BN/Prabhupada 0175 - ধর্ম মানে কাক থেকে রাজহাঁসে ক্রমশঃ পরিবর্তন করা

Revision as of 14:43, 17 January 2018 by Iswaraj (talk | contribs) (Created page with "<!-- BEGIN CATEGORY LIST --> Category:1080 Bengali Pages with Videos Category:Prabhupada 0175 - in all Languages Category:BN-Quotes - 1973 Category:BN-Quotes - L...")
(diff) ← Older revision | Latest revision (diff) | Newer revision → (diff)


Lecture on SB 1.8.33 -- Los Angeles, April 25, 1972

যে কোন সাহিত্য যা ভগবানের জ্ঞানের সঙ্গে কোন সংযোগ নেই, তৎ তৎ ব্যয়সম তীর্থম, সেটা একটা জায়গা যেখানে কাকেরা আনন্দ করে। কাকগুলো আনন্দ উপভোগ করে? নোংরা জায়গায়। এবং রাজহাঁস, সাদা রাজহাঁস, তারা একটি সুন্দর, পরিষ্কার জল যেখানে বাগান আছে,পাখি আছে, সেখানে আনন্দ করে। তাই এখানে প্রাণীদের মধ্যেও বিভাগ আছে। রাজহাঁস এবং কাক ক্লাস। প্রাকৃতিক বিভাগ। কাক রাজহাঁসের কাছে যাবে না। রাজহাঁস কাকের কাছে যাবে না। একইভাবে মানব সমাজে, কাক শ্রেণীর পুরুষ এবং রাজহাঁস শ্রেণীর পুরুষ আছে। রাজহাঁস ক্লাসের পুরুষ এখানে আসবে কারণ এখানে সবকিছু পরিষ্কার, সুন্দর, ভাল দর্শন, ভাল খাবার, ভাল শিক্ষা, ভাল পোষাক, ভাল মন, সবকিছু ভাল। এবং কাক শ্রেনীর পুরুষ যাবে অমুক অমুক ক্লাব, অমুক অমুক পার্টি, নগ্ন নাচ, তাই অনেক কিছুতে। আপনি দেখুন। তাই এই কৃষ্ণ চেতনা আন্দোলন রাজহাঁস পুরুষদের জন্য বোঝানো হয়। কাক শ্রেনীর পুরুষদের জন্য নয়। কিন্তু আমরা কাঁককে রাজহাঁসে রূপান্তর করতে পারি। এটা আমাদের দর্শন। একজন যিনি কাক ছিলেন এখন রাজহাঁসের মত সাঁতার কাটছে। এটা আমরা করতে পারি। এটা কৃষ্ণ চেতনার সুবিধা। তাই যখন রাজহাঁস কাক হয়, যেটা জড় জগত। এটা কৃষ্ণ বলছেঃ যদা যদা হি ধর্মস্য গ্লানির ভবতি (ভ.গী.৪.৭) জীব সত্তা এই জড় শরীরে নি্যুক্ত এবং তিনি ইন্দ্রিয় তৃপ্তির চেষ্টা করছে, একটা শরীরের পর আরেকটা, একটা শরীরের পর আরেকটা, একটা শরীরের পর আরেকটা। এই অবস্থান। এবং ধর্ম মানে ক্রমশঃ পরিবর্তন কাক থেকে রাজহাঁসে। এটা ধর্ম। ঠিক যেমন একজন মানুষ খুব অশিক্ষিত, অশিক্ষিত হতে পারে, কিন্তু সে শিক্ষিত হতে পারে, সভ্য মানুষ রূপে রূপান্তরিত হতে পারে। শিক্ষার দ্বারা, প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সুতরাং সেই সম্ভাবনা মানুষের জীবনের মধ্যে আছে। আমি একজন কুকুরকে ভক্ত হতে প্রশিক্ষণ দিতে পারি না। সেটা কঠিন। এটিও করা যেতে পারে। কিন্তু আমি এত শক্তিশালী হতে পারি না। ঠিক যেমন চৈতন্য মহাপ্রভু করেছেন। যখন তিনি জঙ্গলের মধ্য দিয়ে যাচ্ছিলেন, ঝারিখন্ড, বাঘ, সাপ, হরিণ, সব প্রাণী, তারা ভক্ত হয়ে উঠেছিল। তারা ভক্ত হয়ে উঠেছিল। তাই চৈতন্য মহাপ্রভুর জন্য তা সম্ভব ছিল ... কারণ তিনি নিজেই ভগবান। তিনি সব কিছু করতে পারেন। আমরা এটা করতে পারি না। কিন্তু আমরা মানব সমাজে কাজ করতে পারি। এটা কোন ব্যাপার না, যাইহোক একজন পতিত মানুষ.. যদি তিনি আমাদের নির্দেশ অনুসরণ করে তারপর তিনি পরিণত হতে পারেন। এটাকে ধর্ম বলা হয়। ধর্ম মানে তার মূল অবস্থানকে নিয়ে আসা। এটা ধর্ম। সুতরাং ডিগ্রী থাকতে পারে। কিন্তু মূল অবস্থান হল যে আমরা ভগবানের অংশাতি অংশ। এবং, যখন আমরা বুঝতে পারি যে আমরা ভগবানের অংশ, সেটা আমাদের জীবনের প্রকৃত অবস্থান। এটিকে ব্রহ্ম-ভুত (শ্রী.ভা.৪.৩০.২০) পর্যায় বলা হয়, তার ব্রাহ্মণ উপলব্ধি, শনাক্তকরণের পরিচয়।