BN/Prabhupada 0239 - কৃষ্ণকে বোঝার জন্য, আমাদের বিশেষ ইন্দ্রিয় প্রয়োজন

Revision as of 13:03, 4 May 2018 by Soham (talk | contribs) (Created page with "<!-- BEGIN CATEGORY LIST --> Category:1080 Bengali Pages with Videos Category:Prabhupada 0239 - in all Languages Category:BN-Quotes - 1973 Category:BN-Quotes - L...")
(diff) ← Older revision | Latest revision (diff) | Newer revision → (diff)


Lecture on BG 2.3 -- London, August 4, 1973

তাই এই সহানুভুতি অর্জুনের সহানুভুতির মতন। সহানুভুতি, এখন রাজ্যের খুনিদের সাথে এই সহানুভুতি করা হচ্ছে তাদের মৃত্যুদন্ড দেওয়া হচ্ছে না। এই অর্জুন। এই হচ্ছে হৃদয়-দৌবল্যং। এটা কর্তব্য নয়। আমরা কোনও চিন্তা ছাড়াই উচ্চ কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রদত্ত দায়িত্বগুলি কঠোরভাবে নির্বাহ করা উচিত। তাই এই হৃদয় দুর্বলতা, এইরকম সহানুভূতি। কিন্তু সাধারন মানুষ বুজতে পারবে না। অতএব, কৃষ্ণকে বুঝার জন্য, আমাদের বিশেষ ইন্দ্রিয়ের প্রয়োজন, সাধারণ ইন্দ্রিয়ের নয়, বিশেষ ইন্দ্রিয়ের। বিশেষ ইন্দ্রিয়ের অর্থ হচ্ছে, আপনার চোখ তুলে আরেকটা চোখ রাখা? না। তোমাকে সেটা শুদ্ধ করতে হবে। তৎপরত্তেন নির্মলম (চৈ.চ.মধ্য ১৯.১৭০) যেমন তোমার চোঁখে কোন রোগ হলে তুমি ঔষধ লাগাও। এবং যখন এটা সেরে যায়, তখন তুমি সবকিছু স্পষ্ঠভাবে দেখতে পাও। একইভাবে, এই অন্ধ ইন্দ্রিয় দিয়ে আমরা কৃষ্ণকে বুঝতে পারব না। সেবন্মুখে হি জিহ্বাদৌ স্বংয় এব স্পুরদতদৌ (ব্র.সং.১.২.২৩৪) যেমন শ্রী কৃষ্ণ নামাদৌ, কৃষ্ণের নাম, রূপ, গুন ইত্যাদি, এই অন্ধ ইন্দ্রিয় দ্বারা বোঝা যায় না, এটা কিভাবে করা যায়। এখন, সেবন্মুখে হি জিহ্বাদৌ। আবার জিহ্বাদৌ, জিহ্বা দিয়ে শুরু, জীহবার নিয়ন্ত্রন করা। শুধু দেখ, এটা এমন অদ্ভুত কিছু যে "জিহ্বাকে নিয়ন্ত্রণ করে কৃষ্ণকে বুঝতে হবে?" এটা আশ্চর্যজনক। কিভাবে এটা হয় কৃষ্ণকে বুঝানোর জন্য আমার জিহ্বা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে? কিন্তু এটি হচ্ছে, শাস্ত্রের আজ্ঞা, সেবন্মুখে হি জিহ্বাদৌ জিহবা মানে জিহ্বা। শ্রী কৃষ্ণকে দেখতে, কৃষ্ণকে বুঝতে, প্রথম জিনিসটি হচ্ছে আপনার জিহ্বা নিয়ন্ত্রণ করা। এইজন্য আমরা বলি, মাংস খেয়ো না, মদ খেয়ো না। কারন এটা জীহ্বার নিয়ন্ত্রন। ইন্দ্রিয় রূপে জিহ্বা সবচেয়ে শক্তিশালী শ্ত্রু, বির্কৃত ইন্দ্রিয় রূপে। এবং এই দুষ্টরা বলে, "না, তুমি যা ইচ্ছা খেতে পারো, এর সঙ্গে ধর্মের কোন সম্পর্ক নেই। কিন্তু বৈদিক শাস্ত্র বলছে, " তুমি দুষ্ট, প্রথমে তোমার জিহ্বাকে নিয়ন্ত্রন কর। তাহলে তুমি বুঝতে পারবে ভগবান কি।" তাই এটাকে বৈদিক নিষেধাজ্ঞা বলে-একদম ঠিক। যদি তুমি তোমার জিহ্বাকে নিয়ন্ত্রন কর, তাহলে তুমি তোমার পেটকে নিয়ন্ত্রন করতে পারবে, তাহলে তুমি তোমার জননাঙ্গকে নিয়ন্ত্রন করতে পারবে। রূপ গোস্বামী নির্দেশ দিয়েছেন, বাচো বেগং মনসো ক্রোধ বেগম জিহ্বাবেগং উদর উপস্থ বেগং এতান বেগাং যো বিষহেত ধীর সর্বাম অপি মাং স পৃথিবীং স শিষ্যাৎ (উ.