BN/Prabhupada 0173 - আমরা সবার বন্ধু হতে চাই: Difference between revisions

(Created page with "<!-- BEGIN CATEGORY LIST --> Category:1080 Bengali Pages with Videos Category:Prabhupada 0173 - in all Languages Category:BN-Quotes - 1975 Category:BN-Quotes - L...")
 
No edit summary
 
Line 7: Line 7:
[[Category:BN-Quotes - in India, Vrndavana]]
[[Category:BN-Quotes - in India, Vrndavana]]
<!-- END CATEGORY LIST -->
<!-- END CATEGORY LIST -->
<!-- BEGIN NAVIGATION BAR -- TO CHANGE TO YOUR OWN LANGUAGE BELOW SEE THE PARAMETERS OR VIDEO -->
<!-- BEGIN NAVIGATION BAR -- DO NOT EDIT OR REMOVE -->
{{1080 videos navigation - All Languages|French|FR/Prabhupada 0172 - La vrai religion est de s’abandonner à Krishna|0172|FR/Prabhupada 0174 - Chaque être vivant est un enfant de Dieu|0174}}
{{1080 videos navigation - All Languages|Bengali|BN/Prabhupada 0172 - প্রকৃত ধর্ম হচ্ছে কৃষ্ণের প্রতি আত্মসমর্পণ করা|0172|BN/Prabhupada 0174 - প্রত্যেক জীব ভগবানের সন্তান|0174}}
<!-- END NAVIGATION BAR -->
<!-- END NAVIGATION BAR -->
<!-- BEGIN ORIGINAL VANIQUOTES PAGE LINK-->
<!-- BEGIN ORIGINAL VANIQUOTES PAGE LINK-->
Line 18: Line 18:


<!-- BEGIN VIDEO LINK -->
<!-- BEGIN VIDEO LINK -->
{{youtube_right|EjueL25FlOU|আমরা সবার বন্ধু হতে চাই<br />Prabhupāda 0173}}
{{youtube_right|EjueL25FlOU|আমরা সবার বন্ধু হতে চাই<br /> - Prabhupāda 0173}}
<!-- END VIDEO LINK -->
<!-- END VIDEO LINK -->


Line 30: Line 30:


