BN/Prabhupada 0228 - কিভাবে অমর হওয়া যায় সেই রাস্তা সন্মন্ধে বুঝুন

Revision as of 08:01, 10 December 2021 by Vanibot (talk | contribs) (Vanibot #0005: NavigationArranger - update old navigation bars (prev/next) to reflect new neighboring items)
(diff) ← Older revision | Latest revision (diff) | Newer revision → (diff)


Lecture on BG 2.15 -- London, August 21, 1973

তাই তাদের সম্মেলন, তাদের জাতিসংঘ, তাদের বৈজ্ঞানিক অগ্রগতি, তাদের শিক্ষা ব্যবস্থা, দর্শনশাস্ত্র, এবং অন্য সবকিছু, সবকিছুর মানে কিভাবে এই জড় জগতে খুশি হতে পারা যায়। গৃহ ব্রতানাম্‌। লক্ষ্য হচ্ছে কিভাবে সুখী হওয়া যায়। এবং এটি সম্ভব নয়। এই দুষ্টরা বুঝতে পারে না। যদি আপনি খুশি হতে চান, তাহলে আপনাকে কৃষ্ণের কাছে আসতে হবে। মামেপাত্য তু কৌন্তেয় দুঃখালয়ম আশাশ্বতম নাপ্নুবন্তি (ভ.গী.৮.১৫)। কৃষ্ণ বলেছেন, "যদি কেউ আমার কাছে আসে, তবে সে এই দুনিয়াতে আর ফিরে আসে না।" দুঃখালয়ম্‌। এই জড় জগতকে কৃষ্ণের দুঃখালয়ম্‌ দ্বারা ব্যাখ্যা করা হয়েছে। আলয়ম্‌ মানে জায়গা এবং দুঃখ মানে সংকট। সবকিছু কষ্টকর এখানে, কিন্তু বোকারা মায়ার বিভ্রান্তিতে আছে, মায়া দ্বারা আচ্ছাদিত, সেই কষ্টকে তারা খুশী রূপে স্বীকার করে। এটা মায়া। এই শুধু সুখ নয়। একজন মানুষ সারা দিন এবং রাতে কাজ করছেন, এবং তিনি কিছু কাগজ পেয়েছেন তাতে লিখিত আছে, "আমরা ভগবানে বিশ্বাস করি। এই কাগজটি নিন, একশত ডলার। আমি তোমাকে ধোঁকা দিচ্ছি।" এমন নয়? "আমরা ভগবানেরর উপর বিশ্বাস করি, আমি আপনাকে প্রদান করতে প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি। এখন এই কাগজ গ্রহণ কর। এক পয়সার কোন মূল্য নেই। কিন্তু লেখা আছে একশত ডলার" তাই আমি মনে করি আমি খুব খুশিঃ "এখন আমি এই কাগজ পেয়েছি।" ব্যাস শুধু প্রতারণা করা আর প্রতারিত হওয়া, এটাই চলছে।

সেইজন্য আমাদেরকে এই জড় জগতের দুঃখ ও সুখ থেকে বিরক্ত হওয়া উচিত নয়। এটা আমাদের লক্ষ্য হওয়া উচিত। আমাদের উদ্দেশ্য হওয়া উচিত কীভাবে কৃষ্ণভক্তি অনুসরণ করব। কিভাবে পালন করব। এবং চৈতন্য মহাপ্রভু একটি খুব সহজ সূত্র দিয়েছেনঃ

হরের নাম হরের নাম হরের নামৈব কেবলম
কলৌ নাস্তেব্য নাস্তেব্য নাস্তেব্য গতির অন্যথা
(চৈ.চ.আদি ১৭.২১)

এই কলি যুগে, আপনি কোন গুরুতর গম্ভীর তপস্যা করতে পারবেন না। শুধু হরে কৃষ্ণ মন্ত্র জপ করুন। আমরা এই কাজ করতে সক্ষম হই না। শুধু দেখুন। আমরা কত দুর্ভাগ্যজনক। তাই এই কলিযুগের অবস্থা। মন্দ সুমন্দ মতয়ো মন্দ ভাগ্য উপদ্রুতা (শ্রী.ভা.১.১.১০) তারা খুব বদমাশ, মন্দ। মন্দ মানে খুব খারাপ, মন্দ। এবং সুমন্দ মতয়ো। এবং যদি তারা উন্নতি করতে চায় তবে কোন বদমাশকে গুরুজী মহারাজ গ্রহণ করে। মন্দ সুমন্দ মতয়ো এবং কোন পক্ষের যাদের কোন নিখুঁত অবদান নেই, তারা এটা গ্রহন করবেঃ " ওহ এটা খুব ভাল।" তাই সবার আগে তারা সব মন্দ, এবং যারা কিছু গ্রহণ করে, তারাও মন্দ। কেন? হতভাগ্য। মন্দ-সুমন্দ-মতয়ো মন্দ-ভাগ্য (শ্রী.ভা.১.১.১০) মন্দ-ভাগ্য মানে হতভাগ্য। এবং তার উপরে উপদ্রুতা। সর্বদা বিরক্ত কর দ্বারা, বৃষ্টি না হওয়াতে, অপর্যাপ্ত ভোজনে, অনেক ভাবে। এই হচ্ছে কলি যুগের অবস্থা। তাই জন্য চৈতন্য মহাপ্রভু বলেছেন...চৈতন্য মহাপ্রভু না। এটি বৈদিক সাহিত্যে আছে যে আপনি যোগ অনুশীলন করতে পারবেন না, ধ্যান বা বড়, বড় যজ্ঞ বা ভগবানের উপাসনার জন্য বড়, বড় মন্দির নির্মাণ। আজকাল এটা খুব, খুব কঠিন। শুধু জপ করো, হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে হরে রাম হরে রাম রাম রাম হরে হরে, এবং ধীরে ধীরে আপনি অমর হবার উপায় বুঝতে পারবেন।

আপনাদের অনেক ধন্যবাদ।