BN/Prabhupada 0172 - প্রকৃত ধর্ম হচ্ছে কৃষ্ণের প্রতি আত্মসমর্পণ করা: Difference between revisions

(Created page with "<!-- BEGIN CATEGORY LIST --> Category:1080 Bengali Pages with Videos Category:Prabhupada 0172 - in all Languages Category:BN-Quotes - 1974 Category:BN-Quotes - L...")
 
No edit summary
 
Line 7: Line 7:
[[Category:BN-Quotes - in India, Vrndavana]]
[[Category:BN-Quotes - in India, Vrndavana]]
<!-- END CATEGORY LIST -->
<!-- END CATEGORY LIST -->
<!-- BEGIN NAVIGATION BAR -- TO CHANGE TO YOUR OWN LANGUAGE BELOW SEE THE PARAMETERS OR VIDEO -->
<!-- BEGIN NAVIGATION BAR -- DO NOT EDIT OR REMOVE -->
{{1080 videos navigation - All Languages|French|FR/Prabhupada 0171 - Pas question de bon gouvernement sans varnashram-dharma|0171|FR/Prabhupada 0173 - Nous voulons êtres des amis pour tout le monde|0173}}
{{1080 videos navigation - All Languages|Bengali|BN/Prabhupada 0171 - ভালো সরকারের কথা ভুলে যান লক্ষ লক্ষ বছরের জন্য, যতক্ষন ...|0171|BN/Prabhupada 0173 - আমরা সবার বন্ধু হতে চাই|0173}}
<!-- END NAVIGATION BAR -->
<!-- END NAVIGATION BAR -->
<!-- BEGIN ORIGINAL VANIQUOTES PAGE LINK-->
<!-- BEGIN ORIGINAL VANIQUOTES PAGE LINK-->
Line 18: Line 18:


<!-- BEGIN VIDEO LINK -->
<!-- BEGIN VIDEO LINK -->
{{youtube_right|P7KF_EIdcgc|প্রকৃত ধর্ম হচ্ছে কৃষ্ণের প্রতি আত্মসমর্পণ<br />- Prabhupāda 0172}}
{{youtube_right|P7KF_EIdcgc|প্রকৃত ধর্ম হচ্ছে কৃষ্ণের প্রতি আত্মসমর্পণ করা<br />- Prabhupāda 0172}}
<!-- END VIDEO LINK -->
<!-- END VIDEO LINK -->


Line 30: Line 30:


