BN/Prabhupada 0296 - যদিও যীশুখৃষ্টকে ক্রশবিদ্ধ করা হয়েছিল কিন্তু তিনি তার মত কখনো পরিবর্তন করেন নি

Revision as of 11:36, 3 June 2018 by Soham (talk | contribs) (Created page with "<!-- BEGIN CATEGORY LIST --> Category:1080 Bengali Pages with Videos Category:Prabhupada 0296 - in all Languages Category:BN-Quotes - 1968 Category:BN-Quotes - L...")
(diff) ← Older revision | Latest revision (diff) | Newer revision → (diff)


Lecture -- Seattle, October 4, 1968

ভগবান আছে সেটা বেদে প্রমাণ আছে। প্রত্যেক শাস্ত্রে, প্রত্যেক মহান ব্যক্তিত্ব, ভক্ত, ভগবানের প্রতিনিধি ... যেমন প্রভু যীশু খ্রীষ্ট, তিনি ভগবানের জ্ঞান দিয়েছেন। যদিও তিনি কুরুশবিদ্ধ হয়েছিলেণ, তবুও তিনি তাঁর মতামত পরিবর্তন করেননি। তাই শাস্ত্র থেকে, বেদ থেকে, মহান ব্যক্তিত্বের কাছ থেকে প্রমাণ পাওয়া যায়, তবুও, যদি আমি বলি ভগবান মৃত, ভগবান নেই।" তাহলে কী ধরনের মানুষ আমি? একে দৈত্য বলা হয়। তারা বিশ্বাস করবে না। তারা বিশ্বাস করবে না ... শুধু এর বিপরীত (থেকে) দৈত্য। বুধা। বুধা মানে খুব বুদ্ধিমান, জ্ঞানী মানুষ। চৈতন্য- চরিতামৃতে বলা হয়েছে, তাই কৃষ্ণ যে ভজে সে বড় চতুর। যে কেউ কৃষ্ণের প্রতি আকৃষ্ট হয় এবং যে তাকে ভালবাসে ... পূজা মানে ভালবাসা। শুরুতে এটা উপাসনা, কিন্তু শেষ পর্যন্ত এটি প্রেম। পূজা।

তাই ইতি মত্ত্বা ভজন্তে মাং বুধা। যে বিজ্ঞ, কে জ্ঞানী, কে জানে যে কৃষ্ণ সব কারণের কারন...

ঈশ্বরঃ পরমঃ কৃষ্ণঃ সদ-চিৎ-আনন্দ-বিগ্রহ অনাদির আদি গোবিন্দ সর্ব-কারন-কারনম (ব্র.সং ৫.১)

সর্ব-কারনঃ সবকিছুই কারণ, কারন এবং প্রভাব। তাই আপনি এই ভাবে অনুসন্ধান করুন, এর কারণ কি, কারণ কি, এর কারণ কি, তাহলে আপনি কৃষ্ণকে খুঁজে পাবেন। সর্ব-কারন-কারনম। বেদান্তে বলা হয়েছে, যন্মাদস্য যতোঃ (শ্রী.ভা.১.১.১) আপনি বলতে পারেন না যে সবকিছু স্বয়ংক্রিয় নির্গত হয়। এটা নির্বুদ্ধিতা। সবকিছুর একটি উৎস আছে। সবকিছুর, এটাই বুদ্ধিমত্তা। এইরকম বলো না যে ... আধুনিক বিজ্ঞানের মতো, যে "একটি অংশ ছিল এবং পুনর্নির্মাণ করা হয়েছিল - হয়তো" এটাও "হয়তো," আপনি দেখুন। তাই এই ধরনের জ্ঞান নিরর্থক। আপনাকে অবশ্যই খুঁজে বের করতে হবে। যদি আমি বিজ্ঞানীদের জিজ্ঞাসা করি, "এই টুকরার কারণ কি?" তারা উত্তর দিতে পারে না। তাই কারণ খুঁজে বের করুন, এবং আপনি পাবেন ... যদি আমি খুঁজে না পাই, তাহলে আমাদের অনুসরণ করা উচিত ... মহাজন যেন গত স পন্থা (চৈ.চ.মধ্য.১৭.১৮৬)। আমাদের অনুমোদিত আচার্যদের অনুসরণ করা উচিত। আপনি যদি একজন খৃস্টান হন, তাহলে যীশু খ্রীষ্টের অনুসরণ করুন। তিনি বলেন, "ভগবান আছেন।" তারপর আপনি স্বীকার করেন যে ভগবান আছেন। তিনি বলেন যে, "ভগবান এটা সৃষ্টি করেছেন।" তিনি বলেন যে, 'সৃষ্টি করা যাক' এবং সৃষ্টি হয়েছে। তাই আমরা এটি গ্রহণ করি, "হ্যাঁ, ভগবান এটা তৈরি করেছেন।" এমনকি এখানে ভগবদ গীতাতে, ভগবান বলেছেন, "কৃষ্ণ বলেছেন অহং সর্বস্য প্রভাবো (ভ.গী.১০.৮)," আমি মুল কারন। তাই ভগবান সৃষ্টির কারন। সর্ব-কারন-কারণম (ব্র.সং. ৫.১) তিনি সব কারণের কারণ।

সুতরাং আমাদের মহান ব্যক্তিত্বদের উদাহরণ নিতে হবে, আমাদের অনুমোদিত বই এবং বেদ অধ্যয়ন করতে হবে এবং আমাদেরকে তাদের উদাহরণ অনুসরণ করতে হবে; তাহলে কৃষ্ণ ভাবনামৃত বা ভগবান অনুভূতি বা ভগবৎ ভাবনা কঠিন মনে হবে না। এটা খুব সহজ। সেখানে কেউ নেই, আমি বলতে চাচ্ছি, কোন বাধা নেই ভগবানকে বোঝার জন্য। সবকিছু আছে। ভগবদ গীতা আছে, শ্রীমদ-ভাগবতম সেখানে আছে। আপনি বিশ্বাস করেন, আপনাদের বাইবেল আছে, কোরান আছে, সর্বত্র। ভগবান ছাড়া, কোন বই বা ধর্মগ্রন্থ হতে পারে। আজকাল, অবশ্য, তারা অনেক কিছু তৈরি করছে। কিন্তু যে কোন মানব সমাজেই ভগবান ধারণটি আছে- সময় অনুযায়ী, মানুষ অনুযায়ী, কিন্তু ধারণা আছে। এখন আপনাকে বুঝতে হবে, জিজ্ঞাসু। যে কারণে বেদান্ত সূ্ত্রে বলা হয়েছে, যে আপনি তদন্ত দ্বারা বোঝার চেষ্টা করুন, তদন্ত করুন। এই তদন্ত খুবই গুরুত্বপূর্ণ।