<!-- BEGIN TRANSLATED TEXT -->
<!-- BEGIN TRANSLATED TEXT -->
তাই আমাদের ভগবদ গীতা অথবা শ্রীমদ্ভাগবতম থেকে জ্ঞান গ্রহণ করতে হবে। কৃষ্ণে পরম পুরুষে ভক্তির উৎপাদয়েত। যদি তুমি শ্রীমদ্ভাগবতম... অবশ্যই, যদি আপনি বুঝতে না পারেন যে কৃষ্ণের মৌলিক নীতি বা পরিপূর্ণতার মৌলিক নীতি কি ... শুরুতে শ্রীমদ্ভাগবতমে এ বর্ণিত হয়েছে। ধর্ম প্রঝঝিত-কৈতব অত্র পরম নির্মৎসরং ([[Vanisource:SB 1.1.2|শ্রী.ভা.১.১.২]]) এখানে শ্রীমদ্ভাগবতমে তথাকথিত উৎপাদিত ধর্ম পদ্ধতি লাথি মেরে ফেলে দেওয়া হয়েছে। এর অর্থ পরমহংসের জন্য। নির্মসরনং। নির্মসর মানে একজন যে হিংসা করবে না। তাই আমাদের হিংসা, আমাদের ঈর্ষা কৃষ্ণ থেকে শুরু হয়েছে, আমরা কৃষ্ণকে গ্রহণ করি না। বেশিরভাগ তারা বলে, "কেন কৃষ্ণ কেবলমাত্র সর্বশক্তিমান? আরও অনেকে আছে ?" এটা ঈর্ষা। তাই আমাদের ঈর্ষা কৃষ্ণ থেকে শুরু হয়েছে, এবং তাইজন্য এটি অনেক উপায়ে প্রসারিত হয়েছে। এবং আমাদের সাধারণ জীবনে আমরা ঈর্ষান্বিত হই। আমরা আমাদের বন্ধুদের প্রতি ঈর্ষা করি, আমাদের বাবার প্রতি ঈর্ষাপরায়ণ, এমনকি আমাদের ছেলের প্রতি, অন্যদের কথা আর কি বলব - ব্যবসায়ীরা, জাতি, সমাজ, সম্প্রদায়ে, শুধুমাত্র হিংসা। মৎসরতা। "কেন তিনি এগিয়ে যাবে?" আমি ঈর্ষান্বিত হই। এটি জড় প্রকৃতি। সুতরাং যখন কেউ কৃষ্ণকে বুঝতে পারে, তিনি কৃষ্ণ সচেতন হয়, তিনি অহিংস হয়, আর কোন হিংসা থাকে না। তিনি বন্ধু হতে চায় সুহৃদ সর্ব-ভূতানাম। তাই এই কৃষ্ণ ভাবনামৃত আন্দোলন মানে আমরা সবার বন্ধু হতে চাই। কারণ তারা কৃষ্ণ ভাবনা ছাড়া কষ্ট পাচ্ছে, আমরা দরজার কাছে যাচ্ছি, শহর থেকে শহরে, গ্রাম থেকে গ্রামে, টাউন থেকে টাউনে প্রচার করছি এই কৃষ্ণ ভাবনামৃত। এবং কৃষ্ণের করুণা দ্বারা আমরা বুদ্ধিমান মানুষের  মনোযোগ আকর্ষণ করছি। তাই আমরা যদি এই প্রক্রিয়াটি চালিয়ে যাব, তাহলে ঈর্ষান্বিত হব না .. এটা পশু প্রকৃতি, কুকুরের প্রকৃতি, শুকরের প্রকৃতি। মানব প্রকৃতি অবশ্যই হতে হবে পর দুঃখে দুঃখী। দুঃখজনক অবস্থার মধ্যে অন্যকে দেখে খুব অসুখী হওয়া উচিত। তাই সবাই কৃষ্ণ ভাবনার অভাব বোধ করছে। আমাদের একমাত্র কাজ হলো তাঁদের  কৃষ্ণ চেতনাকে জাগিয়ে তোলা এবং তাহলে সমগ্র পৃথিবী সুখী হবে। অনর্থ উপাসনাম সাক্ষাৎ ভক্তি যোগম অধক্ষজে, লোকস্যে অজানতঃ মানুষদের এটা সম্পর্কে কোন জ্ঞান নেই। তাই আমাদেরকে এই আন্দোলনের উপর ধাক্কা দিতে হবে। লকস্যজান...,বিদ্বান চক্রে স্বাশত-সংহিতাম ([[Vanisource:SB 1.7.6|শ্রী.ভা.১.৭.৬]]) শ্রীমদ্ভাগবতম। তাই কৃষ্ণ ভাবনা আন্দোলনের আরেকটি নাম ভগবত-ধর্ম। ভগবত ধর্ম। আমরা যদি তা গ্রহণ করি তাহলে সমগ্র মানব সমাজ সুখী হবে। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ.  
তাই আমাদের ভগবদ গীতা অথবা শ্রীমদ্ভাগবতম থেকে জ্ঞান গ্রহণ করতে হবে। কৃষ্ণে পরম পুরুষে ভক্তির উৎপদ্যতে। যদি তুমি শ্রীমদ্ভাগবতম... অবশ্যই, যদি আপনি বুঝতে না পারেন যে কৃষ্ণের মৌলিক নীতি বা পরিপূর্ণতার মৌলিক নীতি কি ... শুরুতে শ্রীমদ্ভাগবতমে এ বর্ণিত হয়েছে। ধর্ম প্রঝঝিত-কৈতব অত্র পরম নির্মৎসরং ([[Vanisource:SB 1.1.2|শ্রী.ভা. ১.১.২]]) এখানে শ্রীমদ্ভাগবতমে তথাকথিত উৎপাদিত ধর্ম পদ্ধতি লাথি মেরে ফেলে দেওয়া হয়েছে। এর অর্থ পরমহংসের জন্য। নির্মসরনং। নির্মসর মানে একজন যে হিংসা করবে না। তাই আমাদের হিংসা, আমাদের ঈর্ষা কৃষ্ণ থেকে শুরু হয়েছে, আমরা কৃষ্ণকে গ্রহণ করি না। বেশিরভাগ তারা বলে, "কেন কৃষ্ণ কেবলমাত্র সর্বশক্তিমান? আরও অনেকে আছে ?" এটা ঈর্ষা। তাই আমাদের ঈর্ষা কৃষ্ণ থেকে শুরু হয়েছে, এবং তাইজন্য এটি অনেক উপায়ে প্রসারিত হয়েছে। এবং আমাদের সাধারণ জীবনে আমরা ঈর্ষান্বিত হই। আমরা আমাদের বন্ধুদের প্রতি ঈর্ষা করি, আমাদের বাবার প্রতি ঈর্ষাপরায়ণ, এমনকি আমাদের ছেলের প্রতি, অন্যদের কথা আর কি বলব - ব্যবসায়ীরা, জাতি, সমাজ, সম্প্রদায়ে, শুধুমাত্র হিংসা। মৎসরতা। "কেন তিনি এগিয়ে যাবে?" আমি ঈর্ষান্বিত হই। এটি জড় প্রকৃতি।  
 
