BN/Prabhupada 0364 - প্রকৃত আলয় ভগবদ্ধামে ফিরে যাওয়া এত সহজ নয়

Revision as of 08:01, 22 December 2021 by Vanibot (talk | contribs) (Vanibot #0005: NavigationArranger - update old navigation bars (prev/next) to reflect new neighboring items)
(diff) ← Older revision | Latest revision (diff) | Newer revision → (diff)


Lecture on SB 5.5.23 -- Vrndavana, November 10, 1976

"যতদিন না আমরা মৌলিক বৈশিষ্ট্যগুলি নিয়ন্ত্রণ করব, তমোগুণ এবং রজোগুণ আমরা খুশি হতে পারব না। "এটি সম্ভব নয়। ততো রজস-তমো-ভাবঃ। রজস তমো-ভাবঃ মানে কাম এবং লোভ। "যতক্ষণ পর্যন্ত আমার কামুক ইচ্ছা আছে এবং যতক্ষণ না আমার লোভ আছে, আরও বেশি পাবার, আরও বেশি পাবার, "সর্বাধিক ইন্দ্রিয় উপভোগ করতে ... এই হচ্ছে লোভ। "আমাদের সন্তুষ্ট হওয়া উচিত, অন্তত যতটা সম্ভব। আহার-নিদ্রা-ভয়-মৈথুনাম চ সামান্য এতত পশুভির নরানাম। আহার মানে খাওয়া।

আহার, নিদ্রা, ঘুমানো এবং ভয়, এবং ইন্দ্রিয় তৃপ্তি। এগুলি প্রয়োজন, কিন্তু বৃদ্ধি করা উচিত নয় বরং কমানো উচিত। যেমন যদি কারো রোগ হয়, তখন তার যা ইচ্ছা তাহা খাওয়া উচিত নয়। "কারণ তিনি রোগী, ডাক্তার নির্ধারণ করেন, "আপনি একটু জল বা গ্লুকোজ গ্রহণ ক্রুন, "যদি আপনি ঠিক করতে চান তবে কোনও শক্ত খাদ্য খাওয়া চলবে না।" একইভাবে, যতদিন শরীর আছে এই জিনিসগুলি প্রয়োজন। আহার-নিদ্রা-ভয়-মৈথুন। কিন্তু এগুলো কমানো উচিত, বাড়ানো উচিত নয়। সেটিই মানব সভ্যতা, বৃদ্ধি নয়। যেমন বৃন্দাবনে গোস্বামীরা। তারা এখানে আহার-নিদ্রা-ভয়-মৈথুন বৃদ্ধি করতে আসেনি। না, তারা এখানে এসেছেন কমাতে, নিদ্রাহার-বিহারকাদি-বিজিতৌ। এটা গুরুত্বপূর্ণ। এই হচ্ছে বৃন্দাবন অধিবাসী, এটা নয় যে আপনি বৃন্দাবনে বসবাস করছেন এবং আহার-নিদ্রা-ভয়-মৈথুন বৃদ্ধি করছেন। এটা বৃন্দাবন বাস নয়। বানর বৃন্দাবনে বসবাস করে এবং কুকুরও আছে, এবং শুকর বৃন্দাবনে বাস করছে। কিন্তু তারা জানে না কিভাবে আহার-নিদ্রা-ভয়-মৈথুন কম করতে হয়। আপনারা বানর দেখেছেন। তারা বৃন্দাবনে রয়েছে। কিন্তু আপনি দেখতে পাবেন যে একটি পুরুষ বানরের পিছনে তিন ডজন মহিলা বানর আছে। সেটা বৃন্দাবন বাস নয়। আহার-নিদ্রা। এর অর্থ ব্রাহ্মণ্য সংস্কৃতির প্রয়োজন আছে, দমো, শমো। এর প্রয়োজন আছে। এটাই ব্রাহ্মণ্য সংস্কৃতি।

দুর্ভাগ্যবশত বর্তমান সভ্যতা, তারা কমাতে রাজী নয়। তারা শুধু বৃদ্ধি করছে। পাশ্চাত্য সভ্যতা মানে অনুপযুক্ত উপায়ে ইন্দ্রিয় তৃপ্তি বৃদ্ধি, "মেশিন, মেশিন, মেশিন, মেশিন।" তাই, ব্রাহ্মণ্য সংস্কৃতি মানে শমো দমো তিতিক্ষা। তিতিক্ষা মানে কোনও কিছু ছাড়াই আমি কষ্ট অনুভব করতে পারি। কষ্ট করা। তাই আমাদের কষ্ট ভোগ করার অভ্যাস থাকতে হবে। কষ্ট ভোগ করা, এটাই তপস্যা। তপসা ব্রহ্মচর্যেণ (শ্রী.ভ.৬.১.১৩)। তপস্যা ব্রহ্মচর্য থেকে শুরু হয়। আমরা যৌন জীবন বা ইন্দ্রিয় তৃপ্তি অভ্যাস করছি। তপস্যা মানে প্রথমে আমাদের এগুলি বন্ধ করতে হবে। তপস্যা ব্রহ্মচারিন (শ্রী.ভা.৬.১.১৩)। এটা অভ্যাস।

তাই ভগবদ্ধাম ফিরে যাওয়ার জন্য যোগ্য হওয়া, এটা খুব সহজ নয়। এটা খুব সহজ নয়...আমাদেরকে আমাদের জড় জীবন শুন্য করতে হবে। একেবারে শুন্য নয়- ব্যবহারিক ভাবে শুন্য। অন্যাভিলাষিতা-শুন্যম্‌ (ভক্তিরসামৃতসিন্ধু ১.১.১১)। এটা গুরুত্বপূর্ণ, অনুশীলন। অতএব, এটি আমাদের কৃষ্ণ ভাবনামৃত কেন্দ্র মানে এই শমো, দমো, তিতিক্ষার অনুশীলন। সেজন্যেই শমো, দমো, তিতিক্ষার অনুশীলন করার যোগ্যতা আমাদের দেখতে হবে। তাই যখন একটি নতুন ছেলে আসে এবং যখনি তাকে কিছু কাজ দেওয়া হয়, যেটা ইন্দ্রিয় সন্তুষ্টির জন্য খুব ভাল না, তারা চলে যায়। মানে তারা প্রস্তুত নয়। এটা ভাল যে তারা দূরে চলে যায়। বাংলায় একটা প্রবাদ আছে, দুষ্ট গরুর থেকে শুন্য গোয়াল। যদি দুষ্ট গরু থাকে, তবে ভাল হচ্ছে গোয়ালঘরটা খালিই থাকা, গরু ছাড়া। অনুমতি দিও না।" সুতরাং এই কৃষ্ণ ভাবনামৃত আন্দোলন উন্নতির জন্য আছে। পশু শ্রেনীর মানুষদেরকে ব্রাহ্মণের স্তরে আনার। অতএব, যজ্ঞোপবীত অনুষ্ঠানটি দ্বিতীয় দীক্ষার মাধ্যমে দেওয়া হয়, সে এখন শম, দম, তিতিক্ষা, আর্জবম্‌ অভ্যাস করছে। এবং সে শিখছে যে কৃষ্ণ কে, সে কে, কৃষ্ণের সাথে তাঁর সম্পর্ক কী, কীভাবে এখন কৃষ্ণের সন্তুষ্টির জন্য কাজ করা উচিত।" এই হচ্ছে ব্রাহ্মণের যোগ্যতা। এই স্তরে যদি আমরা উন্নত হই ... এই স্তরটিকে বলা হয় সত্ত্ব গুণ।