BN/Prabhupada 0389 - হরি হরি বিফলে - তাৎপর্য

Revision as of 20:32, 30 July 2018 by Soham (talk | contribs) (Created page with "<!-- BEGIN CATEGORY LIST --> Category:1080 Bengali Pages with Videos Category:Prabhupada 0389 - in all Languages Category:BN-Quotes - 1969 Category:BN-Quotes - P...")
(diff) ← Older revision | Latest revision (diff) | Newer revision → (diff)


Purport to Hari Hari Biphale -- Hamburg, September 10, 1969

হরি হরি; বিফলে জন্ম গোয়াইনু। এই গানটি নরোত্তম দাস ঠাকুর গেয়েছেন, একজন নিষ্ঠাবান আচার্য। চৈতন্য মহাপ্রভুর সম্প্রদায়ের পরম্পরা উত্তরাধিকারসূত্রে রয়েছেন। তিনি অনেক গুরুত্বপূর্ণ গান গেয়েছেন এবং তাঁর গানগুলি বৈদিক উপসংহার হিসাবে গ্রহণ করা হয়েছে। খুব প্রামাণিক গান। তাই তিনি বলছেন, ভগবান কৃষ্ণকে প্রার্থনা করতে করতে, "আমার প্রিয় ভগবান," হরি হরি, "আমি আমার জীবনকে নষ্ট করেছি।" হরি হরি বিফল জন্ম গোয়াইনু | কেন তুমি তোমার জীবন নষ্ট করেছ? তিনি বলেছেন, মানুষ জন্ম পাইয়া, "আমি একটি মানবিক জীবন পেয়েছি," রাধা-কৃষ্ণ না ভজিয়া,"কিন্তু আমি রাধা কৃষ্ণের পুজা করতে ধ্যান দিই নি। এইজন্যই আমি আমার জীবন নষ্ট করেছি। "আর কীভাবে এই ঘটবে? এটা এইরকম যেমন কেউ যেন ইচ্ছাকৃতভাবে বিষ গ্রহন করছে। যদি কেউ অজ্ঞাতসারে বিষ গ্রহন করে, তবে সেখানে বাহানা চলতে পারে, কিন্তু যদি কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে বিষ পান করে তবে এটা আত্মহত্যা। তাই তিনি বলছেন, "আমি আত্মহত্যা করেছি, কেবলমাত্র রাধা ও কৃষ্ণের উপাসনা না করে, এই মানব জীবনে।" তারপর তিনি বলছেন, গোলকের প্রেম-ধন, হরি-নাম-সংকীর্তন। এই কৃষ্ণ ভাবনামৃত আন্দোলন, সংকীর্তন আন্দোলন, এতে কোন জড়তা নেই। এটি আধ্যাত্মিক রাষ্ট্র থেকে সরাসরি আমদানি করা হয়েছে, যাকে বলা হয় গোলোক বৃন্দাবন। তাই গোলকের প্রেম-ধন। এবং এটা সাধারন গীত নয়। এটি ভগবানের ভালবাসার ধন। তাই ... "কিন্তু আমার এর জন্য কোন আকর্ষণ নেই।" রতি না জন্মিলো কেন তাই। আমার কোন আকর্ষণ নেই।" বিপরীতে, "বিষয়-বিষানলে, দিবা নিশি হিয়া জ্বলে। "এবং কারণ, আমি এটা স্বীকার করি না, তাই জড় অস্তিত্বের জ্বলন্ত আগুন আমাকে ক্রমাগত জ্বালাচ্ছে।" দিবা নিশি হিয়া জ্বলে।" দিন এবং রাত আমার হৃদয় জ্বলছে। জড় অস্তিত্বের এই বিষাক্ত প্রভাবের কারণে।" এবং তরিবারে না কইনু উপায়। "কিন্তু আমি এর জন্য কোন সমাধান খুঁজছি না।" অন্য কথায়, জড় অস্তিত্বের