BN/Prabhupada 0253 - আসল সুখ ভগবদ্গীতায় বর্নিত হয়েছে

Revision as of 06:57, 30 May 2018 by Soham (talk | contribs) (Created page with "<!-- BEGIN CATEGORY LIST --> Category:1080 Bengali Pages with Videos Category:Prabhupada 0253 - in all Languages Category:BN-Quotes - 1973 Category:BN-Quotes - L...")
(diff) ← Older revision | Latest revision (diff) | Newer revision → (diff)


Lecture on BG 2.8 -- London, August 8, 1973

প্রদ্যুন্মঃ

ন হি প্রপশ্যামি মমাপনুদ্যাদ যৎ শোকম উচ্ছোষণম ইন্দ্রিয়াণাম অবাপ্য ভুমাবসপত্নমৃদ্ধং রাজ্যং সুরাণামপি চাধিপত্যম (ভ.গী ২.৮)

অনুবাদ, "আমি এই দুঃখকে দূর করার জন্য কোন উপায় খুঁজে পাচ্ছি না, যা আমার ইন্দ্রিয়কে শুষ্ক করছে। আমি এটা ধ্বংস করতে সক্ষম হব না, এমনকি যদি আমি পৃথিবীতে একটি অতুলনীয় রাজ্য জিতি সার্বভৌমত্বের সঙ্গে, যেমন স্বর্গে দেবতারা করেন।

প্রভুপাদঃ ন হি প্রপশ্যামি মমাপনুদ্যাদ এটা জড় অস্তিত্বের অবস্থান। আমরা মাঝে মাঝে অসুবিধেয় পরি, কখনো কখনো না, সবসময়ের জন্য আমরা অসুবিধায় থাকি। কিন্তু আমরা কখনও কখনও এই কথা বলি, কারণ কঠিনটা থেকে বাহিরে আসার জন্য আমরা কিছু চেষ্টা করে থাকি। এবং তারা এই প্রচেষ্টাকে খুশি গ্রহণ করে। আসলে কোন সুখ নেই। কিন্তু কখনও কখনও, আশার সঙ্গে: "এই প্রচেষ্টা করি যে, আমি ভবিষ্যতে খুশি হব," ... এবং এই তথাকথিত বিজ্ঞানীরা স্বপ্ন দেখছেন, ভবিষ্যতে আমরা মৃত্যুর মুখোমুখি হবো না। "তাই অনেকেই স্বপ্ন দেখছে। কিন্তু যারা বুদ্ধিমান তারা বলে: "ভবিষ্যতের কথা বিশ্বাস করবেন না, সেটা যতই উপভোগ্য হোক না কেন।"

তাই এটাই বাস্তবিক স্থিতী। ন হি প্রপশ্যামি মমাপনুদ্যাদ। সেইজন্য তিনি কৃষ্ণকে বলেছেন; শিষ্যস্থেহং (ভ.গী.২.৭) "আমি, এখন আমি আপনার শিষ্য হলাম।" "কেন তুমি আমার কাছে এসেছ?" "কারন এই বিপজ্জনক পরিস্থিতি থেকে আমাকে রক্ষা করতে পারে এমন কাউকে জানি না।" এটা বাস্থবিক অর্থ। যৎ শোকম উচ্ছোষণম ইন্দ্রিয়াণাম (ভ.গী.২.৮) উচ্ছোষণম। যখন আমরা বড় সমস্যার মধ্যে পড়ি, তখন এটি অস্তিত্বকে নষ্ট করে। কোন ইন্দ্রিয় সুখ ভোগ আমাদের সুখী করতে পারে না। উচ্ছোষণম ইন্দ্রিয়াণাম । এখানে সুখ মানে ইন্দ্রিয় সন্তুষ্টি। প্রকৃতপক্ষে এটি সুখ নয়। প্রকৃত সুখ ভগবদ্গীতায় ব্যাখ্যা করা হয়েছে; অতিন্দ্রিয়াম সুখম অত্যন্তিকম যৎ তৎ অতিন্দ্রিয়ম ([[Vanisource:BG 6.21|ভ.গী ৬.২১) প্রকৃত সুখ, অত্যন্তিকম, পরম সুখের আনন্দ ইন্দ্রিয় দ্বারা নেওয়া যায় না। অতিন্দ্রিয়, অস্তিত্বের পার্থক্য, অতিক্রম করে। সেটাই বাস্তব সুখ। কিমরা জড় অস্বিত্বের মধ্যে আছি। এবং আমাদের ইন্দ্রিয় মিথ্যা ইন্দ্রিয়। সত্য ইন্দ্রিয় চিন্ময় ইন্দ্রিয়। তাই আমাদের আধ্যাত্মিক চেতনাকে জাগিয়ে তুলতে হবে তাহলে আমরা আধ্যাত্মিক ইন্দ্রিয় দ্বারা আনন্দ উপভোগ করতে পারব। সুখম অত্যন্তিকম যৎ অতিন্দ্রিয়ম (ভ.গী ৬.২১) ইন্দ্রিয়ের উপরে। এই ইন্দ্রিয় অতিক্রম মানে ... এই ইন্দ্রিয়, যার অর্থ আবরন। যেমন আমি এই দেহ। প্রকৃতপক্ষে আমি এই দেহ নই। আমি চিন্ময় আত্মা। কিন্তু প্রকৃত দেহকে আবরন করে রেখেছে, চিন্ময় দেহকে। একইভাবে, চিন্ময় দেহের চিন্ময় ইন্দ্রিয় রয়েছে। নিরাকার নয়। নিরাকার কেন হবে? এটি একটি সাধারণ বোঝা। আপনার এক বা দুই হাত আছে, আপনার দুটি হাত আছে। তাই যখন হাতকে কোন কাপড় দিয়ে আচ্ছাদিত করা হয়, তখন কাপড়ও একটা হাত পায়। কারণ আমার হাত আছে, তাই আমার পোষাকেরও হাত আছে। কারণ আমার পা আছে, তাই আমার আবরন, কাপড়ের, পা আছে , প্যান্ট। এটি একটি সাধারণ বোঝা। এই শরীর কোথা থেকে এসেছে? এই শরীরটি বর্ণনা করা হয়েছে: বাসাংসি, বস্ত্র। তাই পোশাক মানে শরীরের অনুযায়ী কাটা আবরন। এই হচ্ছে পোশাক। না আমার শরীর কাপড় অনুযায়ী তৈরি করা হয় না। এটি একটি মহান বোঝা। তাই যখন আমরা জামার হাত পাই, এটি আমার সূক্ষ্ম শরীর বা স্থূল শরীর, তাই প্রকৃতপক্ষে, আধ্যাত্মিকভাবে, আমি আমার নিজের হাত এবং পা পেয়েছি। অন্যথায়, কীভাবে এটা আসবে? কিভাবে আপনি উন্নতি করবেন?