BN/Prabhupada 0240 - গোপীদের তুলনায় কোন ভাল পূজা আর নেই

Revision as of 13:07, 4 May 2018 by Soham (talk | contribs) (Created page with "<!-- BEGIN CATEGORY LIST --> Category:1080 Bengali Pages with Videos Category:Prabhupada 0240 - in all Languages Category:BN-Quotes - 1973 Category:BN-Quotes - L...")
(diff) ← Older revision | Latest revision (diff) | Newer revision → (diff)


Lecture on BG 2.3 -- London, August 4, 1973

আদর্শনং। প্রত্যেকে কৃষ্ণকে দেখতে চায়। কিন্তু একজন শুদ্ধ ভক্ত বলছেন যে, যদি আপনি আমাকে দেখতে পছন্দ না করেন কোন ব্যাপার নয়। তুমি আমার হৃদয়কে ভেঙে দিতে পারো। আমি সবসময় আপনাকে দেখার জন্য প্রার্থনা করতে থাকব। কিন্তু যদি আপনি দর্শন না দেন, আর আমার হৃদয়কে ভেঙে দেন, এটাও স্বীকার, তবুও আমি আপনাকে পূজা করব। এটি শুদ্ধ ভক্তি। এইরকম নয় যে আমি কৃষ্ণকে নাচতে নাচতে আসতে বললাম, তিনি আসলেন না, তাহলে আমি সবকিছু ছেড়ে দেব। কৃষ্ণভাবনামৃতের কোন মূল্য নেই। "এইরকম নয়। এইটা রাধারানীর ভাব। তাই কৃষ্ণ বৃন্দাবন ত্যাগ করলেন। সব গোপী, তারা শুধুমাত্র কৃষ্ণের জন্যই দিন কাটায়, কিন্তু কৃষ্ণের নিন্দা করেন না। যখনই কেউ আসে... কৃষ্ণ তার সন্মন্ধে ভাবতে থাকে কারন গোপীরা কৃষ্ণের প্রিয় ভক্ত, সর্বোচ্চ ভক্ত। গোপীদের ভক্তির সাথে কারো তুলনা হয় না। এইজন্য কৃষ্ণ তাদের প্রতি সর্বদা বাধ্য হয়ে গিয়েছেন। কৃষ্ণ গোপীদের বলছেন যে, "তোমাদের নিজেদের কাজে সন্তুষ্ট হতে হবে। আমি তোমাদের প্রেমের বদলে তোমাদের কিছু ফেরৎ দিতে পারব না। কৃষ্ণ, যিনি পরম, সবচেয়ে শক্তিশালী, তিনি গোপীদের ঋন পরিশোধ করতে অসমর্থ। তাই গোপীরা... চৈতন্য মহাপ্রভু বলেছেন, রম্যা কশ্চিৎউপাসনা ব্রজ-ব্ধূ-বর্গেন যো কল্পিতা। কোন বেশি ভাল পুজা নেই গোপীদের তুলনায়, তাই গোপীরা সর্বোচ্চ ভক্ত। এবং সর গোপীদের মধ্যে শ্রীমতী রাধারানী হলেন সর্বোচ্চ। এইজন্য শ্রীমতী রাধারানী কৃষ্ণের চেয়ে মহান। তাই এই হচ্ছে গৌড়িয় দর্শন। সময়ের প্রয়োজন আছে। তাই কৃষ্ণের কার্যকলাপ, দুষ্টরা, তারা দেখে যে "কৃষ্ণ অর্জুনকে উৎসাহিত করছেন যুদ্ধ করার জন্য, এইজন্য কৃষ্ণ অনৈতিক," এর মানে ভুল দৃষ্টি। তোমাকে আলাদা চোখে কৃষ্ণকে দেখতে হবে। তাইজন্য কৃষ্ণ ভগবদ্গীতায় বলেছে, জন্ম কর্ম চ মে দিব্যম, দিব্যম (ভ.গী.৪.৯) কৃষ্ণের এই দিব্য কার্যকলাপ, যদি কেউ বুঝতে পারে, শুধুমাত্র যদি কেউ এটা বুঝতে পারে, তাহলে তিনি সত্তর মুক্ত লাভ করেন। মুক্তি, সাধারন মুক্তি নয়, ভগবদ্ধাম ফিরে যাবার মুক্তি। ত্যক্তা দেহং পুর্ন জন্ম নৈতি মামাতি কৌন্তেয় (ভ.গী.৪.৯) সবচেয়ে বড় মুক্তি। মুক্তি বিভিন্ন প্রকারের হয়। সাযুজ্য, সারুপ্য, সাষ্টি, সালোক্য সাযুজ্য...(চৈ.চ.মধ্য ৬.২৬৬) পাঁচ প্রকারের মুক্তি। সাযুজ্য মানে অস্বিত্ত্বের মধ্যে লীন হয়ে যাওয়া, ব্রহ্মন , ব্রহ্মে লীন হওয়া এটাও এক প্রকারের মুক্তি। মায়াবাদী অথবা জ্ঞানী সম্প্রদায়, তারা চায় অস্বিত্ত্বে বিলীন হয় যেতে, ব্রহ্মে লীন হতে। সেটাও মুক্তি। একে বলে সাযুজ্য মুক্তি। কিন্তু ভক্তের জন্য, এই সাযুজ্য মুক্তি হচ্ছে নরকের মতন, কৈবল্য নরকায়তে। তাই বৈষ্ণবদের জন্য, কৈবল্যং .. অদ্বৈতবাদ, পরম অস্বিত্ত্বে সাথেচ লীন হওয়াকে নরকের সাথে তুলনা করা হয়েছে। কৈবল্যং নরকায়তে ত্রি দশে পুরাকশ পুস্পায়তে (চৈ.চন্দ্রামৃত ৫) আর কর্মী জ্ঞানী ব্রহ্মজ্যোতিতে লীন হয়ে যাবার জন্য উৎসুক। আর কর্মী, তাদের উচ্চ লক্ষ্য হচ্ছে যে কিভাবে তারা উচ্চতম লোকে পৌঁছাবে, স্বর্গ লোকে, যেখানে ভগবান ইন্দ্র আছেন অথবা ব্রহ্মা আছেন। এই হচ্ছে কর্মীদের ইচ্ছা, স্বর্গলোকে যাবার। তারা সব বৈষ্ণব দর্শন ছাড়া, অন্য সব শাস্ত্রে, অন্য সব সাহিত্যে, মানে খ্রীষ্টান এবং মুসলীম তাদের লক্ষ্য কিভাবে স্বর্গলোকে পৌঁছাবে।