সুতরাং যখন কেউ কৃষ্ণকে বুঝতে পারে, তিনি কৃষ্ণ সচেতন হয়, তিনি অহিংস হয়, আর কোন হিংসা থাকে না। তিনি বন্ধু হতে চায় সুহৃদ সর্ব-ভূতানাম ([[Vanisource:BG 5.29 (1972)|ভ গী ৫.২৯]])। তাই এই কৃষ্ণ ভাবনামৃত আন্দোলন মানে আমরা সবার বন্ধু হতে চাই। কারণ তারা কৃষ্ণ ভাবনা ছাড়া কষ্ট পাচ্ছে, আমরা দরজার কাছে যাচ্ছি, শহর থেকে শহরে, গ্রাম থেকে গ্রামে, টাউন থেকে টাউনে প্রচার করছি এই কৃষ্ণ ভাবনামৃত। এবং কৃষ্ণের করুণা দ্বারা আমরা বুদ্ধিমান মানুষের  মনোযোগ আকর্ষণ করছি। তাই আমরা যদি এই প্রক্রিয়াটি চালিয়ে যাব, তাহলে ঈর্ষান্বিত হব না .. এটা পশু প্রকৃতি, কুকুরের প্রকৃতি, শুকরের প্রকৃতি। মানব প্রকৃতি অবশ্যই হতে হবে পর দুঃখে দুঃখী। দুঃখজনক অবস্থার মধ্যে অন্যকে দেখে খুব অসুখী হওয়া উচিত। তাই সবাই কৃষ্ণ ভাবনার অভাব বোধ করছে। আমাদের একমাত্র কাজ হলো তাঁদের  কৃষ্ণ চেতনাকে জাগিয়ে তোলা এবং তাহলে সমগ্র পৃথিবী সুখী হবে। অনর্থ উপাসনাম সাক্ষাৎ ভক্তি যোগম অধক্ষজে, লোকস্যে অজানতঃ ([[Vanisource:SB 1.7.6|শ্রী.ভা. ১.৭.৬]])। মানুষদের এটা সম্পর্কে কোন জ্ঞান নেই। তাই আমাদেরকে এই আন্দোলনের উপর ধাক্কা দিতে হবে। লকস্যজান...,বিদ্বান চক্রে স্বাশত-সংহিতাম ([[Vanisource:SB 1.7.6|শ্রী.ভা. ১.৭.৬]]) শ্রীমদ্ভাগবতম। তাই কৃষ্ণ ভাবনা আন্দোলনের আরেকটি নাম ভগবত-ধর্ম। ভগবত ধর্ম। আমরা যদি তা গ্রহণ করি তাহলে সমগ্র মানব সমাজ সুখী হবে।  
 
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ.  
<!-- END TRANSLATED TEXT -->
<!-- END TRANSLATED TEXT -->

