BN/Prabhupada 0344 - শ্রীমদ্ভাগবতম কেবল ভক্তির সাথে সন্মন্ধিত: Difference between revisions

(Created page with "<!-- BEGIN CATEGORY LIST --> Category:1080 Bengali Pages with Videos Category:Prabhupada 0344 - in all Languages Category:BN-Quotes - 1974 Category:BN-Quotes - L...")
 
No edit summary
 
Line 7: Line 7:
[[Category:BN-Quotes - in India, Bombay]]
[[Category:BN-Quotes - in India, Bombay]]
<!-- END CATEGORY LIST -->
<!-- END CATEGORY LIST -->
<!-- BEGIN NAVIGATION BAR -- TO CHANGE TO YOUR OWN LANGUAGE BELOW SEE THE PARAMETERS OR VIDEO -->
<!-- BEGIN NAVIGATION BAR -- DO NOT EDIT OR REMOVE -->
{{1080 videos navigation - All Languages|French|FR/Prabhupada 0343 - Nous essayons d’éduquer les Mudhas|0343|FR/Prabhupada 0345 - Krishna est dans le coeur de chacun|0345}}
{{1080 videos navigation - All Languages|Bengali|BN/Prabhupada 0343 - আমরা মূঢ়কে শিক্ষিত করার জন্য চেষ্টা করছি|0343|BN/Prabhupada 0345 - প্রত্যেকের হৃদয়ে কৃষ্ণ বসে আছেন|0345}}
<!-- END NAVIGATION BAR -->
<!-- END NAVIGATION BAR -->
<!-- BEGIN ORIGINAL VANIQUOTES PAGE LINK-->
<!-- BEGIN ORIGINAL VANIQUOTES PAGE LINK-->
Line 18: Line 18:


<!-- BEGIN VIDEO LINK -->
<!-- BEGIN VIDEO LINK -->
{{youtube_right|DnoDNyzqktU|শ্রীমদ্ভাগবতম কেবল ভক্তির সাথে আচরণ করে<br />- Prabhupāda 0344 }}
{{youtube_right|DnoDNyzqktU|শ্রীমদ্ভাগবতম কেবল ভক্তির সাথে সন্মন্ধিত<br />- Prabhupāda 0344 }}
<!-- END VIDEO LINK -->
<!-- END VIDEO LINK -->


Line 30: Line 30:


