BN/Prabhupada 0216 - কৃষ্ণ প্রথম শ্রেনীর তার ভক্তও প্রথম শ্রেনীর

Revision as of 05:51, 5 December 2021 by Soham (talk | contribs)
(diff) ← Older revision | Latest revision (diff) | Newer revision → (diff)


Lecture on SB 1.7.47-48 -- Vrndavana, October 6, 1976

এটাই বৈষ্ণবের মনোভাব। পর-দুঃখে-দুখী। বৈষ্ণব হচ্ছে পর-দুঃখে-দুখী। এই হচ্ছে বৈষ্ণব যোগ্যতা। তিনি নিজের ব্যক্তিগত দুঃখকষ্টের পরোয়া করেন না। কিন্তু যখন অন্য কেউ ভীষণ কষ্ট পান তখন তিনি দুঃখ পান। এই হচ্ছে বৈষ্ণব। প্রহ্লাদ মহারাজ বলেছেন,

নৈবদ্বিজে পর দ্যুরত্যয়া-বৈতারন্যস
তবাদ-বীর-গয়ানা মহামৃত-মগ্ন-চিত্ত
সোচে ততঃ বুমুখ-চেতসা ইন্দ্রিয়ার্থ-
মায়া-সুখয়া ভরং উদ্ভাহাতো বিমুঢ়ান
(শ্রী.ভা.৭.৯.৪৩)

প্রহ্লাদ মহারাজ এত হয়রান হয়েছিলেন তার পিতার দ্বারা, এবং তার পিতাকে মেরে ফেলা হয়েছিল। এবং তবুও, যখন তাকে ভগবান নৃসিংহদেব দ্বারা আশীর্বাদ চাইতে বলা হল, তখন তিনি তা স্বীকার করেন নি। তিনি বললেন, স বৈ বণিক। হে প্রভু, আমি রজোগুন, তমোগুনের পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছি। রজোগুণ, তমোগুণ। অসুররা, তারা দুটি নিম্ন গুণের দ্বারা প্রভাবিত হয়, রজোগুণ এবং তমোগুণ। এবং যারা দেবতা, তারা সত্ত্বগুণ দ্বারা প্রভাবিত হয়।

তিনটে গুণ আছে, এই জড় জগতে। সত্ত্ব গুন... ত্রি গুণময়ী। দৈবী হেষা গুণময়ী (ভ.গী.৭.১৪) গুণময়ী, ত্রিগুণময়ী। এই জড় জগতে, সত্ত্ব-গুন, রজো গুন, তমোগুন। তাই যারা সত্ত্ব গুন দ্বারা প্রভাবিত হয়, তারা প্রথম শ্রেণীর। প্রথম শ্রেনী মানে এই জগতের প্রথম ক্লাস। আধ্যাত্মিক জগতে নয়। আধ্যাত্মিক জগত আলাদা। সেটা নির্গুন, কোন জড় গুন নেই। সেখানে কোন প্রথম শ্রেণী, দ্বিতীয় শ্রেনী, তৃতীয় শ্রেনী বলে কিছু নেই। প্রত্যেকেই প্রথম শ্রেনীর। এটাই পূর্ণতা কৃষ্ণ হচ্ছে প্রথম শ্রেণী, তার ভক্তরাও প্রথম শ্রেণির। গাছগুলো প্রথম শ্রেণীর, পাখি প্রথম শ্রেণীর, গরু প্রথম শ্রেণী, বাছুর প্রথম শ্রেণীর। তাই একে পূর্নতা বলা হয়। আপেক্ষিক, দ্বিতীয় শ্রেণীর, তৃতীয় শ্রেণী, চতুর্থ শ্রেণীর কোন ধারণা নেই। না। সবকিছুই প্রথম শ্রেণীর। আনন্দ-চিন্ময়-রস-প্রতিভাবিতাভি (ব্র.সং ৫.৩৭) সবকিছু রচনা আনন্দ-চিন্ময়-রস। কোন শ্রেণীবিন্যাস নেই। কেউ হয়ত দাস্য রসে অবস্থিত, কেউ হয়ত সখ্য রসে অবস্থিত, অথবা বাৎসল্য রসে বা মাধুর্য রসে, সবই এক। কোন রকম পার্থক্য নেই। কিন্তু সেখানে বৈচিত্র আছে। তোমার এই রস পছন্দ, আমি এই রস পছন্দ করি, এর অনুমোদন আছে।

এখানে এই জড় জগতে, তারা এই তিন রসের দ্বারা প্রভাবিত আছে, এবং প্রহ্লাদ মহারাজ, হিরণ্যকশিপুর পুত্র হবার জন্য, তিনি নিজেকে মনে করতেন যে "আমি রজো-গুণ ও তমো-গুণে প্রভাবিত।" তিনি বৈষ্ণব, তিনি সব গুনের উপরে, কিন্তু একজন বৈষ্ণব কখনো তার গুনে তিনি গর্ব বোধ করেন না। প্রকৃতপক্ষে, তিনি তা এইভাবে ভাবেন না, তিনি খুব উন্নত ছিলেন, তিনি খুব আলোকিত। তিনি সবসময় মনে করেন, "আমি সর্বনিম্ন।"

তৃণাদপি সুনিচেন
তরোরপি সুনীচেন
অমানিন মানদেন
কীর্তনীয়া সদা হরি
(চৈ.চ.আদি ১৭.৩১)

এই হচ্ছে বৈষ্ণব।