Latest revision as of 03:23, 4 December 2021



Lecture on SB 1.7.6 -- Vrndavana, April 23, 1975

তাই আমাদের ভগবদ গীতা অথবা শ্রীমদ্ভাগবতম থেকে জ্ঞান গ্রহণ করতে হবে। কৃষ্ণে পরম পুরুষে ভক্তির উৎপদ্যতে। যদি তুমি শ্রীমদ্ভাগবতম... অবশ্যই, যদি আপনি বুঝতে না পারেন যে কৃষ্ণের মৌলিক নীতি বা পরিপূর্ণতার মৌলিক নীতি কি ... শুরুতে শ্রীমদ্ভাগবতমে এ বর্ণিত হয়েছে। ধর্ম প্রঝঝিত-কৈতব অত্র পরম নির্মৎসরং (শ্রী.ভা. ১.১.২) এখানে শ্রীমদ্ভাগবতমে তথাকথিত উৎপাদিত ধর্ম পদ্ধতি লাথি মেরে ফেলে দেওয়া হয়েছে। এর অর্থ পরমহংসের জন্য। নির্মসরনং। নির্মসর মানে একজন যে হিংসা করবে না। তাই আমাদের হিংসা, আমাদের ঈর্ষা কৃষ্ণ থেকে শুরু হয়েছে, আমরা কৃষ্ণকে গ্রহণ করি না। বেশিরভাগ তারা বলে, "কেন কৃষ্ণ কেবলমাত্র সর্বশক্তিমান? আরও অনেকে আছে ?" এটা ঈর্ষা। তাই আমাদের ঈর্ষা কৃষ্ণ থেকে শুরু হয়েছে, এবং তাইজন্য এটি অনেক উপায়ে প্রসারিত হয়েছে। এবং আমাদের সাধারণ জীবনে আমরা ঈর্ষান্বিত হই। আমরা আমাদের বন্ধুদের প্রতি ঈর্ষা করি, আমাদের বাবার প্রতি ঈর্ষাপরায়ণ, এমনকি আমাদের ছেলের প্রতি, অন্যদের কথা আর কি বলব - ব্যবসায়ীরা, জাতি, সমাজ, সম্প্রদায়ে, শুধুমাত্র হিংসা। মৎসরতা। "কেন তিনি এগিয়ে যাবে?" আমি ঈর্ষান্বিত হই। এটি জড় প্রকৃতি।

সুতরাং যখন কেউ কৃষ্ণকে বুঝতে পারে, তিনি কৃষ্ণ সচেতন হয়, তিনি অহিংস হয়, আর কোন হিংসা থাকে না। তিনি বন্ধু হতে চায় সুহৃদ সর্ব-ভূতানাম (ভ গী ৫.২৯)। তাই এই কৃষ্ণ ভাবনামৃত আন্দোলন মানে আমরা সবার বন্ধু হতে চাই। কারণ তারা কৃষ্ণ ভাবনা ছাড়া কষ্ট পাচ্ছে, আমরা দরজার কাছে যাচ্ছি, শহর থেকে শহরে, গ্রাম থেকে গ্রামে, টাউন থেকে টাউনে প্রচার করছি এই কৃষ্ণ ভাবনামৃত। এবং কৃষ্ণের করুণা দ্বারা আমরা বুদ্ধিমান মানুষের মনোযোগ আকর্ষণ করছি। তাই আমরা যদি এই প্রক্রিয়াটি চালিয়ে যাব, তাহলে ঈর্ষান্বিত হব না .. এটা পশু প্রকৃতি, কুকুরের প্রকৃতি, শুকরের প্রকৃতি। মানব প্রকৃতি অবশ্যই হতে হবে পর দুঃখে দুঃখী। দুঃখজনক অবস্থার মধ্যে অন্যকে দেখে খুব অসুখী হওয়া উচিত। তাই সবাই কৃষ্ণ ভাবনার অভাব বোধ করছে। আমাদের একমাত্র কাজ হলো তাঁদের কৃষ্ণ চেতনাকে জাগিয়ে তোলা এবং তাহলে সমগ্র পৃথিবী সুখী হবে। অনর্থ উপাসনাম সাক্ষাৎ ভক্তি যোগম অধক্ষজে, লোকস্যে অজানতঃ (শ্রী.ভা. ১.৭.৬)। মানুষদের এটা সম্পর্কে কোন জ্ঞান নেই। তাই আমাদেরকে এই আন্দোলনের উপর ধাক্কা দিতে হবে। লকস্যজান...,বিদ্বান চক্রে স্বাশত-সংহিতাম (শ্রী.ভা. ১.৭.৬) শ্রীমদ্ভাগবতম। তাই কৃষ্ণ ভাবনা আন্দোলনের আরেকটি নাম ভগবত-ধর্ম। ভগবত ধর্ম। আমরা যদি তা গ্রহণ করি তাহলে সমগ্র মানব সমাজ সুখী হবে।

আপনাকে অনেক ধন্যবাদ.