BN/Prabhupada 0335 - শিক্ষিত মানুষ প্রথম শ্রেনীর যোগী হতে পারে

Revision as of 17:24, 25 July 2018 by Soham (talk | contribs) (Created page with "<!-- BEGIN CATEGORY LIST --> Category:1080 Bengali Pages with Videos Category:Prabhupada 0335 - in all Languages Category:BN-Quotes - 1972 Category:BN-Quotes - L...")
(diff) ← Older revision | Latest revision (diff) | Newer revision → (diff)


Lecture on BG 2.24 -- Hyderabad, November 28, 1972

একজন ব্রাহ্মণ, কৃষ্ণের কাছে প্রার্থনা করেন। "আমার প্রিয় প্রভু, আমি আমার ইন্দ্রিয়ের দাস হয়ে গেছি।" এখানে অনেকেই তার ইন্দ্রিয়ের দাস। তারা ইন্দ্রিয় কে আনন্দ দিতে চায়। আনন্দ নয়- তারা ইন্দ্রিয়ের সেবা করতে চায়। আমার জিহ্বা বলে," অনুগ্রহ করে আমাকে ভালো হোটেলে নিয়ে চলো এবং আমাকে ভালো ভালো চিকেন জুস দাও।" আমি শীঘ্র যাই। আনন্দ করার জন্য নয়, আমার জিহ্বার আদেশ পালন করার জন্য। অতএব আনন্দের নামে আমরা সব ইন্দ্রিয়ের সেবা করছি। সংস্কৃতে যাকে বলা হয় গো-দাস। গো মানে ইন্দ্রিয়। সুতরাং যদি তুমি গোস্বামী না হও তোমার জীবন নষ্ট হয়ে যাবে। গোস্বামী। তুমি ইন্দ্রিয়ের দ্বারা পরিচালিত হবে না। ইন্দ্রিয় তোমার দ্বারা পরিচালিত হবে। যখন জিহ্বা তোমাকে বলবে, "এখন তুমি আমাকে ঐ হোটেলে নিয়ে চলো আর আমাকে একটি সিগারেট দাও।" যদি তুমি বলো,"না। সিগারেট নয়, হোটেল নয়, কেবল মাত্র কৃষ্ণ প্রসাদ," তখন তুমি হবে গোস্বামী। তখন তুমি হবে গোস্বামী। এটিই বৈশিষ্ট্য, সনাতন। কারন আমরা কৃষ্ণের নিত্য দাস। তাই একে বলা হয় সানাতন ধর্ম। যেটা আমরা অজামিল উপ্যাখ্যানে বর্ণনা করছি। এই পদক্ষেপ অর্জন করতে হবে। তপস্যা ব্রহ্মচর্যেন শমেন দমেন শৌচেন ত্যাগেন যমেন নিয়নেন (শ্রী.ভা. ৬.১.১৩)।