<!-- BEGIN TRANSLATED TEXT -->
<!-- BEGIN TRANSLATED TEXT -->
যেটা ধর্ম, কৃষ্ণকে আত্মসমর্পণ করা। অন্যভাবে শ্রীমদ্ভাগবতমে বলা হয়েছে, ধর্ম প্রজ্জিত কৈতব অত্র ([[Vanisource:SB 1.1.2|শ্রী.ভা.১.১.২]]) সমস্ত প্রতারণামূলক ধর্মীয় ব্যবস্থা ভাগবত থেকে ফেলে দেওয়া হয়েছে, শ্রীমদ্ভাগবতম থেকে। ফেলে দিয়েছে, প্রজঝিততা। সর্ব্বোচ্চের অন্তর্গত হওয়ার জন্য, ভগবান হয়ে উঠতে, ভগবানের অবতার হতে - এই ধরনের ধর্মীয় ব্যবস্থা খুব কঠোরভাবে শ্রীমদ-ভাগবত থেকে ফেলে দেওয়া হয়েছে। কারণ তারা ধার্মিক নয়। সত্য ধর্ম কৃষ্ণকে আত্মসমর্পণ করা। অতএব বলা হয়, তৎ তৎ সাক্ষাদ ভগবান উদিতাম। যদি আপনি অভিগমন করেন পরম পুরুষ ভগবানের সাথে যোগাযোগ করতে চান তাহলে, আপনি পরম পুরুষ ভগবানের আদেশ মেনে চলতে হবে। কিন্তু তাদের কোন ধারণা নেই যে পরম পুরুষ ভগবান কে, তাঁর আদেশ কী, আমাদের সঙ্গে তার সম্পর্ক কী? এই জিনিস অজানা। এটি কেবলমাত্র জানা যায়, আমি বলতে চাচ্ছি, ভক্তরা। ভক্তদের কেন এটি একচেটিয়া ভাব? এগুলিও ভগবৎ-গীতাতে উল্লিখিত হয়েছে, ভক্তা মাম অভিজানাতি যাবান যস্যাস্মি তত্ত্বত ([[Vanisource:BG 18.55|ভ.গী. ১৮.৫৫]]) যদি আপনি জানতে চান ভগবান কি, কৃষ্ণ কি, তাহলে আপনাকে এই ভক্তি-মার্গ, অথবা ভক্তিমূলক মাধ্যমে যেতে হবে ... অন্য কোন উপায় নেই। কৃষ্ণ কখনোই বলে না যে তিনি তথাকথিত ফটকামূলক জ্ঞানের ধারণা বা চাষের মাধ্যমে পরিচিত হতে পারেন। না। তারপর তিনি বলেন, "জ্ঞানের মাধ্যমে কেউ আমাকে বুঝতে পারেন।" না। কোনও কর্মের দ্বারা না, যোগের দ্বারাও বুঝতে পারেন না। এটি শাস্ত্রে অনেক জায়গায় বিভিন্ন স্থানে ব্যাখ্যা করা হয়েছে। শুধু ভক্তি শুধু ভক্তি। এবং এটি আধ্যাত্মিক মাস্টারের কাজ, অথবা মহাত্মা, ভক্তি মতবাদ বিস্তার করেন। যেটি সবচেয়ে গোপনীয় ... যেটি সবচেয়ে করুণাময় মানবিক ক্রিয়াকলাপ। কারণ মানুষ এই জ্ঞান অন্বেষণের জন্য কষ্ট করে। অতএব আমাদের কৃষ্ণ ভাবনামৃত আন্দোলন একমাত্র আন্দোলন - আমি খুব গর্বের সাথে ঘোষণা করতে পারি - যা আসলে মানব সমাজের কিছু উপকার করতে পারে। এটাই একমাত্র আন্দোলন। অন্যসব ভোগাস আন্দোলন, আমি ঘোষণা করছি। তাদের আসতে দিন এবং শাস্ত্র অধ্যয়ন করতে দিন এবং নিজেদের জন্য সিদ্ধান্ত নিতে দিন। তারা সব প্রতারণা করছে। শুধুমাত্র এই ভাগবত-ভক্তি। কারন ভক্তিমূলক সেবা প্রক্রিয়া ছাড়া ভগবানকে বুঝতে পারেন না। ভক্তামাম অভিজানাতি যাবান যস্যাস্মি তত্ত্বত ([[Vanisource:BG 18.55|ভ.