BN/Prabhupada 0279 - বাস্তবে আমরা পয়সার সেবা করছি

Revision as of 18:39, 30 May 2018 by Soham (talk | contribs) (Created page with "<!-- BEGIN CATEGORY LIST --> Category:1080 Bengali Pages with Videos Category:Prabhupada 0279 - in all Languages Category:BN-Quotes - 1968 Category:BN-Quotes - L...")
(diff) ← Older revision | Latest revision (diff) | Newer revision → (diff)


Lecture on BG 7.2 -- San Francisco, September 11, 1968

এখন এখানে, এই অধ্যায়ে, এটা স্পষ্টভাবে ব্যাখ্যা করা হয়েছে, সর্বোচ্চ উপাসনাকারী কে? আমরা পূজা করছি আমাদের ক্ষমতা অনুযায়ী, আমরা কাউকে উপাসনা করছি। অন্তত আমরা আমাদের বসের পূজা করছি। ধরুন, আমি একটি অফিসে বা একটি কারখানায় কাজ করছি, আমার মালিকের উপাসনা করতে হবে। আমি তার আদেশ অনুসরণ করতে হবে তাই সবাই উপাসনা করছে। এখন, সর্বোচ্চ পূজনীয় ব্যক্তি কে, কৃষ্ণ। কিভাবে তিনি সবচেয়ে পুজনীয় বিষয়, এটি এই অধ্যায়ে ব্যাখ্যা করা হয়েছে। য স্বরূপম সর্ব করম চ যৎ চ ধিয়াম তদ উভয়ো-বিষয়কম জ্ঞানম ভকতুম অত্র ভক্তি-প্রতিজ্ঞানম। সুতরাং যদি আমরা মনে করি যে এখানে সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রণকারী আছে, এখানে সবচেয়ে পুজনীয় বিষয়গুলি আছে, তারপর আমাদের জীবনে সমস্যার সমাধান হবে একবার যা আমরা খুঁজছি .. সেই দিন, আমিএকটি কাহিনী বলেছিলাম যে একজন মুসলিম ভক্ত, তিনি সর্বোচ্চর সেবা করতে চেয়েছিলেন। তিনি নবাবের সেবা করতেন, তারপর তিনি বাদশাহের কাছে যান, তারপর স্ম্রাট থেকে হরিদাস, একজন সাধু ব্যাক্তি। এবং তিনি হরিদাস দ্বারা উৎসাহিত হন কৃষ্ণকে বৃন্দাবনে উপাসনা করার জন্য। তাই আমাদের বেশ বুদ্ধিমান, জিজ্ঞাসু হওয়া উচিত। আমরা সেবা করছি। সবাই, আমরা সেবা করছি, অন্তত আমরা আমাদের ইন্দ্রিয়ের সেবা করছি। সবাই, কার্যতঃ তারা কোন মালিক বা কোন গুরুকে সেবা করছে না, তারা তাদের ইন্দ্রিয়কে সেবা করছেন। যদি আমি কাউকে আমার বস হিসাবে সেবা করি, তবে আমি সেই ব্যক্তির সেবা করছি না, আমি তার অর্থের সেবা করছি। যদি তিনি বলেন, "আগামীকাল আপনাকে বিনামূল্যে কাজ করতে হবে। এখন আপনি প্রতিদিন ২০ ডলার পাচ্ছেন। আগামীকাল আমার কাছে টাকা নেই। আপনাকে বিনামূল্যে কাজ করতে হবে।" "আহ, না, না, মহাশয় আমি আসব না কারণ আমি আপনাকে সেবা করছি না, আমি আপনার টাকার সেবা করছি। তাই প্রকৃতপক্ষে আমরা টাকার সেবা করছি এবং কেন আপনি টাকার সেবা করছেন? কারণ অর্থ দিয়ে আমরা আমাদের ইন্দ্রিয়কে সন্তুষ্ট করতে পারি। অর্থ ছাড়া, আমরা এই দুর্জয় ইন্দ্রিয়কে সন্তুষ্ট করতে পারি না। যদি আমি পান করতে চাই, যদি আমি মজার জিনিসগুলো উপভোগ করতে চাই, তাহলে আমাকে অর্থের প্রয়োজন হবে। তাই শেষ পর্যন্ত আমি আমার ইন্দ্রিয়ের সেবা করছি। তাই কৃষ্ণকে গোবিন্দ বলা হয়। আমরা অবশেষে আমাদের ইন্দ্রিয়ের সন্তুষ্টি চাই এবং গো মানে ইন্দ্রিয়। এখানে ব্যক্তি, পরমপুরুষ ভগবান। আপনি যদি কৃষ্ণের সেবা করেন, তাহলে আপনার ইন্দ্রিয় সন্তুষ্ট হবে। তাই তার নাম গোবিন্দ। প্রকৃতপক্ষে, আমরা আমাদের ইন্দ্রিয়গুলি সেবা করতে চাই, কিন্তু প্রকৃত ইন্দ্রিয়, দিব্য ইন্দ্রিয় হচ্ছে, কৃষ্ণ, গোবিন্দ। অতএব, ভক্তি, ভক্তিমূলক সেবা, মানে ইন্দ্রিয়ের শুদ্ধকরণ। সর্বোচ্চ শুদ্ধের সেবায় থাকতে হবে। ভগবান পরম শুদ্ধ। ভগবদ্গীতার দশম অধ্যায়ে আপনি দেখতে পাবেন কৃষ্ণকে অর্জুন ব্যাখা করছেন। পবিত্রম পরমম ভবান; আপনি পরম শুদ্ধ। সুতরাং যদি আমরা সর্বোচ্চের ইন্দ্রিয়ের সেবা করতে চাই, তবে আমাদের খুব বিশুদ্ধ হতে হবে। কারন শুদ্ধ হওয়া ছাড়া...শুদ্ধ মানে আধ্যাত্মিক। আধ্যাত্মিক জীবন মানে শুদ্ধ জীবন এবং জড় জীবন মানে অসুদ্ধ জীবন। ঠিক যেমন আমরা এই শরীর পেয়েছি, জড় শরীর। এটি অশুচি শরীর। এ কারণেই আমরা রোগ ভুগছি, আমরা বুড়ো বয়সে ভুগছি, আমরা জন্ম থেকে ভুগছি, আমরা মৃত্যু থেকে ভুগছি। এবং আমাদের বাস্তব রূপে, বিশুদ্ধ রূপে, আধ্যাত্মিক রূপের মধ্যে, এই ধরনের কোন দুঃখ নেই। কোন জন্ম নেই, মৃত্যু নেই, কোন রোগ নেই এবং বার্ধক্য নেই। ভগবদ্গীতায় আমরা পরেছি, নিত্য শাশ্বত অহং ন হন্যতে হন্যমানে শরীরে (ভ.গী ২.২০) নিত্য। যদিও আমি প্রাচীনতম, কারন আমি আমার শরীর পরিবর্তন করছি ... আমি আত্মা হিসাবে, বিশুদ্ধ, আত্মা। আমার কোন জন্ম নেই,, আমার কোন মৃত্যু নেই, কিন্তু আমি কেবল শরীর পরিবর্তন করছি। তাই আমি সবচেয়ে প্রাচীনতম। তাই যদিও আমি প্রাচীনতম, আমার আত্মা নতুন। আমি সবসময় নতুন। এটা আমার অবস্থান।