দে.১) এটা নির্দেশ, যেকেউ নিজের জিহ্বা নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হয়, মনকে নিয়ন্ত্রন করতে, রাগ নিয়ন্ত্রন করতে, পেটকে নিয়ন্ত্রন করতে এবং জননাঙ্গ নিয়ন্ত্রন করতেও- যদি এই ছয় প্রকার নিয়ন্ত্রন করতে পারে তবে সে আধ্যাত্মিক গুরু হবার জন্য প্রস্তুত। তিনি দুনিয়া ভরে শিষ্য বানাতে পারে। এবং যদি তুমি জিহ্বাকে নিয়ন্ত্রন করতে না পারো, যদি তুমি রাগকে নিয়ন্ত্রন করতে না পারো, নিজের মানসিক মনগড়া কাহানি নিয়ন্ত্রন করতে না পারো, তাহলে কিভাবে তুমি আধ্যাত্মিক গুরু হবে, এটা সম্ভব নয়। পৃথিবীং স শিষ্যাৎ। যে করতে পারে সে গোস্বামী, গোস্বামী বা স্বামী, ইন্দ্রিয়ের মালিক বলা হয়। এই ছয় প্রকার নিয়ন্ত্রন করার মালিক, জিহ্বা নিয়ন্ত্রন থেকে শুরু। সেবন্মুখে হি জিহ্বাদৌ স্বংয় এব স্পুরদতদৌ (ব্র.সং.১.২.২৩৪) সেবা, জিহ্বাকে প্রভুর সেবায় লাগানো যেতে পারে, কিভাবে? তুমি হরে কৃষ্ণ জপ করো, সবসময় তার জয়গান করো। বাচাংসী বৈকুন্ঠ-গুনানুবর্ননে। বাচাংসী, মানে কথাবলা। কথা বলা জীহ্বার কাজ এবং স্বাদ গ্রহণ করা জীহ্বার কাজ। তাই তুমি জিহ্বাকে ব্যস্থ রাখ ভাগবানের সেবায়, উনার মহিমা জয়গান করে। যখন...তুমি শপথ নেও " যে আমি যখন কথা বলব, আমি শুধু কৃষ্ণের কথা বলব, অন্যকিছু নয়। এই হচ্ছে জিহ্বার নিয়ন্ত্রন। যদি তুমি নিজের জিহ্বাকে আজেবাজে কথা বলার সুযোগ না দেও, গ্রাম্য কথা... আমরা কখন কখন একসাথে বসি। আমরা এত আজেবাজে কথা বলি, সেটা নিয়ন্ত্রন করতে হবে। এখন আমি আমার প্রভুর সেবায় আমার জিহ্বাকে লাগিয়েছি, এইজন্য আমরা ইন্দ্রিয় সন্তুষ্ট করার জন্য কোন কথা বলব না।" এটাই হচ্ছে জিহ্বাকে নিয়ন্ত্রন করা। কৃষ্ণকে অর্পন করা যায় না এমন কোন খাবার আমি খাব না, " এটা জিহ্বা নিয়ন্ত্রন। এটি ছোট পদ্ধতি কিন্তু এর অনেক মূল্য। কৃষ্ণ খুশি হবেন তপস্যা করলে, তিনি নিজেকে প্রকাশিত করবেন। তুমি বুঝতে পারবে না, তুমি কৃষ্ণকে দেখতে পাবে না। তুমি কৃষ্ণকে আদেশ দিতে পারবেন না, কৃষ্ণ এদিকে আসুন বাঁশি বাজাতে বাজাতে নৃত্য করতে করতে, আমি আপনাকে দেখব। এটা আদেশ, কৃষ্ণ তোমার আদেশের অধীনে নয়। এইজন্য চৈতন্য মহাপ্রভু আমাদের শিক্ষা দিচ্ছেন, আশ্লিষ্ট বা পাদরতাং পিনুষ্ট মাং মর্মহতা করতু বা আদর্শনাং (চৈ.চ.অন্ত ২০.৪৭)