গী.১৮.৫৫]]) যদি আপনি সত্য জানতে চান, তত্ত্বত ... কৃষ্ণ চায় যে একজন তাকে তত্ত্বত বুঝুক। এইরকম নয় কৃষ্ণকে ভাসাভাসা ভাবে গ্রহণ করবেন, "তিনি গোপীদের খুব পছন্দ করতেন, এবং আমাদেরকে কৃষ্ণের লীলা শুনতে দিন।" কেন কৃষ্ণের গোপী লীলা? কেন কৃষ্ণের লীলায় অসুরদের হত্যা করেন না? যে, মানুষ আগ্রহী না, কৃষ্ণের অসুরদের হত্যা সম্পর্কে শুনতে। কারণ গোপী'লীলায়, এটি নারী ও পুরুষের মধ্যে লেনদেন বলে মনে হয়, এটি খুব দ্রুত আবেদন। কিন্তু কৃষ্ণের অন্যান্য ব্যবসা সেখানে আছে। পরিত্রাণায় সাধুনাম বিনাশায় চ দুষ্কৃতম ([[Vanisource:BG 4.8|ভ.গী ৪.৮]])।সেটাও কৃষ্ণের লীলা। সেটা কৃষ্ণের লীলা। যেমন ভগবান রামচন্দ্র রাবনকে হত্যা করেছিল। এটাও কৃষ্ণের লীলা।ভগবান রামচন্দ্রের লীলা এবং কৃষ্ণের লীলা, সেখানে আছে ... সুতরাং আমরা কৃষ্ণের কোনও লীলাকে সুপ্রিম হিসাবে গ্রহণ করা উচিত। যে কেবল সবচেয়ে গোপনীয় নয় ... বৃন্দাবন-লীলা, গোপীদের সঙ্গে কৃষ্ণের লীলা, সবচেয়ে গোপনীয় লীলা। আমরা এই গোপনীয় লীলা পোষণ করা উচিত নয় যদি না আমরা মুক্ত হই... এটা খুব কঠিন বিষয়। এবং কৃষ্ণের লীলা কি তারা বোঝে না, তারা অনুকরণ করে, তারা পতিত হয়। অনেক কিছু আছে আমরা আলোচনা করতে চাই না কিন্তু আমাদের উচিত ... যদি আমরা কৃষ্ণ-লীলাতে অগ্রগতির ব্যাপারে আসলেই গুরুতর হই, তাহলে আমরা প্রথমেই জানতে হবে যে কৃষ্ণ কি, কি তার উদ্দেশ্য, এবং কীভাবে আমরা কাজ করব। তারপর আমরা কৃষ্ণের গোপনীয় লীলার অংশে প্রবেশ করতে পারি। অন্যথায় আমরা ভুল বুঝব এবং পতিত হব।  
যেটা ধর্ম, কৃষ্ণকে আত্মসমর্পণ করা। অন্যভাবে শ্রীমদ্ভাগবতমে বলা হয়েছে, ধর্ম প্রোজ্ঝিত কৈতব অত্র ([[Vanisource:SB 1.1.2|শ্রী.ভা.১.১.২]]) সমস্ত প্রতারণামূলক ধর্মীয় ব্যবস্থা ভাগবত থেকে দূর করে দেওয়া হয়েছে। লাথি মেরে বের করে দেয়া হয়েছে। প্রোজ্ঝিত। ভগবানে লীন হওয়া, ভগবান হওয়া, ভগবানের অবতার হওয়া - এই ধরনের ধর্মীয় ব্যবস্থা খুব কঠোরভাবে ভাগবত থেকে বিতাড়িত করা হয়েছে। কারণ ওসব ধর্ম নয়। প্রকৃত ধর্ম হচ্ছে কৃষ্ণতে আত্মসমর্পণ করা।  
 
