাধর্ম ধর্ম বিহ সমীহিত। ইহ,ইহ মানে "এই জন্মে।" স এব তৎ ফলম ভুঙ্কতে তথা তাবৎ অমুত্রভি (শ্রীমদ্ভাগবত 6.1.45)। অমুত্রভি মানে "পরবর্তী জীবন" সুতরাং আমরা পরবর্তী জীবনের জন্য তৈরী হই এইভাবে। যথা অধর্ম, যথা ধর্ম। সেখানে দুটো জিনিসঃ আপনি ধর্মীয় বা অধর্মীয় কাজ করতে পারেন। কোন তৃতীয় পথ নেই। এক পথ ধার্মিক; আর একটি পথ অধার্মিক। তাই এখানে উভয় উল্লেখ করা হয়েছে। যেন যাবান যথাধর্ম, ধর্ম। ধর্ম মানে সাংবিধানিক। ধর্মের অর্থ এই নয় যে, এটি ইংরেজী অভিধানের কিছু অংশে উল্লেখ করা হয়েছে, "এক প্রকার বিশ্বাস।" বিশ্বাস অন্ধ হতে পারে এটা ধর্ম নয়। ধর্ম মানে মূল, সাংবিধানিক অবস্থান। এটা ধর্ম। আমি কয়েকবার বলেছি ... ঠিক যেমন জল। জল হচ্ছে তরল। এটা তার ধর্ম। জল, যদিও সাময়িকভাবে এটি কঠিন হতে পারে, বরফ, কিন্তু তবুও, এটি আবার তরল হওয়ার চেষ্টা করে কারণ এটি তার ধর্ম। আপনি বরফ রাখুন, এবং ধীরে ধীরে এটি তরল হয়ে যাবে। এর মানে হল এই জলের কঠিন অবস্থা কৃত্রিম। কিছু রাসায়নিক গঠন দ্বারা জল কঠিন হয়ে গেছে, কিন্তু স্বাভাবিকভাবে এটি তরল হয়ে যায়।

তাই আমাদের বর্তমান অবস্থানটি দৃঢ়: "ভগবান বিষয়ে কিছু শুনতে চাই না।" কিন্তু প্রাকৃতিক অবস্থান হল যে আমরা ভগবানের দাস। কারণ আমরা মালিক খুঁজছি ... শ্রেষ্ঠ মালিক হচ্ছে কৃষ্ণ। ভোক্তারাং যজ্ঞ-তপস্যাং সর্ব লোক মহেশ্বরম (ভ.গী. ৫.২৯) কৃষ্ণ বলেছেন, "আমি সমগ্র সৃষ্টির মালিক। আমি হচ্ছি ভোক্তা।" তিনি মালিক। চৈতন্য চরিতামৃতে বলা হয়েছে, একেলা ঈশ্বর কৃষ্ণ (চৈ চ ৫.১৪২)। ঈশ্বর মানে নিয়ন্তা অথবা মালিক। একেলা ঈশ্বর কৃষ্ণ আর সব ভৃত্য (চৈ চ ৫.১৪২)। কৃষ্ণ ছাড়া, তারা কোনও বড় বা ছোট জীব সত্ত্বা, তারা সকলে দাস, কৃষ্ণ ব্যতীত।" আপনি তাই দেখতে পাবেনঃ কৃষ্ণ কাউকে সেবা করেন না। তিনি কেবল উপভোগ করেন। ভোক্তারাং যজ্ঞ-তপস্যাং সর্ব লোক... আমাদের মত অন্যরা, তারা সব আগে খুব কঠিন কাজ করে, এবং তারপর ভোগ করে। কৃষ্ণ কখনো কাজ করেন না। ন তস্য কার্যম করনাম চ বিদ্যতে। এখনও, তিনি ভোগ করেন। তিনি কৃষ্ণ। ন তস্য...এটি বৈদিক তথ্য। ন তস্য কার্যম করনাম চ বিদ্যতেঃ "ভগবান, কৃষ্ণ, তার কিছু করার নেই। অতএব, আপনারা দেখেন যে, কৃষ্ণ সবসময় গোপীদের সাথে নাচছে এবং গাভী ও ছেলেদের সাথে খেলা করছে। এবং যখন তিনি ক্লান্তি বোধ করেন, তিনি যমুনাতে শুয়ে পরেন এবং অবিলম্বে তার বন্ধুরা আসেন। কেউ কেউ তাকে পাখা করে; কেউ মালিশ করে। তাই তিনি মালিক। যেখানেই তিনি যাক, তিনি মালিক। একেলা ঈশ্বর কৃষ্ণ। ঈশ্বর পরমঃ কৃষ্ণ (ব্র.সং। ৫.১) সর্বোচ্চ নিয়ন্তা হচ্ছে কৃষ্ণ। "তাহলে নিয়ন্তা কে?" না, তার কোন নিয়ামক নেই। এই হচ্ছে কৃষ্ণ। এখানে আমরা যেমন পরিচালক এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি আছেন, কিন্তু আমি সুপ্রিম নিয়ন্ত্রক নই। যখনই জনতা চাইবে, অবিলম্বে আমাকে নিচে নামাতে পারে। যেটা আমরা বুঝতে পারছি না, আমরা নিজেদেরকে মালিক নিয়ামক হিসাবে প্রস্তুত করছি, কিন্তু আমি অন্য কারো দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। তাই তিনি নিয়ন্ত্রক নয়। এখানে আমরা কিছু নিয়ন্ত্রক পাব, কিন্তু তিনি অন্য নিয়ন্ত্রক দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে। সুতরাং কৃষ্ণ মানে তিনি নিয়ন্ত্রক, কিন্তু কেউ তাকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন না। এই হচ্ছে কৃষ্ণ; এই হচ্ছে ভগবান। এটা বোঝার বিজ্ঞান। ভগবান মানে তিনি সবকিছুর নিয়ামক, কিন্তু তার কোন নিয়ামক নেই।