BN/Prabhupada 0257 - তুমি কিভাবে ভগবানের আইন উলঙ্ঘন করতে পারো

Revision as of 04:04, 9 December 2021 by Soham (talk | contribs)
(diff) ← Older revision | Latest revision (diff) | Newer revision → (diff)


Lecture -- Seattle, September 27, 1968

আমাদের আন্দোলন হচ্ছে মূল পরম পুরুষ ভগবান শ্রীকৃষ্ণকে আরাধনা করা। গোবিন্দং আদি পুরুষং তমহং ভজামি। এই জড় জগতে প্রত্যেকে আনন্দ পাবার চেষ্টা করছে এবং দুদর্শা থেকে মুক্ত হবার চেষ্টা করছে। দুটি জিনিস চলছে, প্রয়াস। বিভিন্ন প্রক্রিয়া আছে। জড় প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ উদ্ভট। এটি ইতিমধ্যেই প্রমাণিত হয়েছে। জড় আরাম বা খুশি যতই হোক না কেন, তথাকথিত খুশি, সেটা আমাদের বাস্তবিক খুশি দিতে পারবে না, যেটা আমরা খুঁজছি। এটি সম্ভব নয়। তাছাড়া বিভিন্ন অন্যান্য প্রক্রিয়াও আছে। আমাদের জড় শর্তাধীন জীবনের কারণে তিন ধরনের দুঃখ রয়েছে: আধ্যাত্মিক, আদিভৌতিক এবং আদিদৈবিক। আধ্যাত্মিক মানে দেহ ও মন সম্পর্কিত। যখন এই শরীরের মধ্যে বিপাকের বিভিন্ন কার্যকলাপে গন্ডগোল হয়। আমাদের জ্বর হয়, আমরা কিছু ব্যাথা পাই, মাথাব্যাথা - এইরকম অনেক কিছু আছে। তাই এই দুঃখকে আধ্যাত্মিক বলা হয়, শরীরের সাথে সম্পর্কিত। এবং এই আধ্যাত্মিক দুঃখের আরেকটি দিক মনের কারণে হয়। ধরুন আমি একটা বড় লোকসানে ভুগছি। তখন মনের পরিস্থিতি ভাল থাকে না। তাই এটাও দুঃখ ভোগ করা। তাই শরীরের রোগের অবস্থা, বা কিছু মানসিক অসন্তোষ, এগুলি দুঃখ। তারপর আবার আদিভৌতিক- অন্য প্রাণিদের থেকে প্রাপ্ত দুঃখ। আমরা যেমন মানুষ, আমরা প্রত্যেকদিন কসাইখানাগুলিতে লক্ষ লক্ষ অবলা প্রাণীদের পাঠাচ্ছি। তারা প্রকাশ করতে পারে না, তবে এটি্কে আদিভৌতিক বলা হয়, অন্যান্য জীব থেকে কষ্ট পাওয়া। একইভাবে, আমরা অন্যান্য প্রাণীর দ্বারা প্রদত্ত কষ্টগুলিও ভোগ করি। ভগবানের আইনকে আপনি লঙ্ঘন করতে পারবেন না। তাই জাগতিক আইন, রাজ্যের আইনে, আপনি নিজেকে গোপন করতে পারেন, কিন্তু আপনি নিজেকে ভগবানের আইন থেকে লুকিয়ে রাখতে পারবেন না। অনেক সাক্ষী আছে। সূর্য আপনার সাক্ষী, চন্দ্র আপনার সাক্ষী, দিন আপনার সাক্ষী, রাত আপনার সাক্ষী, আকাশ আপনার সাক্ষী। সুতরাং কিভাবে আপনি ভগবানের আইন লঙ্ঘন করতে পারেন? তাই ... কিন্তু জাগতিক প্রকৃতি এমনভাবে গঠিত হয় যে আমাদের কেবল কষ্টই ভোগ করতে হয়। আধ্যাত্মিক, মনের সাথে সম্পর্কিত, শরীরের সাথে সম্পর্কিত, এবং অন্যান্য জীব দ্বারা প্রদত্ত দুঃখ এবং অন্য একটি দুঃখ হল আদিদৈবিক। আদিদৈবিক, যেমন কেউ কেউ ভূতের ভয়ে ভীত, ভূত তাকে আক্রমণ করেছে। ভূত দেখা যায় না, কিন্তু সে কষ্ট পাচ্ছে, কিছু বদমাশ এই কথা বলছে। বা দুর্ভিক্ষ, ভূমিকম্প, মহামারী, যুদ্ধ, অনেক কিছু আছে।

তাই কষ্ট সবসময় আছে। কিন্তু আমরা সমন্বয় করার চেষ্টা করছি। কষ্ট সর্বদা আছে। সবাই কষ্ট থেকে বেরিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে, এটি একটি সত্য। অস্তিত্বের সম্পূর্ণ সংগ্রাম হল দঃখ থেকে বের হওয়া। কিন্তু নির্দেশ বিভিন্ন ধরনের হয়। কেউ বলে যে আপনি এই ধরনের ঝামেলা থেকে বেরিয়ে আসুন, কেউ বলে যে আপনি এই ধরনের কষ্ট থেকে বেরিয়ে আসুন। তাই দার্শনিকদের দ্বারা, আধুনিক বিজ্ঞানীদের দ্বারা নির্দেশ দেওয়া হয়, নাস্তিক বা বিশ্বাসীদের দ্বারা, অভিনেতা দ্বারা, অনেক জিনিস আছে। কিন্তু কৃষ্ণ ভাবনামৃত আন্দোলন অনুযায়ী, আপনি সব কষ্ট থেকে বেরিয়ে আসতে পারেন। আপনি যদি কেবল আপনার চেতনা পরিবর্তন করেন, ব্যাস। এই হচ্ছে কৃষ্ণভাবনামৃত আমি অনেক বার একটি উদাহরণ দিয়েছি ... আমাদের সব দুঃখের কারণ জ্ঞানের অভাব, অজ্ঞতা। এই জ্ঞান উন্নত কর্তৃপক্ষ দ্বারা প্রাপ্ত করা যেতে পারে।