অতএব বলা হয়, তৎতৎ সাক্ষাদ্‌ ভগবান উদিতম্‌ ([[Vanisource:SB 1.5.30|শ্রীমদ্ভাগবত ১.৫.৩০]])। যদি তুমি পরমেশ্বর ভগবানকে পেতে চাও, তাহলে তোমাকে অবশ্যই ভগবানের কথা মতো চলতে হবে কিন্তু তাদের কোন ধারণা নেই যে পরম পুরুষ ভগবান কে, তাঁর আদেশ কী, আমাদের সঙ্গে তার সম্পর্ক কী? এই জিনিস অজানা। এটি কেবলমাত্র ভক্তরা জানতে পারেন। এটি কেন কেবল ভক্তদের একচেটিয়া অধিকার? তাও ভগবৎ-গীতাতে উল্লিখিত হয়েছে, ভক্ত্যা মাম্‌ অভিজানাতি যাবান যশ্চাস্মি তত্ত্বত ([[Vanisource:BG 18.55 (1972)|ভ.গী. ১৮.৫৫]]) যদি আপনি জানতে চান ভগবান কি, কৃষ্ণ কি, তাহলে আপনাকে এই ভক্তি-মার্গ, অথবা ভক্তিমূলক মাধ্যমে যেতে হবে ... অন্য কোন উপায় নেই। কৃষ্ণ কখনোই বলেন না যে তিনি তথাকথিত জল্পনা কল্পনার ধারণা বা চর্চার মাধ্যমে তাঁকে জানা যায়। না। তারপর তিনি বলতে পারতেন, "জ্ঞানের মাধ্যমে কেউ আমাকে বুঝতে পারেন।" না। কোনও কর্মের দ্বারা না, যোগের দ্বারাও বুঝতে পারেন না। এটি শাস্ত্রে অনেক জায়গায় বিভিন্ন স্থানে ব্যাখ্যা করা হয়েছে। শুধু ভক্তি। শুধু ভক্তি। এবং এটি আধ্যাত্মিক গুরুর কাজ, অথবা মহাত্মা, তিনি ভক্তি প্রচার করেন। যেটি সবচেয়ে গোপনীয় ... যেটি সবচেয়ে করুণাময় মানবহিতৈষী কাজ। কারণ মানুষ এই জ্ঞানের অভাবে দুঃখভোগ করছে। অতএব আমাদের কৃষ্ণ ভাবনামৃত আন্দোলন একমাত্র আন্দোলন - আমি খুব গর্বের সাথে ঘোষণা করতে পারি - যা আসলে মানব সমাজের কিছু উপকার করতে পারে। এটাই একমাত্র আন্দোলন। অন্যসব ফালতু আন্দোলন, আমি ঘোষণা করছি। ওদের আসতে দিন এবং শাস্ত্র অধ্যয়ন করতে দিন এবং নিজেদের সিদ্ধান্ত নিতে দিন। ওরা সব প্রতারণা করছে। শুধুমাত্র এই ভগবদ্ভক্তি। কারণ ভক্তিমূলক সেবা প্রক্রিয়া ছাড়া কেউ ভগবানকে বুঝতে পারে না। ভক্ত্যা মাম্‌ অভিজানাতি যাবান্‌ যশ্চাস্মি তত্ত্বতঃ ([[Vanisource:BG 18.55 (1972)|ভ.গী.১৮.৫৫]]) যদি আপনি সত্য জানতে চান, তত্ত্বতঃ ... কৃষ্ণ চান যে কেউ তাকে তত্ত্বতঃ বুঝুক। এইরকম নয় কৃষ্ণকে ভাসাভাসা ভাবে গ্রহণ করবেন, "তিনি গোপীদের খুব পছন্দ করতেন, এবং আমাদেরকে কৃষ্ণের লীলা শুনতে দিন।" শ্রীকৃষ্ণের গোপীলীলা কেন? অসুর হত্যা লীলা নয় কেন? ঐসব মানুষ শ্রীকৃষ্ণের অসুর হত্যা লীলা শুনতে আগ্রহী নয়? কারণ গোপীলীলায় যুবক যুবতীর মধ্যে আদানপ্রদান , তাই ওটা মানুষকের বেশি আকর্ষণ করে। কিন্তু শ্রীকৃষ্ণের আরও কাজও আছে পরিত্রাণায় সাধুনাম্‌ বিনাশায় চ দুষ্কৃতাম্‌ ([[Vanisource:BG 4.8 (1972)|ভ.গী ৪.৮]])। সেটাও কৃষ্ণের লীলা। সেটা কৃষ্ণের লীলা। যেমন ভগবান রামচন্দ্র রাবণকে হত্যা করেছিলেন। এটাও কৃষ্ণের লীলা। ভগবান রামচন্দ্রের লীলা এবং কৃষ্ণের লীলা...  
 
