BN/Prabhupada 0238 - ভগবান ভাল, তার সবকিছুই ভাল: Difference between revisions
(Created page with "<!-- BEGIN CATEGORY LIST --> Category:1080 Bengali Pages with Videos Category:Prabhupada 0238 - in all Languages Category:BN-Quotes - 1973 Category:BN-Quotes - L...") |
No edit summary |
||
Line 7: | Line 7: | ||
<!-- END CATEGORY LIST --> | <!-- END CATEGORY LIST --> | ||
<!-- BEGIN NAVIGATION BAR -- DO NOT EDIT OR REMOVE --> | <!-- BEGIN NAVIGATION BAR -- DO NOT EDIT OR REMOVE --> | ||
{{1080 videos navigation - All Languages| | {{1080 videos navigation - All Languages|Bengali|BN/Prabhupada 0237 - আমরা ভগবানের সংম্পর্কে আসি উনার নাম জপ করে, হরে কৃষ্ণ|0237|BN/Prabhupada 0239 - কৃষ্ণকে বোঝার জন্য, আমাদের বিশেষ ইন্দ্রিয় প্রয়োজন|0239}} | ||
<!-- END NAVIGATION BAR --> | <!-- END NAVIGATION BAR --> | ||
<!-- BEGIN ORIGINAL VANIQUOTES PAGE LINK--> | <!-- BEGIN ORIGINAL VANIQUOTES PAGE LINK--> | ||
Line 29: | Line 29: | ||
<!-- BEGIN TRANSLATED TEXT --> | <!-- BEGIN TRANSLATED TEXT --> | ||
অথঃ শ্রীকৃষ্ণ নামাদি ন ভবেদ গ্রাহ্যম ইন্দ্রিয়ৈ ([[Vanisource:CC Madhya 17.136|চৈ.চ.মধ্য ১৭.১৩৬]]) তাই কৃষ্ণের এই আচরণ কিভাবে সাধারণ মানুষ বুঝতে পারবে? কারণ তাদের কাছে সাধারণ ইন্দ্রিয় আছে, তাই তারা বুঝতে ভুল করে। কৃষ্ণ কেন? এমনকি কৃষ্ণের ভক্ত, বৈষ্ণব। এটাও বলা হয়েছে। বৈষ্ণবের | অথঃ শ্রীকৃষ্ণ নামাদি ন ভবেদ গ্রাহ্যম ইন্দ্রিয়ৈ ([[Vanisource:CC Madhya 17.136|চৈ.চ.মধ্য ১৭.১৩৬]]) তাই কৃষ্ণের এই আচরণ কিভাবে সাধারণ মানুষ বুঝতে পারবে? কারণ তাদের কাছে সাধারণ ইন্দ্রিয় আছে, তাই তারা বুঝতে ভুল করে। কৃষ্ণ কেন? এমনকি কৃষ্ণের ভক্ত, বৈষ্ণব। এটাও বলা হয়েছে। বৈষ্ণবের ক্রিয়া মুদ্রা বিজ্ঞে না বুঝয়ে ([[Vanisource:CC Madhya 17.136|চৈ.চ.মধ্য ১৭.১৩৬]]) এমনকি একজন বৈষ্ণব আচার্য, তিনি কি করছেন, এমনকি সবচেয়ে বিশেষজ্ঞ বুদ্ধিমান মানুষও বুঝতে পারেন না যে তিনি কেন এইসব করছেন। তাই আমাদের উচ্চতর কর্তৃপক্ষদের অনুকরণ করার চেষ্টা করা উচিত নয়, কিন্তু আমাদের অবশ্যই উচ্চতর কর্তৃপক্ষের আদেশ নিষেধাজ্ঞা মেনে চলা উচিত। এটা সম্ভব নয়। কৃষ্ণ যুদ্ধের জন্য অর্জুনকে উৎসাহ দিচ্ছেন। এর মানে এই নয় যে আমরা এটাও করতে পারি, উত্তেজিত করি, না। এটা অনৈতিক হবে। কৃষ্ণ অনৈতিক নয়। যা কিছুই ভগবান করেন...ভগবান ভালো, তার সবকিছু ভালো। আমাদের এটি গ্রহণ করা উচিত। যাই কিছুই তিনি করেন না কেন, সেগুলি সব ভাল। এটা একটা দিক এবং যা কিছু আমি কর্তৃপক্ষের নির্দেশ বিনা করব সেগুলি সব খারাপ। তাকে অন্য কারও কাছ থেকে আদেশ নিতে হবে না। ঈশ্বরঃ পরমঃ কৃষ্ণঃ (ব্র.সং৫.১)। তিনি পরম নিয়ন্ত্রণকারী। তার কোন নির্দেশাবলী প্রয়োজন হয় না। যাই তিনি করুক না কেন সঠিক। এটাই কৃষ্ণকে বোঝা। এমন না যে আমি আমার নিজের মতো করে কৃষ্ণকে বুঝতে পাব কৃষ্ণ আপনার পরীক্ষা বা আপনার বিচারের বিষয় নয়। তিনি সবার উপরে। তিনি দিব্য। অতএব, যাদের দিব্য দৃষ্টি নেই, তারা কৃষ্ণকে ভুল বুঝে। এখানে তিনি প্রত্যক্ষভাবে প্ররোচনা করছেন। | ||
