BN/Prabhupada 0421 - মহামন্ত্র জপের সময় দশ অপরাধ বর্জন ১-৫

Revision as of 04:37, 3 June 2021 by Soham (talk | contribs) (Created page with "<!-- BEGIN CATEGORY LIST --> Category:1080 Bengali Pages with Videos Category:Prabhupada 0421 - in all Languages Category:BN-Quotes - 1968 Category:BN-Quotes - L...")
(diff) ← Older revision | Latest revision (diff) | Newer revision → (diff)


Lecture & Initiation -- Seattle, October 20, 1968

মধুদ্বিষঃ শ্রীল প্রভুপাদ? আমি কি দশবিধ নাম অপরাধ পড়ব?

শ্রীল প্রভুপাদঃ হ্যাঁ।

মধুদ্বিষঃ এগুলো এখানেই আছে।

শ্রীল প্রভুপাদঃ দেখ, পড়তে থাকো। হ্যাঁ, তুমি পড়।

মধুদ্বিষঃ "মহামন্ত্র জপ করার সময় এই দশটি অপরাধ এড়িয়ে চলতে হবে। প্রথমটিঃ ভগবদ্ভক্তের নিন্দা করা।"

শ্রীল প্রভুপাদঃ কেবল বোঝার চেষ্টা করো। ভগবানের কোন ভক্তের নিন্দা করা উচিত নয়। এ ক্ষেত্রে কোন দেশে তা কোন ব্যপার না। ঠিক যেমন প্রভু যীশু খ্রিষ্ট, সে একজন মহান ভক্ত। এবং এমন কি মুহম্মদ, সেও একজন ভক্ত। এটি এই নয় যে আমরা ভক্ত এবং তারা ভক্ত নয়। এভাবে চিন্তা কর না। যে-ই ভগবানের মহিমা প্রচার করে, সে-ই হল ভক্ত। তার নিন্দা করা উচিত নয়। তোমাকে সতর্ক হতে হবে। তারপর?

মধুদ্বিষঃ দ্বিতীয় নামাপরাধ - দেবতাদের নাম ভগবানের নামের সমান মনে করা অথবা অনেক ভগবান আছে মনে করা।

শ্রীল প্রভুপাদঃ "হ্যাঁ। ঠিক যেমন অনেক মূর্খ আছে, তারা বলে যে দেবতারা... অবশ্যই, দেবতাদের সাথে তোমাদের কোনও কাজ নেই । বৈদিক ধর্মে শত শত, হাজার হাজার দেব-দেবী আছে। বিশেষত এটিই চলছে যে তুমি শ্রীকৃষ্ণেরই উপাসনা কর অথবা শিবের বা কালীর, একই কথা। এটি মুর্খামি। আমি বোঝাতে চাচ্ছি, পরমেশ্বর ভগবানের সাথে তাঁদের সমপর্যায়ভুক্ত করা তোমার উচিত নয়। কেউই ভগবানের চেয়ে বড় হতে পারে না। ভগবানের সমানও কেউ হতে পারে না। সুতরাং এই ভাবে সমান মনে করা উচিত নয়। তারপর?

মধুদ্বিষঃ তৃতীয় অপরাধ - শ্রীগুরুদেবের নির্দেশ অমান্য করা।

শ্রীল প্রভুপাদঃ হ্যাঁ। শ্রীগুরুদেবের নির্দেশ তোমার জীবন এবং আত্মা হওয়া উচিত। তখন সবকিছুই পরিষ্কার হয়ে উঠবে। তারপর?

মধুদ্বিষঃ চতুর্থ অপরাধ - বৈদিক শাস্ত্রের নিন্দা করা।

শ্রীল প্রভুপাদঃ হ্যাঁ। অনুমোদিত বৈদিক শাস্ত্রের নিন্দা করা কারও উচিত নয়। এটিও অপরাধ। তারপর?

মধুদ্বিষঃ পঞ্চমঃ ভগবানের পবিত্র নামের অর্থবাদ করা।

শ্রীল প্রভুপাদঃ হ্যাঁ। এখন ঠিক যেমন আমরা হরে কৃষ্ণ মহামন্ত্র জপ করছি। ঠিক যেমন সেদিন কয়েকটা ছেলে বলছিল, "এটি কেবল প্রতীকী মাত্র"। এটি প্রতীকী নয়। 'কৃষ্ণ,' যখন আমরা জপ করছি "কৃষ্ণ" তার মানে আমরা শ্রীকৃষ্ণকেই সম্বোধন করছি। "হরে" মানে শ্রীকৃষ্ণের শক্তিকে সম্বোধন করা এবং আমরা প্রার্থনা করছি যে, "দয়া করে আমাকে আপনাদের সেবায় নিয়োজিত করুন।" এটিই হল হরে কৃষ্ণ। এর অন্য কোন অর্থ নেই। হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে। হরে রাম হরে রাম রাম রাম হরে হরে। একমাত্র প্রার্থনা হল, "ওহে ভগবানের শক্তি, ওহে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ, ভগবান রাম, দয়া করে আমাকে আপনাদের সেবায় নিয়োজিত করুন। ব্যাস্‌। এটির দ্বিতীয় কোনও ব্যাখ্যা নেই।