সুতরাং আমরা কৃষ্ণের যে কোনও লীলাকে পরম হিসাবে গ্রহণ করা উচিত। এমন না যে কেবল সবচেয়ে গোপনীয় লীলা ... বৃন্দাবন-লীলা, গোপীদের সঙ্গে কৃষ্ণের লীলা, সবচেয়ে গোপনীয় লীলা। আমরা এই গুহ্যতম লীলা নিয়ে বেশি আলোচনা করি না যদি না আমরা মুক্ত পুরুষ না হই। এটা খুব কঠিন বিষয়। এবং কৃষ্ণের লীলা কি তারা বোঝে না, তারা অনুকরণ করে, তারা পতিত হয়। অনেক কিছু আছে আমরা আলোচনা করতে চাই না কিন্তু আমাদের উচিত ... যদি আমরা কৃষ্ণ-লীলাতে অগ্রগতির ব্যাপারে আসলেই ঐকান্তিক হই, তাহলে আমরা প্রথমেই জানতে হবে যে কৃষ্ণ কি, কি তার উদ্দেশ্য, এবং কীভাবে আমরা কাজ করব। তারপর আমরা কৃষ্ণের গোপনীয় লীলার অংশে প্রবেশ করতে পারি। অন্যথায় আমরা ভুল বুঝব এবং পতিত হব।  
<!-- END TRANSLATED TEXT -->
<!-- END TRANSLATED TEXT -->