:ক্লৈব্যং মা স্ম গমঃ পার্থ | |||
:নৈতত্ত্বয্যুপপদ্যতে | |||
:ক্ষুদ্রং হৃদয়দৌবল্যং | |||
:ত্যক্তোত্তিষ্ঠ পরন্তপ | |||
:([[Vanisource:BG 2.3 (1972)|ভ.গী ২.৩]]) | |||
পরন্তপ এই শব্দের প্রয়োগ করা হয়েছে, আপনি একজন ক্ষত্রিয় একজন রাজা। তোমার কাজ দুর্বৃত্তদের শাস্তি বিধান করা এটাই তোমার কাজ। তুমি দুর্বৃত্তদের ক্ষমা করতে পার না।" পূর্বে রাজা এত... রাজা নিজে ন্যায় বিচার করতেন। রাজার সামনে একজন দুর্বৃত্তকে আনা হত এবং যদি রাজার সঠিক জ্ঞানে মনে হত, তিনি তার নিজের তরবারি গ্রহণ করতেন এবং অবিলম্বে তার মাথা কেটে ফেলতেন। এটা রাজার কর্তব্য ছিল। কাশ্মীরের প্রায় একশ বছর আগেও যদিও বেশি দিন না, সেই রাজা যখনই একটা চোর ধরা পড়ত, তাকে রাজার সামনে নিয়ে আসা হত, এবং যদি প্রমাণ হয়ে যেত যে সে চোর, সেই এটা চুরী করেছে, অবিলম্বে রাজা ব্যক্তিগতভাবে তার হাত কেটে দিত, এটি কেটে দিত। এমনকি একশ বছর পূর্বেও। অতএব অন্য সব চোরকে সতর্ক করা হয়েছে, "এটি তোমাদের শাস্তি।" সুতরাং কোন চুরি ছিল। কোন চুরি ছিল না, কাশ্মীরে কোন চুরি নয়। এমন কি রাস্তায় কেউ কিছু হারালে, সেটা সেইখানেই পরে থাকত। কেউ সেটা ছুঁয়েও দেখত না, আদেশ ছিল, রাজার আদেশ ছিল যে, যদি কোন জিনিস রাস্তায় পরে থাকে তার মালিক না থাকলেও, তুমি সেটা ছুঁতে পারবে না। যে সেটা ফেলে গেছে, সে আসবে, সে এটা নিয়ে যাবে। তুমি সেটা নিতে পারবে না।" এটা একশ বছর আগের কথা। সুতরাং এইরকম দণ্ড প্রয়োজন। আজকাল মৃত্যুদন্ডের সাজা মাফ হয়ে যাচ্ছে। হত্যাকারীদের ফাঁসি দেওয়া হচ্ছে না। এগুলি সব ভুল, সব ধুর্ত। একজন খুনিকে মেরা ফেলা উচিত, কোন দয়া করা উচিত নয়। কেন একজন মানব হত্যাকারী? এমনকি একটি পশু হত্যাকারী অবিলম্বে ফাঁসি দেওয়া উচিত। এটাই রাষ্ট্র। রাজাকে খুব কঠোর হওয়া উচিত। | |||
<!-- END TRANSLATED TEXT --> | <!-- END TRANSLATED TEXT --> |
Latest revision as of 10:20, 7 December 2021
Lecture on BG 2.3 -- London, August 4, 1973
অথঃ শ্রীকৃষ্ণ নামাদি ন ভবেদ গ্রাহ্যম ইন্দ্রিয়ৈ (চৈ.চ.মধ্য ১৭.১৩৬) তাই কৃষ্ণের এই আচরণ কিভাবে সাধারণ মানুষ বুঝতে পারবে? কারণ তাদের কাছে সাধারণ ইন্দ্রিয় আছে, তাই তারা বুঝতে ভুল করে। কৃষ্ণ কেন? এমনকি কৃষ্ণের ভক্ত, বৈষ্ণব। এটাও বলা হয়েছে। বৈষ্ণবের ক্রিয়া মুদ্রা বিজ্ঞে না বুঝয়ে (চৈ.চ.মধ্য ১৭.