<!-- BEGIN TRANSLATED TEXT -->
<!-- BEGIN TRANSLATED TEXT -->
ব্যাসদেব,সমস্ত বৈদিক সাহিত্য লেখার পর তিনি সনতুষ্ট নন। তিনি চারটি বেদ লিখেছিলেন, তারপর পুরাণ - পুরান মানে  বেদের সম্পূরক। এবং তারপর বেদান্ত-সূত্র, বৈদিক জ্ঞানের শেষ শব্দ, বেদান্ত-সূত্র। কিন্তু সে সন্তুষ্ট ছিল না। সুতরাং তার আধ্যাত্মিক মাস্টার নারদ মুনি, তিনি জিজ্ঞাসা করেন যে: "কেন এত বই লেখার পর আপনি অসন্তোষ অনুভব করছেন, মানব সমাজকে জ্ঞান দিচ্ছেন?" তাই তিনি বলেন, "স্যার, হ্যাঁ, আমি জানি যে আমি লিখেছি  ... কিনতু আমি সনতুষ্টি পাচ্ছি না। আমি জানি না কি কারণ।" তারপর নারদমুনি বলেন, "অসনতুষ্টতা আপনার পালনকর্তার কার্যকলাপ বর্ণনা না করার কারণে হচ্ছে। অতএব আপনি সনতুষ্ট না। আপনি কেবল বাহ্যিক উপাদান নিয়ে আলোচনা করেছেন, কিনতু অভ্যন্তরীণ উপাদান, আপনি আলোচনা করেন নি। অতএব আপনি অসনতুষ্ট। এখন আপনি এটা করুন। " অতএব ব্যাসদেবের নির্দেশের অধীনে ...,  নারদ মুনি, তার আধ্যাত্মিক মাস্টার, ব্যাসদেব, তার শেষ পরিপক্ক অবদান শ্রীমদ্ভাগবতম। শ্রীমদ্ভাগবতম অমলম পুরানম যৎ বৈষ্ণবানাম প্রিয়ম। অতএব, বৈষ্ণবরা শ্রীমদ্ভাগবতমকে অমল পুরান হিসাবে বিবেচনা করে। অমলম পুরান মানে..অমলম মানে কোন দূষণ ছাড়া। এই সমস্ত অন্যান্য পুরান, তারা কর্ম, জ্ঞান, যোগব্যবস্থা নিয়ে কাজ করছে। অতএব, তারা সামালাম, জড় দূষণের সাথে। এবং শ্রীমদ্ভাগবতম, শুধুমাত্র ভক্তির কথা বলছে, তাই এটা অমলম। ভক্তি মানে সরাসরি যোগাযোগ ভগবানের সাথে, ভক্তি এবং ভগবান, এবং লেনদেন হচ্ছে ভক্তি। ভগবান আছে, ভক্তি আছে, যেমন মাষ্টার এবং সেবক। এবং মাস্টার এবং চাকর মধ্যে সম্পর্ক, লেনদেন, সেবা হয়। তাই আমরা আমাদের পরিষেবা ... এটা আমাদের প্রাকৃতিক, প্রাকৃতিক প্রবৃত্তি। আমরা সেবা প্রদান করছি। কিন্তু দূষিত হচ্ছে, যে চেতনা, চিত্ত, এই জড় উপাদান দ্বারা দূষিত হচ্ছে, আমরা বিভিন্ন ভাবে সেবা দিতে চেষ্টা করছি। কাউকে পরিবার, সমাজের, সমাজের, জাতির কাছে সেবা দিতে আগ্রহী, মানবতার জন্য, আরো এবং আরো, কিন্তু এই সব পরিষেবা, সেগুলি দূষিত হচ্ছে। কিন্তু যখন আপনি কৃষ্ণ ভাবনায় আপনার সেবা শুরু করেন, সেটি নিখুঁত পরিষেবা। এটা নিখুঁত জীবন। তাই কৃষ্ণ ভাবনামৃত আন্দোলন মানব সমাজকে নিখুঁত প্ল্যাটফর্মে উন্নীত করার চেষ্টা করছে। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ.।
ব্যাসদেব, সমস্ত বৈদিক সাহিত্য লেখার পরও তিনি সন্তুষ্ট ছিলেন না। তিনি চারটি বেদ লিখেছিলেন, তারপর পুরাণ - পুরাণ মানে  বেদের সম্পূরক। এবং তারপর বেদান্ত-সূত্র, বৈদিক জ্ঞানের শেষ শব্দ, বেদান্ত-সূত্র। কিন্তু তিনি সন্তুষ্ট ছিলেন না। সুতরাং তার আধ্যাত্মিক গুরু, নারদ মুনিকে, তিনি জিজ্ঞাসা করেন যে: "তুমি কেন অসন্তোষ অনুভব করছো, এত বই লেখার পর মানব সমাজকে জ্ঞান দেবার পর?" তাই তিনি বলেন, "হে প্রভু, হ্যাঁ, আমি জানি যে আমি লিখেছি  ... কিন্তু আমি সন্তুষ্টি পাচ্ছি না। আমি জানি না কি কারণ।" তারপর নারদমুনি বলেন, "অসন্তুষ্টতার কারন হচ্ছে  আপনি ভগবানের কার্যকলাপ বর্ণনা করেন নি। এই জন্য আপনি সন্তুষ্ট না। আপনি কেবল বাহ্যিক তত্ত্ব নিয়ে আলোচনা করেছেন, কিন্তু আভ্যন্তরীণ তত্ত্ব, আপনি আলোচনা করেন নি। সেইজন্য আপনি অসন্তুষ্ট এখন আপনি এটা করুন।" অতএব ব্যাসদেবের নির্দেশের অধীনে ...,  নারদ মুনি, তার আধ্যাত্মিক গুরু, ব্যাসদেব, তার অন্তিম পরিপক্ক অবদান শ্রীমদ্ভাগবতম্‌। শ্রীমদ্ভাগবতম্‌ অমলম্‌ পুরাণম্‌ যৎ বৈষ্ণবানাম প্রিয়ম ([[Vanisource:SB 12.13.18|শ্রী.ভা. ১২.১৩.১৮]])। অতএব, বৈষ্ণবরা শ্রীমদ্ভাগবতমকে অমল পুরান হিসাবে বিবেচনা করে। অমলম পুরান মানে..অমলম মানে কোন দূষণ ছাড়া। এই সমস্ত অন্যান্য পুরান, তারা কর্ম, জ্ঞান, যোগ সম্বন্ধে আছে, অতএব, তারা সমলাম, জড় দূষণের সাথে। এবং শ্রীমদ্ভাগবতম, শুধুমাত্র ভক্তির সঙ্গে সন্মন্ধিত, তাই এটা অমলম। ভক্তি মানে সরাসরি ভগবানের সাথে সন্মন্ধ, ভক্তি এবং ভগবান, এবং লেনদেন হচ্ছে ভক্তি। ভগবান আছে, ভক্তি আছে, যেমন প্রভু এবং সেবকের মতো। এবং প্রভু এবং চাকরের মধ্যে সন্মন্ধ, লেনদেনই, সেবা।
 