তাই সমস্ত বৈদিক শাস্ত্র বর্নণা করে কীভাবে ইন্দ্রিয় নিয়ন্ত্রন করা যায়। যোগ। যোগ ইন্দ্রিয় সংযম। এটাই যোগ। যোগ মানে যাদু দেখানো নয়। এটা প্রথম শ্রেণীর যাদু। যদি তুমি যোগ চর্চা করো আমরা দেখব অনেক যোগী, কিন্তু তারা কেউ ধূমপানের জন্য ইন্দ্রিয় কে নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনি। তুমি দেখ। ধূমপান এবং এইরকম অনেক কিছু চলছে। এবং এখনো, তাদের যোগি হিসাবে বিবেচনা করা হয়। কি ধরনের যোগী? যোগী মানে যে তার ইন্দ্রিয় নিয়ন্ত্রন করেছে। সমেন দমেন ব্রহ্মর্চযেন। তারাই... ভগবদ গীতায় যোগ প্রনালী সম্পর্কে বর্নণা করা হয়েছে। এবং পাঁচ হাজার বছর আগে, অর্জুন যোগ, ইন্দ্রিয় নিয়ন্ত্রন সম্বন্ধে শ্রবন করেছিলেন। তিনি ছিলেন গৃহস্থ্য, রাজনীতিবীদ, কারন তিনি রাজকীয় পরিবার ভুক্ত ছিলেন। তিনি রাজ্যের বিজয় লাভের জন্য লড়াই করেছিলেন। অর্জুন কৃষ্ণ কে স্পষ্ট ভাবে বলেছিলেন, "আমার প্রিয় কৃষ্ণ আমার পক্ষে যোগী হওয়া সম্ভব নয় কারন এটা খুবি কঠিন কাজ। তুমি আমাকে বলছো একটি নিচু স্থানে, একাকী বসতে, এবং সোজা হয়ে আমার নাকের বিন্দু এবং তোমার নাকের বিন্দুর দিকে দেখতে, আরও অনেক কিছু... কিন্তু এটা আমার পক্ষে সম্ভব নয়।" তিনি স্পষ্ট ভাবে প্রত্যাখ্যান করলেন। সুতরাং কৃষ্ণ, শুধু তার বন্ধু এবং ভক্তকে উৎসাহিত করতে ... তিনি বুঝতে পেরেছিলেন যে অর্জুন হতাশ হচ্ছে। সে স্পষ্টভাবে এটা স্বীকার করে যে এটি তার পক্ষে সম্ভব নয়। আসলে তিনি একজন রাজনীতিবিদ। কীভাবে তার পক্ষে যোগী হওয়া সম্ভব? কিন্তু আমাদের রাজনীতিবিদরা, তারা বিজ্ঞাপনে বলে যে তারা যোগ অভ্যাস করছে। কি ধরনের যোগ? তারা কি অর্জুনের চেয়েও বেশি হয়ে গেছে? এই যুগে পতিত যুগে? পাঁচ হাজার বছর আগে কতো অনুকুল পরিস্থিতি ছিলো। এবং এখন, এমন একটি প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্যে, পরাজিত অবস্থায় আপনি একটি যোগী হতে চান? এটা সম্ভব নয়। কৃতে যদ ধ্যায়াতো বিষ্ণুম (শ্রী.ভা. ১২.৩.৫২)। যোগ মানে বিষ্ণুর ধ্যান করা। এটা সত্য যুগে সম্ভব ছিলো। বাল্মিকীর মতো। তিনি ষাট হাজার বছর ধরে তপস্যা করেছিলেন এবং সম্পূর্ণ করেছিলেন। তাহলে ষাট বছর ধরে কে বাঁচবে? সুতরাং এটি সম্ভব নয়। তাই কৃষ্ণ, তাকে উৎসাহিত করতে ... প্রকৃতপক্ষে, যোগের উদ্দেশ্য, তিনি অর্জুনকে ব্যাখ্যা করেন,

যোগীনাম অপি সর্বেসাম
মদ গতেন্তরাত্মন
শ্রদ্ধাবান ভজতে যো মাম
স মে যুক্ত তমো মতঃ
(ভ.গী ৬.৪৭)।

প্রথম শ্রেনীর যোগী কে? যোগীনাম অপি সর্বেসাম মদ গতেন্তরাত্মন। যে সর্বদা আমার চিন্তা করে, কৃষ্ণ।

তো এই কৃষ্ণ ভাবনামৃত আন্দোলন মানুষ কে শিক্ষা দেয় যে কীভাবে প্রথম শ্রেনীর যোগী হওয়া যায়। কৃষ্ণ চিন্তা। হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে/হরে রাম হরে রাম রাম রাম হরে হরে। এটি ভুল নয়। এটি বাস্তব সত্য। তুমি একজন যোগী হতে পারো। তুমি ব্রাহ্মন হতে পারো। ব্রহ্ম ভুয়ায় কল্পতে।

মাং চ যোহব্যভিচারেন
ভক্তিযোগেন সেবতে
স গুণান সমতীত্যৈতান
ব্রহ্মভূয়ায় কল্পতে
(ভ.গী. ১৪.২৬)

সুতরাং যখন আপনি আত্ম বোধ হবে, আত্ম বোধ ব্যক্তি, ব্রহ্ম-ভূত, (শ্রী. ভা. ৪.৩০.২০) ব্রহ্মভূতঃ প্রসন্নাত্মা (ভ.গী ১৮.৫৪), তার জন্য কী অবশেষ থাকবে? এটা জীবনের শেষ লক্ষ্য, অহম ব্রহ্মাষ্মী হওয়ার। বৈদিক সাহিত্য আমাদেরকে শিক্ষা দেয় যে, "কখনো মনে করো না যে এই পদার্থের জন্য তোমাকে তৈরি করা হয়েছে, তুমি ব্রাহ্মণ।" কৃষ্ণ পরম ব্রাহ্মণ, এবং আমরা তাঁর অধিনস্থ ব্রাহ্মন। নিত্য কৃষ্ণ দাস। আমরা সেবক ব্রাহ্মন। তিনি মালিক ব্রাহ্মন। সুতরাং আমাকে মনে করতে হবে যে আমি একজন দাস ব্রাহ্মন আমি মনে করছি যে আমি একজন মালিক ব্রাহ্মন। এটা আরও একটি ভুল। এটা আরও একটি ভুল।