BN/Prabhupada 0323 - হংসের সমাজ তৈরি করা, কাকের নয়

Revision as of 04:55, 15 December 2021 by Soham (talk | contribs) (Created page with "<!-- BEGIN CATEGORY LIST --> Category:1080 Bengali Pages with Videos Category:Prabhupada 0323 - in all Languages Category:BN-Quotes - 1974 Category:BN-Quotes - L...")
(diff) ← Older revision | Latest revision (diff) | Newer revision → (diff)


Lecture on SB 3.25.12 -- Bombay, November 12, 1974

তাই এই জড় জীবন হচ্ছে প-বর্গ। যদি আপনি এটিকে শেষ করতে চান তবে তা হচ্ছে অপবর্গ। তাই এটাকে বলা হয় অপবর্গ-বর্ধনম্‌ (শ্রী.ভা. ৩.২৫.১২), কিভাবে মুক্তির প্রতি রুচি বাড়ানো যায় মানুষ এত অলস হয়ে গেছে, তারা বুঝতে পারে না মুক্তির অর্থ কি। তারা বুঝতে পারছে না শুধু পশুর মতন। তারা .... যদি কোন প্রাণীকে "মুক্ত আছে" বলে জানানো হয় তাহলে সে কি বুঝতে পারবে। সে বুঝবে না। তার জন্য এটা সম্ভব নয়। একইভাবে, বর্তমান মুহূর্তে, মানব সমাজ প্রকৃতপক্ষে পশুদের মত পরিণত হয়েছে। তারা জানে না অপবর্গ বা মুক্তি মানে কি? তারা জানে না। কিন্তু এটি এমন সময় ছিল যখন মানুষ বুঝত যে এই মানব জীবনের অর্থ হচ্ছে অপবর্গ। অপবর্গ, প,ফ,ব,ভ,ম এর চক্কর বন্ধ করা। একেই বলা হয় অপবর্গ-বর্ধনম (শ্রী.ভা. ৩.২৫.১২)। তাই দেবহুতি দ্বারা করা প্রশ্ন এবং উত্তর, যা কপিলদেব দিয়েছেন, এটাই অপর্বগ বর্দ্ধনম। এটাই চাই। এটাই পুরো বেদের শিক্ষা। তস্যৈব হেতোঃ প্রযতেত কোবিদঃ (শ্রী.ভা. ১.৫.১৮)। অপবর্গের জন্য প্রত্যেকে চেষ্টা করছে। সবাইকে তাদের সেরা চেষ্টা করা উচিত। "এবং আমার রক্ষণাবেক্ষণ সম্পর্কে কি?" রক্ষণাবেক্ষণের জন্য, শাস্ত্র জোর দেয় না যে "আপনি রক্ষণাবেক্ষণের চেষ্টা করেন।" শাস্ত্র বলছে, "এটা আসবে, এটা এমনতেই আছে। এটা আসবে" কিন্তু আমাদের এমন কোন বিশ্বাস নেই যে, "ভগবান এটা দিয়েছেন ..., প্রাণী, পাখি, পশুদের খাদ্য দিয়েছেন, গাছকে দিচ্ছেন, প্রত্যেককে এবং কেন তিনি আমাকে দেবেন না? আমার সময়কে সংযুক্ত করা যাক অপবর্গের জন্য।" তাদের কোন বিশ্বাস নেই। তাদের এমন কোন শিক্ষাও নেই। তাইজন্য ভাল সঙ্গের প্রয়োজন, কাকের সঙ্গ নয় কিন্তু হংসের সঙ্গ প্রয়োজন। তারপর এই জ্ঞান আসবে।

তাই এই কৃষ্ণ ভাবনামৃত আন্দোলন মানে তারা হংস সমাজ তৈরি করেছে, কাকের সমাজ নয়। কাকের নয়। কাকরা উৎসাহী নয়। তাদের উৎসাহ ফেলা জিনিসের প্রতি, আমি বলতে চাইছি আবর্জনার দিকে। তারা আগ্রহী। পুনঃ পুনঃ চর্বিত-চর্বণানাম্‌ (শ্রী.ভা. ৭.৫.৩০)। পুনঃপুনঃ চর্বিত-চর্বনানম। যেমন আমরা ফেলে দিই... খাওয়ার পরে, আমরা পাতা ছুঁড়ে ফেলে দিই। খাবারের কিছু অবশিষ্টাংশ আছে, এবং কাকরা আসে, কুকুর আসে। তারা আগ্রহী। তারা বলে না ... একজন বিজ্ঞ মানুষ সেখানে যাবে না। কিন্তু এই কাক এবং কুকুর সেখানে যাবে। তাই এই দুনিয়া এই রকম। পুনঃ পুনঃ চর্বিত-চর্বনানম (শ্রী.ভা. ৭.৫.৩০)। চাবান বস্তুকে আবার চাবানো। যেমন আপনারা আঁখকে চিবিয়ে রাস্তায় ফেলে দেন। কিন্তু যদি কেউ এসে সেটিকে আবার চিবাতে থাকে, তাহলে সে বোকা। তাকে জানা উচিত, "রস আখ থেকে চলে গেছে, আমি চিবিয়ে এখন কি পাব?" কিন্তু এমন প্রাণী আছে, তারা আবার চিবাতে চায়। তাই আমাদের জড় সমা্জের মানে হচ্ছে চিবান বস্তুকে চাবানো। একজন বাবা তার ছেলেকে জীবিকা অর্জন করতে শেখায়, তিনি তার বিয়ে করান এবং তার স্থায়ী বন্দোবস্ত করেন, কিন্তু তিনি জানেন যে "এই কাজ, অর্থ উপার্জন এবং বিবাহ, বাচ্চা উৎপন্ন, আমিও করেছি, কিন্তু আমি সন্তুষ্ট না। তাহলে কেন আমি এই কাজে আমার ছেলেকে নিযুক্ত করছি? "চর্বিত চর্বনানাম একেই বলা হয়। একই জিনিস চাবান "আমি আমার এই কাজ নিয়ে সন্তুষ্ট নই, কিন্তু কেন আমি আমার ছেলেকেও নিযুক্ত করছি?" প্রকৃত পিতা এমন একজন যিনি তার পুত্রকে চিবান বস্তু চিবানোর অনুমতি দেন না। সে সত্যিকারের পিতা। পিতা ন স স্যা্‌ জননি ন স স্যাৎ, ন মোচয়েদ সমুপেত মৃত্যুম (শ্রী.ভা. ৫.৫.১৮)। এটা আসল গর্ভনিরোধক। একজন পিতা, একজন মানুষকে পিতা হতে চাওয়া উচিত নয়, একজন মহিলার মা হতে চাওয়া উচিত নয়, যতক্ষণ না তারা মৃত্যুর ঝুঁকির মধ্যে থেকে শিশুদের রক্ষা করতে সক্ষম। এটাই পিতা ও মাতার কর্তব্য।