BN/Prabhupada 0263 - যদি তোমরা এই সূত্র খুব ভালভাবে নিয়ে থাক তবে তোমরা প্রচার করতে যাবে

Revision as of 08:43, 30 May 2018 by Soham (talk | contribs) (Created page with "<!-- BEGIN CATEGORY LIST --> Category:1080 Bengali Pages with Videos Category:Prabhupada 0263 - in all Languages Category:BN-Quotes - 1968 Category:BN-Quotes - L...")
(diff) ← Older revision | Latest revision (diff) | Newer revision → (diff)


Lecture -- Seattle, September 27, 1968

প্রভুপাদঃ হ্যাঁ

মধুদ্বিষাঃ প্রভুপাদ, বাস্তবে চৈতন্য মহাপ্রভু কি ভবিষ্যতবানী করেছিলেন যখন তিনি কলিযুগের স্বর্নযুগের ভবিষ্যতবানী করেছিলেন। (অপষ্ট) যখন মানুষ হরে কৃষ্ণ মহামন্ত্র জপ করবে?

প্রভুপাদঃ হ্যাঁ মানুষ... যেমন আমরা এখন হরে কৃষ্ণ প্রচার করছি। আপনাদের দেশে এরকম কোন প্রচার ছিল না। তাই আমরা আমাদের শিষ্যদের ইউরোপ, জার্মানি, লন্ডন পাঠিয়েছি - আপনারাও প্রচার করছেন। এইভাবে, এটি শুধুমাত্র আমাদের কার্যকলাপ, কার্যত ১৯৬৬ থেকে আরম্ভ। আমরা ১৯৬৬ সালে সংঘটি নিবন্ধিত করেছি এবং এটি ১৯৬৮ সাল। তাই ধীরে ধীরে আমরা ছড়িয়ে দিয়েছি এবং অবশ্যই, আমি একজন বৃদ্ধ মানুষ আমি মরতে পারি। যদি আপনারা এই সূত্রটি খুব ভালভাবে আপনারা হাতে নিয়ে থাকেন, তাহলে আপনারা ছড়িয়ে দিতে পারবেন এবং এটি সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়তে পারে। খুব সহজ জিনিস। শুধুমাত্র আমাদের একটু বুদ্ধির প্রয়োজন। ব্যাস। তাই যেকোন বুদ্ধিমান ব্যাক্তি সহায়তা করবে। কিন্তু কেউ যদি প্রতারিত হতে চায় তাহলে কিভাবে সে উদ্ধার পাবে, যদি কেউ খুশি থেকে প্রতারিত হতে চায়? তখন তাকে বোঝান খুব মুশকিল। কিন্তু যাদের খোলা মন, তারা নিশ্চয়ই এই ভাল আন্দোলনকে গ্রহণ করবে, এই কৃষ্ণ ভাবনামৃত আন্দোলন। হ্যাঁ।

জয় গোপালঃ যখন আমরা জড় শক্তিকে, আভ্যন্তরিন শক্তিতে কাজে লাগাই,কৃষ্ণের কাজে তাহলে এটি দিব্য হয়ে যায়, তাই নয় কি?