এই জ্বলন্ত আগুনের প্রতিকার হল সংকীর্তন আন্দোলন। এটি আধ্যাত্মিক রাষ্ট্র থেকে আমদানি করা হয়েছে। আর কে আমদানি করেছে? বা কে এনেছে? তারপর তিনি বলছেন, ব্রজেন্দ-নন্দন যেই, শচী-সূত হইল সেই। ব্রজেন্দ্র-নন্দন, ব্রজের রাজার ছেলে, তিনি কৃষ্ণ ছিলেন। কৃষ্ণ নন্দ মহারাজের পুত্র হিসাবে পরিচিত। তিনি ব্রজভুমির রাজা ছিলেন। তাই ব্রজেন্দ্র-নন্দন যেই, একই ব্যক্তিত্ত্ব, যিনি পূর্বে নন্দ মহারাজের পুত্র ছিলেন। এখন মা শচীর পুত্র হিসাবে আর্বিভূত হয়েছেন। শচী-সূত হইল সেই। এবং বলরাম হৈল নিতাই। এবং ভগবান বলরাম নিতাই হয়েছেন। তাই এই দুই ভাই অবতীর্ণ হয়েছে, তারা সব পতিত আত্মা্দের সংরক্ষণ করছেন। পাপি-তাপি যত ছিল। কারণ এই পৃথিবীতে অনেক পতিত আত্মা ছিল, তারা শুধু এই জপ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তাদের উদ্ধারকরছেন। হরি-নামে উদ্ধারিল, শুধু এই জপের মাধ্যমে। এটা কিভাবে সম্ভব? তারপর তিনি বলছেন, তার স্বাক্ষী জগাই এবং মাধাই। প্রাণবন্ত উদাহরণ এই দুই ভাই, জাগাই এবং মাধাই। এই জগাই এবং মাধাই, দুই ভাই, তারা এক ব্রাহ্মণ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন, কিন্তু তারা লম্পট নম্বর এক হয়ে ওঠে। এবং ... অবশ্যই, আজকাল, এই যুগে, তাদের যোগ্যতা লম্পট বলে বিবেচনা করা হয় না। তাদের ভ্রষ্ট আচরণ ছিল, কারণ তারা ছিলেন মাতাল এবং মহিলা শিকারী। তাই তাদের লম্পট বলা হত। এবং মাংস ভোজনকারীও। তাই ... কিন্তু পরে, তারা পালনকর্তা চৈতন্য এবং নিত্যানন্দের উদ্ধারের ফলে মহান ভক্ত হন। তাই নরোত্তম দাস ঠাকুরের ব্যাখ্যা এই যুগে, যদিও মানুষ মাতাল, মহিলা শিকারী, মাংস খায়, এবং সব ..., জুয়া খেলোয়াড়, সব ধরণের পাপী অভিনেতা, যাইহোক, যদি তারা এই কৃষ্ণ ভাবনামৃত আন্দোলনকে গ্রহণ করে এবং হরে কৃষ্ণ জপ করে, তারা ভব সাগর পার হয়ে যাবে । এটা ভগবান চৈতন্যের আশীর্বাদ। তারপর নরোত্তম দাস ঠাকুর প্রার্থনা করেন, হা হা প্রভু নন্দ সূর, বৃষভানু-সূতা-যুতো। "আমার প্রিয় পালনকর্তা কৃষ্ণ, আপনি নন্দ মহারাজের পুত্র, এবং আপনার সঙ্গিনী রাধারানি রাজা বৃষভানুর কন্যা। সুতরাং আপনারা উভয়ে এখানে একসাথে দাঁড়িয়ে আছেন।" নরোত্তম দাস কহে, না ঠেলিও রাঙ্গা পায়, "এখন আমি আপনাকে আত্মসর্মপন করছি, দয়া করে আমাকে লাথি মেরো না, অথবা চরন পদ্ম দিয়ে ধাক্কা দিও না, কারণ আমার আর কোন আশ্রয় নেই। অন্য আপনার চরনে আশ্রয় নিচ্ছি, আর কোন সাধন ছাড়া। তাই আমাকে গ্রহণ করুন এবং আমাকে উদ্ধার করুন। "এটি এই গানের সারাংশ।