১৩৬) এমনকি একজন বৈষ্ণব আচার্য, তিনি কি করছেন, এমনকি সবচেয়ে বিশেষজ্ঞ বুদ্ধিমান মানুষও বুঝতে পারেন না যে তিনি কেন এইসব করছেন। তাই আমাদের উচ্চতর কর্তৃপক্ষদের অনুকরণ করার চেষ্টা করা উচিত নয়, কিন্তু আমাদের অবশ্যই উচ্চতর কর্তৃপক্ষের আদেশ নিষেধাজ্ঞা মেনে চলা উচিত। এটা সম্ভব নয়। কৃষ্ণ যুদ্ধের জন্য অর্জুনকে উৎসাহ দিচ্ছেন। এর মানে এই নয় যে আমরা এটাও করতে পারি, উত্তেজিত করি, না। এটা অনৈতিক হবে। কৃষ্ণ অনৈতিক নয়। যা কিছুই ভগবান করেন...ভগবান ভালো, তার সবকিছু ভালো। আমাদের এটি গ্রহণ করা উচিত। যাই কিছুই তিনি করেন না কেন, সেগুলি সব ভাল। এটা একটা দিক এবং যা কিছু আমি কর্তৃপক্ষের নির্দেশ বিনা করব সেগুলি সব খারাপ। তাকে অন্য কারও কাছ থেকে আদেশ নিতে হবে না। ঈশ্বরঃ পরমঃ কৃষ্ণঃ (ব্র.সং৫.১)। তিনি পরম নিয়ন্ত্রণকারী। তার কোন নির্দেশাবলী প্রয়োজন হয় না। যাই তিনি করুক না কেন সঠিক। এটাই কৃষ্ণকে বোঝা। এমন না যে আমি আমার নিজের মতো করে কৃষ্ণকে বুঝতে পাব কৃষ্ণ আপনার পরীক্ষা বা আপনার বিচারের বিষয় নয়। তিনি সবার উপরে। তিনি দিব্য। অতএব, যাদের দিব্য দৃষ্টি নেই, তারা কৃষ্ণকে ভুল বুঝে। এখানে তিনি প্রত্যক্ষভাবে প্ররোচনা করছেন।
- ক্লৈব্যং মা স্ম গমঃ পার্থ
- নৈতত্ত্বয্যুপপদ্যতে
- ক্ষুদ্রং হৃদয়দৌবল্যং
- ত্যক্তোত্তিষ্ঠ পরন্তপ
- (ভ.গী ২.৩)
পরন্তপ এই শব্দের প্রয়োগ করা হয়েছে, আপনি একজন ক্ষত্রিয় একজন রাজা। তোমার কাজ দুর্বৃত্তদের শাস্তি বিধান করা এটাই তোমার কাজ। তুমি দুর্বৃত্তদের ক্ষমা করতে পার না।" পূর্বে রাজা এত... রাজা নিজে ন্যায় বিচার করতেন। রাজার সামনে একজন দুর্বৃত্তকে আনা হত এবং যদি রাজার সঠিক জ্ঞানে মনে হত, তিনি তার নিজের তরবারি গ্রহণ করতেন এবং অবিলম্বে তার মাথা কেটে ফেলতেন। এটা রাজার কর্তব্য ছিল। কাশ্মীরের প্রায় একশ বছর আগেও যদিও বেশি দিন না, সেই রাজা যখনই একটা চোর ধরা পড়ত, তাকে রাজার সামনে নিয়ে আসা হত, এবং যদি প্রমাণ হয়ে যেত যে সে চোর, সেই এটা চুরী করেছে, অবিলম্বে রাজা ব্যক্তিগতভাবে তার হাত কেটে দিত, এটি কেটে দিত। এমনকি একশ বছর পূর্বেও। অতএব অন্য সব চোরকে সতর্ক করা হয়েছে, "এটি তোমাদের শাস্তি।" সুতরাং কোন চুরি ছিল। কোন চুরি ছিল না, কাশ্মীরে কোন চুরি নয়। এমন কি রাস্তায় কেউ কিছু হারালে, সেটা সেইখানেই পরে থাকত। কেউ সেটা ছুঁয়েও দেখত না, আদেশ ছিল, রাজার আদেশ ছিল যে, যদি কোন জিনিস রাস্তায় পরে থাকে তার মালিক না থাকলেও, তুমি সেটা ছুঁতে পারবে না। যে সেটা ফেলে গেছে, সে আসবে, সে এটা নিয়ে যাবে। তুমি সেটা নিতে পারবে না।" এটা একশ বছর আগের কথা। সুতরাং এইরকম দণ্ড প্রয়োজন। আজকাল মৃত্যুদন্ডের সাজা মাফ হয়ে যাচ্ছে। হত্যাকারীদের ফাঁসি দেওয়া হচ্ছে না। এগুলি সব ভুল, সব ধুর্ত। একজন খুনিকে মেরা ফেলা উচিত, কোন দয়া করা উচিত নয়। কেন একজন মানব হত্যাকারী? এমনকি একটি পশু হত্যাকারী অবিলম্বে ফাঁসি দেওয়া উচিত। এটাই রাষ্ট্র। রাজাকে খুব কঠোর হওয়া উচিত।