BN/Prabhupada 0171 - ভালো সরকারের কথা ভুলে যান লক্ষ লক্ষ বছরের জন্য, যতক্ষন ...

Revision as of 02:39, 4 December 2021 by Soham (talk | contribs)
(diff) ← Older revision | Latest revision (diff) | Newer revision → (diff)


Lecture on SB 1.2.28-29 -- Vrndavana, November 8, 1972

তাই বর্ণাশ্রম অনুযায়ী, অবশ্যই প্রশিক্ষণ প্রয়োজন। কিছু শ্রেণীর পুরুষদের ভাল ব্রাহ্মণ হিসাবে প্রশিক্ষিত করা আবশ্যক। কিছু লোককে ভাল ক্ষত্রিয় হিসাবে প্রশিক্ষণ দেওয়া উচিত। কিছু লোককে ভাল বৈশ্য হিসেবে প্রশিক্ষণ দেওয়া উচিত। এবং শুদ্রর কিছু প্রয়োজন নেই...প্রত্যেকে শুদ্র, জন্মনা জায়তে শুদ্র। জন্ম অনুযায়ী প্রত্যেকে শুদ্র। সংস্কারাদ ভবেৎ দ্বিজ। প্রশিক্ষন দ্বারা, একজন বৈশ্য হতে পারে, একজন ক্ষত্রিয় হতে পারে, একজন ব্রাহ্মণ হতে পারে। প্রশিক্ষণ কোথায়? সকলে শুদ্র। এবং কিভাবে আপনি ভাল সরকার হতে পারেন, শুদ্র সরকার? সমস্ত শূদ্ররা যে করেই হোক ভোট নিচ্ছে। এবং তারা সরকারি পদ দখল করছে। অতএব তাদের একমাত্র ব্যবসা হল ..., কলি, এই যুগে বিশেষ করে, ম্লেচ্ছ রাজেন্য রূপিন, খাওয়া-পান করা, মাংস খাওয়া, মদ পান করা। ম্লেচ্ছ, যবন, তারা সরকারি পদ গ্রহণ করছে। কি ভাল সরকার তুমি আশা করতে পার? ভুলে যাও, ভাল সরকারের কথা ভুলে যাও লক্ষ লক্ষ বছরের জন্য, যতক্ষণ বর্ণাশ্রম ধর্ম স্থাপন না হচ্ছে। ততক্ষণ ভাল সরকারের কোন প্রশ্ন নেই। প্রথম শ্রেণীর ক্ষত্রিয় যে সরকারের দায়িত্ব গ্রহণ করেন, যেমন পরিক্ষিৎ মহারাজ। তিনি বেরিয়ে ছিলেন, এবং যখনই তিনি দেখলেন একটি কৃষ্ণাঙ্গ মানুষ একটি গাভীকে হত্যা করার চেষ্টা করছে, সঙ্গে সঙ্গে তিনি অস্ত্র নিলেনঃ" কে তুই বদমাশ এখানে?" এই হচ্ছে ক্ষত্রিয়। এই হচ্ছে বৈশ্য যে গাভীকে রক্ষা করবেন। কৃষি-গো-রক্ষ্য-বাণিজ্য বৈশ্যকর্ম-স্বভাবজম্‌ (ভ.গী ১৮.৪৪) সবকিছু এখানে পরিষ্কার। সংস্কৃতি কোথায়?

তাই এই কৃষ্ণভাবনামৃত আন্দোলন এতোই গুরুত্বপূর্ণ। সমাজের নেতারা, তাদের উচিত অত্যন্ত গুরুতর মনোযোগ সহকারে গ্রহণ করা। কিভাবে এই বিশ্বের সামাজিক অবস্থার উন্নতি করা যায়। শুধু এখানে নয়, সব জায়গায়। শুধু অজ্ঞতা ও বিভ্রান্তিতে চলছে, সবকিছু। অস্পষ্ট, কোন স্পষ্ট ধারণা নেই। এখানে স্পষ্ট ধারণা রয়েছে: বাসুদেব-পরা বেদা (শ্রীমদ্ভাগবত ১.২.২৮-২৯)। বেদ, জ্ঞান, আপনারা শিক্ষিত মানুষ, কিন্তু মানুষদেরকে বাসুদেব, কৃষ্ণ সম্বন্ধে শেখানোর শিক্ষা কোথায়? ভগবদ-গীতাকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। বাসুদেব এতে নিজের সম্পর্কে বলছেন, কিন্তু তা নিষিদ্ধ। এবং যদি কেউ পড়ে, কিছু মূর্খ পড়ছে, তারা বাসুদেবকে বাদ দিয়ে। ব্যাস্‌। কৃষ্ণকে বাদ দিয়ে ভগবৎ-গীতা আজকাল এইরকমই চলছে। পুরোটাই বাজে। একটা মূর্খদের সমাজে তুমি মানব সভ্যতা আশা করতে পার না। এটি মানুষের জীবনের বাস্তব উদ্দেশ্যঃ বাসুদেব পরা বেদা, বাসুদের পরা মখাঃ, বাসুদেবা পরা যোগাঃ (শ্রীমদ্ভাগবত ১.২.২৮-২৯)। অনেক যোগী আছেন। আমি পরিষ্কার বলতে পারি, বাসুদেব ছাড়া কেবল নাক টিপে চলেছে। ব্যাস্‌ ওটুকুই। এর নাম যোগ না।