BN/Prabhupada 0281 - মানুষ পশুর মতন, কিন্তু তর্ক সংগত পশু

Revision as of 10:25, 11 December 2021 by Soham (talk | contribs)
(diff) ← Older revision | Latest revision (diff) | Newer revision → (diff)


Lecture on BG 7.2 -- San Francisco, September 11, 1968

যজ্‌ জ্ঞাত্বা নেহা ভুয় অন্যাৎ জ্ঞাতভ্যম্‌ অবশিষ্যতে। ভূয় মানে আর কোন কিছুই জানার প্রয়োজন নেই। সবকিছু সম্পূর্ণরূপে জানা হয়ে গেছে। তাহলে এই প্রশ্ন হতে পারে যে কেন মানুষ কৃষ্ণকে বুঝতে পারে না। এটি অবশ্যই, একটি প্রাসঙ্গিক প্রশ্ন, এবং পরবর্তী শ্লোকে কৃষ্ণ দ্বারা উত্তর দেওয়া হয়েছে।

মনুষ্যানাং সহস্রেষু কশ্চিৎ
যততে সিদ্ধয়ে
যততামপি সিদ্ধানাম্‌
কশ্চিৎ মাম বেত্তি তত্ত্বত
(গীতা ৭.৩)

মনুষ্যনাং সহস্রেষু। বিভিন্ন ধরনের পুরুষ আছে। যেমন এই গ্রহে যারা বাস করে শুধুমাত্র তাদের সন্মন্ধে আমরা জানি, অন্যান্য গ্রহে, শত শত মানুষ এবং হাজার হাজার মানুষ আছে। এখানে আমরা বসে আছি, অনেক মহিলা এবং ভদ্রমহোদয়, বিভিন্ন ধরনের বৈচিত্র্য আছে। এবং আপনি যদি বাইরে যান, সেখানেও বিভিন্ন বৈচিত্র্য আছে। যদি আপনি অন্য দেশে যান - ভারত, জাপান, চীন - আপনি বিভিন্ন রকমের বৈচিত্র দেখতে পাবেন। এ কারণেই বলা হয়েছে, মনুষ্যানাং সহস্রেষু (ভ.গী.৭.৩) বিভিন্ন রকমের মানুষের ভিতর, কশ্চিৎ যততি সিদ্ধয়ে, কেবলমাত্র কয়েকজন লোক জীবনের এই দর্শন বুঝতে চায়।

কারণ মানুষ একটি যৌক্তিক প্রাণী। মানুষ যুক্তিযুক্ত। মানুষ প্রাণী, কিন্তু যুক্তিযুক্ত প্রাণী। একজন মানুষের জন্য বিশেষ উপহার হল যে তিনি কি কি খারাপ, কি ভাল, তার সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। তার প্রাণীদের তুলনায় অতিরিক্ত জ্ঞান আছে। তাই বর্তমান সময়ে শিক্ষার ব্যবস্থা এতটাই খারাপ যে এটি বাস্তবিকভাবে পশু শিক্ষা। পশু শিক্ষা মানে যখন আমরা খাদ্য, ঘুম, যৌন সম্পর্ক এবং উদ্ধারে খুব আগ্রহী থাকব, এটি পশু শিক্ষা। খাওয়া, নিদ্রা, সম্ভোগ, আত্মরক্ষা, ওহ, আপনি পশুদের মধ্যে এটি পাবেন। কোন পার্থক্য নেই। তারা তাদের নিজস্ব যৌন সংসর্গ আছে, তাদের ঘুমের জন্য ব্যবস্থা আছে, নিজেদের রক্ষা করার উপায় আছে। আপনি একটি নির্জন স্থানে আপনার স্ত্রীর সঙ্গে যৌন সুখ করছেন, একটি সুন্দর রুমের মধ্যে, সাজানো গোছান ঘরের মধ্যে। কিন্তু একটি কুকুর রাস্তায় মিলিত হচ্ছে, কিন্তু ফলাফল একই। সুতরাং যৌন সংসর্গের পদ্ধতি উন্নত করা সভ্যতার অগ্রগতি নয়। এটি সভ্য প্রাণীদের সভ্যতা, ব্যাস্‌। পশুরাও, একটি কুকুর অন্যান্য কুকুর থেকে নিজেকে রক্ষা করতে পারে। এবং যদি আপনি মনে করেন যে আপনি আপনার প্রতিরক্ষার জন্য পারমাণবিক শক্তি আবিষ্কৃত করেছেন, এটা মানব সভ্যতার অগ্রগতি নয়। উদ্ধারের জন্য ব্যবস্থা, ব্যাস্‌, একইভাবে, আপনি বিশ্লেষণ করে যান।

মানুষের বিশ্লেষণ একদম সঠিক যখন তার সাংবিধানিক অবস্থানের জন্য অনুসন্ধান করেন। "আমি কে? আমি কি? আমি কি এই শরীর? আমি এই পৃথিবীতে কেন এসেছি? "এই জিজ্ঞাসা গুরুত্বপূর্ণ। এটি মানবজাতির বিশেষ বিশেষ অধিকার। তাই যত তাড়াতাড়ি আমরা কৌতূহলী হব, "আমি কে?" এবং যদি সে এইভাবে অনুসন্ধান করে, তবে সে ভগবানের কাছে আসবে। কারণ তিনি ভগবানের অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি ভগবানের একটি নমুনা। তাই জন্য বলা হয় মনুষ্যানাং সহস্রেষু (ভ.গী ৭.৩)। অনেক, হাজার হাজার মানুষ্য প্রজাতির মধ্যে, একজন, বা কেউ কেউ ভগবান সম্পর্কে জানতে আগ্রহী হয়। শুধু জানাই না ... শুধুমাত্র ভগবানকে জানাই নয়, নিজের সম্পর্কেও জানতে হবে। যদি সে সত্যিই নিজের সম্পর্কে জানতে চায়, তাহলে সে ধীরে ধীরে ভগবানের কাছে আসবে।