Latest revision as of 02:48, 4 December 2021



Lecture on SB 1.5.30 -- Vrndavana, August 11, 1974

যেটা ধর্ম, কৃষ্ণকে আত্মসমর্পণ করা। অন্যভাবে শ্রীমদ্ভাগবতমে বলা হয়েছে, ধর্ম প্রোজ্ঝিত কৈতব অত্র (শ্রী.ভা.১.১.২) সমস্ত প্রতারণামূলক ধর্মীয় ব্যবস্থা ভাগবত থেকে দূর করে দেওয়া হয়েছে। লাথি মেরে বের করে দেয়া হয়েছে। প্রোজ্ঝিত। ভগবানে লীন হওয়া, ভগবান হওয়া, ভগবানের অবতার হওয়া - এই ধরনের ধর্মীয় ব্যবস্থা খুব কঠোরভাবে ভাগবত থেকে বিতাড়িত করা হয়েছে। কারণ ওসব ধর্ম নয়। প্রকৃত ধর্ম হচ্ছে কৃষ্ণতে আত্মসমর্পণ করা।

অতএব বলা হয়, তৎতৎ সাক্ষাদ্‌ ভগবান উদিতম্‌ (শ্রীমদ্ভাগবত ১.৫.৩০)। যদি তুমি পরমেশ্বর ভগবানকে পেতে চাও, তাহলে তোমাকে অবশ্যই ভগবানের কথা মতো চলতে হবে কিন্তু তাদের কোন ধারণা নেই যে পরম পুরুষ ভগবান কে, তাঁর আদেশ কী, আমাদের সঙ্গে তার সম্পর্ক কী? এই জিনিস অজানা। এটি কেবলমাত্র ভক্তরা জানতে পারেন। এটি কেন কেবল ভক্তদের একচেটিয়া অধিকার? তাও ভগবৎ-গীতাতে উল্লিখিত হয়েছে, ভক্ত্যা মাম্‌ অভিজানাতি যাবান যশ্চাস্মি তত্ত্বত (ভ.গী. ১৮.৫৫) যদি আপনি জানতে চান ভগবান কি, কৃষ্ণ কি, তাহলে আপনাকে এই ভক্তি-মার্গ, অথবা ভক্তিমূলক মাধ্যমে যেতে হবে ... অন্য কোন উপায় নেই। কৃষ্ণ কখনোই বলেন না যে তিনি তথাকথিত জল্পনা কল্পনার ধারণা বা চর্চার মাধ্যমে তাঁকে জানা যায়। না। তারপর তিনি বলতে পারতেন, "জ্ঞানের মাধ্যমে কেউ আমাকে বুঝতে পারেন।" না। কোনও কর্মের দ্বারা না, যোগের দ্বারাও বুঝতে পারেন না। এটি শাস্ত্রে অনেক জায়গায় বিভিন্ন স্থানে ব্যাখ্যা করা হয়েছে। শুধু ভক্তি। শুধু ভক্তি। এবং এটি আধ্যাত্মিক গুরুর কাজ, অথবা মহাত্মা, তিনি ভক্তি প্রচার করেন। যেটি সবচেয়ে গোপনীয় ... যেটি সবচেয়ে করুণাময় মানবহিতৈষী কাজ। কারণ মানুষ এই জ্ঞানের অভাবে দুঃখভোগ করছে। অতএব আমাদের কৃষ্ণ ভাবনামৃত আন্দোলন একমাত্র আন্দোলন - আমি খুব গর্বের সাথে ঘোষণা করতে পারি - যা আসলে মানব সমাজের কিছু উপকার করতে পারে। এটাই একমাত্র আন্দোলন। অন্যসব ফালতু আন্দোলন, আমি ঘোষণা করছি। ওদের আসতে দিন এবং শাস্ত্র অধ্যয়ন করতে দিন এবং নিজেদের সিদ্ধান্ত নিতে দিন। ওরা সব প্রতারণা করছে। শুধুমাত্র এই ভগবদ্ভক্তি। কারণ ভক্তিমূলক সেবা প্রক্রিয়া ছাড়া কেউ ভগবানকে বুঝতে পারে না। ভক্ত্যা মাম্‌ অভিজানাতি যাবান্‌ যশ্চাস্মি তত্ত্বতঃ (ভ.গী.১৮.৫৫) যদি আপনি সত্য জানতে চান, তত্ত্বতঃ ... কৃষ্ণ চান যে কেউ তাকে তত্ত্বতঃ বুঝুক। এইরকম নয় কৃষ্ণকে ভাসাভাসা ভাবে গ্রহণ করবেন, "তিনি গোপীদের খুব পছন্দ করতেন, এবং আমাদেরকে কৃষ্ণের লীলা শুনতে দিন।" শ্রীকৃষ্ণের গোপীলীলা কেন? অসুর হত্যা লীলা নয় কেন? ঐসব মানুষ শ্রীকৃষ্ণের অসুর হত্যা লীলা শুনতে আগ্রহী নয়? কারণ গোপীলীলায় যুবক যুবতীর মধ্যে আদানপ্রদান , তাই ওটা মানুষকের বেশি আকর্ষণ করে। কিন্তু শ্রীকৃষ্ণের আরও কাজও আছে পরিত্রাণায় সাধুনাম্‌ বিনাশায় চ দুষ্কৃতাম্‌ (ভ.গী ৪.৮)। সেটাও কৃষ্ণের লীলা। সেটা কৃষ্ণের লীলা। যেমন ভগবান রামচন্দ্র রাবণকে হত্যা করেছিলেন। এটাও কৃষ্ণের লীলা। ভগবান রামচন্দ্রের লীলা এবং কৃষ্ণের লীলা...

সুতরাং আমরা কৃষ্ণের যে কোনও লীলাকে পরম হিসাবে গ্রহণ করা উচিত। এমন না যে কেবল সবচেয়ে গোপনীয় লীলা ... বৃন্দাবন-লীলা, গোপীদের সঙ্গে কৃষ্ণের লীলা, সবচেয়ে গোপনীয় লীলা। আমরা এই গুহ্যতম লীলা নিয়ে বেশি আলোচনা করি না যদি না আমরা মুক্ত পুরুষ না হই। এটা খুব কঠিন বিষয়। এবং কৃষ্ণের লীলা কি তারা বোঝে না, তারা অনুকরণ করে, তারা পতিত হয়। অনেক কিছু আছে আমরা আলোচনা করতে চাই না কিন্তু আমাদের উচিত ... যদি আমরা কৃষ্ণ-লীলাতে অগ্রগতির ব্যাপারে আসলেই ঐকান্তিক হই, তাহলে আমরা প্রথমেই জানতে হবে যে কৃষ্ণ কি, কি তার উদ্দেশ্য, এবং কীভাবে আমরা কাজ করব। তারপর আমরা কৃষ্ণের গোপনীয় লীলার অংশে প্রবেশ করতে পারি। অন্যথায় আমরা ভুল বুঝব এবং পতিত হব।