BN/Prabhupada 0290 - যখন আপনার বাসনা পুরো না হয়, তখন আপনি রাগ করেন

Revision as of 20:13, 30 May 2018 by Soham (talk | contribs) (Created page with "<!-- BEGIN CATEGORY LIST --> Category:1080 Hindi Pages with Videos Category:Prabhupada 0290 - in all Languages Category:HI-Quotes - 1968 Category:HI-Quotes - Lec...")
(diff) ← Older revision | Latest revision (diff) | Newer revision → (diff)


Lecture -- Seattle, September 30, 1968

উপেন্দ্রঃ প্রভুপাদ, ক্রোধের প্রকৃতি কি? কিভাবে ক্রোধ কে...

প্রভুপাদঃ ক্রোধের অর্থ হচ্ছে বাসনা। যখন তুমি বাসনা করবে এবং সেই বাসনা চরিতার্থ না হবে, তখন তোমার ক্রোধ হবে। ব্যাস। এই কামনার আরেকটি বৈশিষ্ট্য। কাম এষ ক্রোধ এষ রজোগুন-সমুদ্ভব। যখন তুমি রজোগুনের দ্বারা বেশী প্রভাবিত হয়ে পড়বে, তখন তুমি কামের শিকার হবে। এবং যখন তোমার কামনা চরিতার্থ না হবে, তখন তোমার ক্রোধ হবে, পরবর্তি পর্যায়ে। এবং তার পরবর্তি পর্যায় হচ্ছে বিভ্রান্তি। এবং তার পরবর্তি পর্যায় হচ্ছে প্রনশ্যন্তি, তারপর আপনার ধবংস হবে। তাই এই বাসনা এবং ক্রোধকে নিয়ন্ত্রন করতে হবে। এই নিয়ন্ত্রন মানে হচ্ছে তোমাকে সত্ত্বগুনে অধিষ্টিত হতে হবে, রজোগুনে নয়। প্রকৃতির তিনটি গুন আছে। সত্ত্বগুন, রজোগুন এবং তমোগুন। অতএব, যদি কেউ ভগবানের বিজ্ঞান জানতে চায়, তাহলে তাকে সত্ত্বগুনে থাকতে হবে। অন্যথায় তিনি পারবেন না। তাই আমরা আমাদের শিষ্যদের শিক্ষা দিচ্ছি যে, " তোমরা এটা কোরো না, তোমরা ওটা কোরো না, তোমরা ওটা কোরো না, তোমরা ওটা কোরো না," কারন তাদের নিজেদের সত্ত্বগুনে থাকতে হবে, অন্যথায় তারা বুঝতে পারবে না। রজোগুন এবং তমোগুনের স্তরে কৃষ্ণ ভাবনামৃত বুঝতে পারা সম্ভব নয়। পুরো জগত রজোগুন এবং তমোগুনের প্রভাবের অধীন। কিন্তু এই পদ্ধতিটি এত সহজ যে আপনি যদি কেবলমাত্র চারটি নিয়ম অনুসরণ করেন এবং হরে কৃষ্ণ জপ করেন। আপনি অবিলম্বে জড় প্রকৃতির সব গুণাবলী অতিক্রম করবেন। তাই ক্রোধ রজোগুনের মধ্যে পরে।