BN/Prabhupada 0550 - প্র্রতিবিম্বের পেছনে ছুট না - বাস্তবের পেছনে চল: Difference between revisions

(Created page with "<!-- BEGIN CATEGORY LIST --> Category:1080 Bengali Pages with Videos Category:Prabhupada 0550 - in all Languages Category:BN-Quotes - 1968 Category:BN-Quotes - L...")
(No difference)

Revision as of 09:14, 27 December 2021



Lecture on BG 2.62-72 -- Los Angeles, December 19, 1968

প্রভুপাদ: আমরা এই পৃথিবীর কিছু মিথ্যা মায়াময় সৌন্দর্যে আবদ্ধ হচ্ছি। মরীচিকা। এর সঠিক উদাহরণটি মরীচিকা। মরীচিকা কি? মরুভূমিতে সূর্যের আলোর প্রতিচ্ছবি জলের মতো প্রদর্শিত হয়। সেখানে জল কোথায়? সেখানে জল নেই। সেই প্রাণী, তৃষ্ণার্ত প্রাণী মরীচিকার পশ্চাদ্গমন করে। "ওহ, এখানে জল আছে। আমি সন্তুষ্ট হব।" একইভাবে আমরা তীব্র লালসা অনুভব করছি, মরীচিকার পশ্চাদ্গমন করছি। শান্তি নেই, সুখ নেই। অতএব আমাদের ঈশ্বরত্বে মনোযোগ ফিরিয়ে দিতে হবে। এই মরীচিকার পিছনে দৌড়াবেন না। কেবল ভগবানের দিকে ফিরে যান, শ্রীকৃষ্ণের দিকে ফিরে যান। এটাই আমাদের প্রচার। বিমুখ করবেন না আপনার ... মায়াময় ভৌতিক সৌন্দর্যে আপনার ইন্দ্রিয়কে নিযুক্ত করবেন না। কেবল আসল সুন্দর শ্রীকৃষ্ণের প্রতি নিজের ইন্দ্রিয় প্রয়োগ করুন। তা হল কৃষ্ণ ভাবনামৃত। চালিয়ে যান।

তমাল কৃষ্ণ: "ভগবান শিব একবার গভীর ধ্যানে ছিলেন, কিন্তু যখন সুন্দরী কুমারী পার্বতী ইন্দ্রিয়গ্রাহ্যতার জন্য তাঁকে উত্সাহিত করেছিলেন, তিনি এই প্রস্তাবে রাজি হয়েছিলেন এবং ফলস্বরূপ কার্ত্তিকেয়র জন্ম হয়েছিল। "

প্রভুপাদ: ওহ, এখানে কার্ত্তিকেয় উপস্থিত আছেন। (হাসি) হ্যাঁ। হরে কৃষ্ণ। চালিয়ে যান। (হাসি)

তমাল কৃষ্ণ: "হরিদাস ঠাকুর যখন প্রভুর এক তরুণ ভক্ত ছিলেন, একইভাবে তাঁকেও মায়াদেবীর অবতার দ্বারা মোহিত করা হয়েছিল।"

প্রভুপাদ: এখন এখানে পার্থক্য। ভগবান শিব, তিনিই দেবতাদের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ। তিনিও পার্বতীর দ্বারা আকৃষ্ট হয়েছিলেন এবং সেই আকর্ষণের ফলস্বরূপ এই ছেলে কার্ত্তিকেয় জন্মগ্রহণ করেছিলেন। এটিকেই বলা হয়, দেবতাদের ষড়যন্ত্র, যে যতক্ষণ না ভগবান শিবের বীর্য থেকে এক পুত্র জন্ম নেয়, অসুরদের জয় করা অসম্ভব। সুতরাং কার্ত্তিকেয়কে দেবতাদের প্রধান সেনাপতি হিসাবে বিবেচনা করা হয়। তবে এখানে, অন্য একটি উদাহরণ। হরিদাস ঠাকুর। হরিদাস ঠাকুর তখন ছিলেন ছোট ছেলে, প্রায় কুড়ি চব্বিশ বছর বয়স, এবং তিনি হরে কৃষ্ণ জপ করছিলেন, এবং সেই গ্রামের জমিদার, তিনি হরিদাস ঠাকুরের প্রতি খুব ঈর্ষা করতেন। তিনি তাকে বাধা দেওয়ার জন্য এক পতিতাকে ষড়যন্ত্র করে জড়িত করেন। তাই সেই বেশ্যা রাজি হয়েছিল এবং রাতের শেষ দিকে, খুব সুন্দর পোশাক সহ এবং তিনি যুবতী ছিলেন, এবং হরিদাস ঠাকুরকে মোহিত করার চেষ্টা করেছিলেন। তবে তিনি মোহিত হননি। এটাই পার্থক্য। একজন কৃষ্ণ ভাবনাভাবিত ব্যক্তি এমনকি একজন সাধারণ ব্যক্তিও, ভগবান শিব বা ভগবান ব্রহ্মার স্তরে নয়, তিনি কখনও মায়া দ্বারা জয়ী হন নি। কিন্তু যে পুরোপুরি কৃষ্ণ ভাবনাভাবিত নন, তিনি ভগবান শিব বা ভগবান ব্রহ্মা হতে পারেন, সে মায়া দ্বারা জয়ী হবে, অন্যের কথা আর কী বলবে। এই অবস্থান। চালিয়ে যাও। "হরিদাস ঠাকুর যখন প্রভুর এক তরুণ ভক্ত ছিলেন ..."

তমাল কৃষ্ণ: "... তিনি একইভাবে মায়াদেবীর অবতারে দ্বারা বিমোহিত হয়েছিলেন, কিন্তু হরিদাস খুব সহজেই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছিলেন কারণ ভগবান কৃষ্ণের প্রতি তাঁর বিশুদ্ধ ভক্তি রয়েছে। প্রভুর আন্তরিক ভক্ত সমস্ত বৈষয়িক উপভোগ ঘৃণা করতে শেখেন প্রভুর সানিদ্ধে আধ্যাত্মিক উপভোগের জন্য তাঁর উচ্চতর রুচির কারণে। এটাই সাফল্যের রহস্য। "