প্রভুপাদঃ না, যখন আপনি আপনার শক্তিকে প্রয়োগ করেন, তখন এটি জড় থাকে নয়, এটি আধ্যাত্মিক হয়ে যায়। যখন একটি তাম্র তারের বিদ্যুতের সাথে যোগাযোগ হয়, তাখন এটি তামা নয়, এটি বিদ্যুৎ। তাই কৃষ্ণের সেবা মানে যে যখনই আপনি কৃষ্ণের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করেছেন, আপনি কৃষ্ণের থেকে ভিন্ন নন। এটা ভগবদ্গীতায় বলে হয়েছেঃ মাম চ ব্যাভিচারেন ভক্তি যোগেন সেবতে। এই শব্দটি সেবতে। স গুনান সমতিতৈতান ব্রহ্মভুয়ায় কল্পতে (ভ.গী ১৪.২৬)। "যে কেউ নিজেকে আমার সেবায় নিয়োজিত করে, অবিলম্বে তিনি জড় গুন অতিক্রম করেন এবং তিনি ব্রহ্ম স্তরে উপস্থিত হন।" ব্রহ্ম ভূয়ায় কল্পতে। তাই যখন আপনি আপনার শক্তি কৃষ্ণের সেবায় লাগাবেন, মনে করবেন না যে আপনার জড় শক্তি সেখানে আছে। না। যেমন এই ফলের মতো, এই ফল, আমরা চিন্তা করতে পারি, "এই প্রসাদ কি? এই ফল কেনা হয়েছে, আমরা বাড়িতে ফল খাই, এবং এইটা প্রসাদ?" না। কারণ এটি কৃষ্ণের কাছে অর্পিত হয়েছে, এটি অবিলম্বে আর জড় থাকবে না। ফলাফল? আপনি কৃষ্ণ প্রসাদ খেয়েছেন এবং কীভাবে কৃষ্ণ ভাবনায় অগ্রগতি তৈরি করছেন তা দেখুন। ঠিক যেমন যদি ডাক্তার আপনাকে কিছু ঔষধ দেয় এবং আপনি সুস্থ হন, তাহলে এটা ঔষধের প্রভাব। আরেকটি উদাহরণ কিভাবে জড় জিনিস আধ্যাত্মিক হয়ে যায়। একটি খুব ভাল উদাহরণ আছে। মনে করুন আপনি খুব বেশী পরিমাণে দুধ খেয়ে ফেলেছেন। তাই আপনার অন্ত্র ব্যাধি হয়েছে, আপনি একজন ডাক্তারের কাছে যাবেন। কমপক্ষে, বৈদিক ব্যবস্থাপনার মতে ... তিনি আপনাকে দুধ থেকে তৈরি পদার্থ দেবে, দই। এই দুধ পদার্থ। দই একটি সামান্য ঔষধের মতো আচরণ করবে। এখন আপনার অসুস্থতা দুধের কারণে ছিল এবং এটি শুধুমাত্র দুধ দিয়ে চিকিৎসা করা হয়। কেন? এটি ডাক্তার দ্বারা নির্দেশিত। একই ভাবে, সব কিছু... উচ্চতর পর্যায়ে পদার্থের কোন অস্তিত্ব নেই, এটি শুধুমাত্র বিভ্রম। যেমন আজ সকালে আমি সূর্য এবং কুয়াশা উদাহরণ প্রদান করেছি। কুয়াশা সেখানে ছিল, সূর্য দেখা যাবে না। বোকারা বলবে, "কোন সূর্য নেই, এটা শুধু কুয়াশা।" কিন্তু জ্ঞানী ব্যক্তি বলবে, "সূর্য আছে, কিন্তু কুয়াশা আমাদের চোখ ঢেকে দিয়েছে। আমরা সূর্যকে দেখতে পাচ্ছি না।" একইভাবে, প্রকৃতপক্ষে, সবকিছুই কৃষ্ণের শক্তি, কিছুই জড় নয়, শুধু আমাদের মানসিকতার কারণে আমরা সব বিচার করতে চাই, এটা ভুল, বিভ্রম। এটি কৃষ্ণের সাথে আমাদের সম্পর্ককে আবৃত করছে। সুতরাং আপনি এটি ধীরে ধীরে বুঝতে পারবেন। সেবনমুখে হি জিহ্বাদৌ স্বংয় এব স্ফুরদতদৌ (ব্র.সং.১.২.২৩৪) যত তাড়াতাড়ি আপনি সেবা ভাবের অগ্রগতি করবেন, সবকিছু পরিষ্কার হয়ে যাবে। কিভাবে আপনার শক্তি দিব্য হয়ে উঠেছে।