এইজন্য সেবা তো আমরা করছি, এটা আমাদের প্রকৃতিক স্বাভাবিক বৃত্তি, আমরা সেবা প্রদান করছি। কিন্তু দূষিত হবার কারন, ওই চেতনা, চিত্ত, এই জড় তত্ত্ব দ্বারা দূষিত হচ্ছে, আমরা বিভিন্ন ভাবে সেবা দিতে চেষ্টা করছি। কেউ দেশের জন্য, সমাজের জন্য, সমুদয়ের জন্য, পরিবারের জন্য সেবা দিতে রুচি রাখে, মানবতার জন্য, অধিক এবং অধিক, কিন্তু এই সব পরিষেবা, সেগুলি দূষিত। কিন্তু যখন আপনি কৃষ্ণ ভাবনায় আপনার সেবা শুরু করবেন, সেটি উত্তম সেবা। এটা একদম সঠিক জীবন। তাই কৃষ্ণ ভাবনামৃত আন্দোলন মানব সমাজকে উন্নীত করার চেষ্টা করছে সর্বোত্তম সেবা সম্পাদনের উপর। 
 
অনেক ধন্যবাদ।
<!-- END TRANSLATED TEXT -->
<!-- END TRANSLATED TEXT -->

Latest revision as of 06:42, 16 December 2021



Lecture on SB 3.26.11-14 -- Bombay, December 23, 1974

ব্যাসদেব, সমস্ত বৈদিক সাহিত্য লেখার পরও তিনি সন্তুষ্ট ছিলেন না। তিনি চারটি বেদ লিখেছিলেন, তারপর পুরাণ - পুরাণ মানে বেদের সম্পূরক। এবং তারপর বেদান্ত-সূত্র, বৈদিক জ্ঞানের শেষ শব্দ, বেদান্ত-সূত্র। কিন্তু তিনি সন্তুষ্ট ছিলেন না। সুতরাং তার আধ্যাত্মিক গুরু, নারদ মুনিকে, তিনি জিজ্ঞাসা করেন যে: "তুমি কেন অসন্তোষ অনুভব করছো, এত বই লেখার পর মানব সমাজকে জ্ঞান দেবার পর?" তাই তিনি বলেন, "হে প্রভু, হ্যাঁ, আমি জানি যে আমি লিখেছি ... কিন্তু আমি সন্তুষ্টি পাচ্ছি না। আমি জানি না কি কারণ।" তারপর নারদমুনি বলেন, "অসন্তুষ্টতার কারন হচ্ছে আপনি ভগবানের কার্যকলাপ বর্ণনা করেন নি। এই জন্য আপনি সন্তুষ্ট না। আপনি কেবল বাহ্যিক তত্ত্ব নিয়ে আলোচনা করেছেন, কিন্তু আভ্যন্তরীণ তত্ত্ব, আপনি আলোচনা করেন নি। সেইজন্য আপনি অসন্তুষ্ট এখন আপনি এটা করুন।" অতএব ব্যাসদেবের নির্দেশের অধীনে ..., নারদ মুনি, তার আধ্যাত্মিক গুরু, ব্যাসদেব, তার অন্তিম পরিপক্ক অবদান শ্রীমদ্ভাগবতম্‌। শ্রীমদ্ভাগবতম্‌ অমলম্‌ পুরাণম্‌ যৎ বৈষ্ণবানাম প্রিয়ম (শ্রী.ভা. ১২.১৩.১৮)। অতএব, বৈষ্ণবরা শ্রীমদ্ভাগবতমকে অমল পুরান হিসাবে বিবেচনা করে। অমলম পুরান মানে..অমলম মানে কোন দূষণ ছাড়া। এই সমস্ত অন্যান্য পুরান, তারা কর্ম, জ্ঞান, যোগ সম্বন্ধে আছে, অতএব, তারা সমলাম, জড় দূষণের সাথে। এবং শ্রীমদ্ভাগবতম, শুধুমাত্র ভক্তির সঙ্গে সন্মন্ধিত, তাই এটা অমলম। ভক্তি মানে সরাসরি ভগবানের সাথে সন্মন্ধ, ভক্তি এবং ভগবান, এবং লেনদেন হচ্ছে ভক্তি। ভগবান আছে, ভক্তি আছে, যেমন প্রভু এবং সেবকের মতো। এবং প্রভু এবং চাকরের মধ্যে সন্মন্ধ, লেনদেনই, সেবা।

এইজন্য সেবা তো আমরা করছি, এটা আমাদের প্রকৃতিক স্বাভাবিক বৃত্তি, আমরা সেবা প্রদান করছি। কিন্তু দূষিত হবার কারন, ওই চেতনা, চিত্ত, এই জড় তত্ত্ব দ্বারা দূষিত হচ্ছে, আমরা বিভিন্ন ভাবে সেবা দিতে চেষ্টা করছি। কেউ দেশের জন্য, সমাজের জন্য, সমুদয়ের জন্য, পরিবারের জন্য সেবা দিতে রুচি রাখে, মানবতার জন্য, অধিক এবং অধিক, কিন্তু এই সব পরিষেবা, সেগুলি দূষিত। কিন্তু যখন আপনি কৃষ্ণ ভাবনায় আপনার সেবা শুরু করবেন, সেটি উত্তম সেবা। এটা একদম সঠিক জীবন। তাই কৃষ্ণ ভাবনামৃত আন্দোলন মানব সমাজকে উন্নীত করার চেষ্টা করছে সর্বোত্তম সেবা সম্পাদনের উপর।

অনেক ধন্যবাদ।