BN/Prabhupada 0618 - গুরুদেব অত্যন্ত সন্তুষ্ট হন এই ভেবে যে "আমার শিষ্য আমার চেয়ে বেশি উন্নতি করেছে"

Revision as of 06:40, 26 January 2019 by Anurag (talk | contribs) (Created page with "<!-- BEGIN CATEGORY LIST --> Category:1080 Bengali Pages with Videos Category:Prabhupada 0618 - in all Languages Category:BN-Quotes - 1974 Category:BN-Quotes - L...")
(diff) ← Older revision | Latest revision (diff) | Newer revision → (diff)


Lecture on CC Adi-lila 7.91-2 -- Vrndavana, March 13, 1974

একজন শিষ্য যখন পারমার্থিক উন্নতিতে সিদ্ধিলাভ করেন, তখন গুরুদেব অত্যন্ত সন্তুষ্ট হন যে, "আমি মূর্খ, কিন্তু এই ছেলেটি, আমার উপদেশ পালন করেছে এবং সফল হয়েছে। সেটিই আমার সাফল্য।" এটিই হচ্ছে শ্রীগুরুদেবের লক্ষ্য। ঠিক একজন পিতার ন্যায়। এই হচ্ছে তাঁদের সম্পর্ক। যেমন... কেউই অন্যদের তার চেয়ে বেশি উন্নত দেখতে চায় না। এটি হচ্ছে মৎসরতা।

যদি কেউ কোন বিষয়ে এগিয়ে থাকে, তাহলে আমি তার প্রতি ঈর্ষান্বিত হই। কিন্তু পারমার্থিক গুরুদেব বা পিতা তিনি কখনও ঈর্ষাপরায়ণ হন না। তিনি নিজে অনেক খুশি হন। "এই ছেলেটি আমার চেয়েও এগিয়ে গেছে"। এই হল গুরুদেবের অবস্থান। সুতরাং, শ্রীকৃষ্ণ, শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু বলছেন, তিনি (অস্পষ্ট)... "যখন আমি দিব্যভাবে নৃত্য-কীর্তন করি, আমার গুরুদেব আমাকে এই বলে ধন্যবাদ দিলেন যে, "ভাল হইল' খুব ভাল, খুব ভাল"। "পাইলে তুমি পরম পুরুষার্থ।" "তুমি এখন জীবনের পরম সাফল্য লাভ করেছ।" তোমার প্রেমেতে আমি হইলাম ধন্য, "যেহেতু তুমি এতো উন্নতি লাভ করেছ, আমি নিজেকে ধন্য মনে করছি।" এই হচ্ছে অবস্থা।

তারপর তিনি উৎসাহ দিলেন, "নাচ-গাও-ভক্তসঙ্গে কর সঙ্কীর্তনঃ "এখন থেকে এসব চালিয়ে যাও, তুমি অনেক সাফল্য লাভ করেছ। এভাবেই বারবার এসব করতে থাক।" "নাচ, গাও, আর ভক্তসঙ্গে কীর্তন কর।" পেশাদারী ভাবে নয়, ভক্ত সঙ্গে। পারমার্থিক জীবনে সাফল্য লাভের এটিই হচ্ছে সত্যিকারের অবস্থান।

শ্রীল নরোত্তম দাস ঠাকুরও বলছেন, তাঁদের চরণ সেবি ভকত সনে বাস, জনমে জনমে মোর এই অভিলাষ। নরোত্তম দাস ঠাকুর বলছেন, "জন্মে জন্মে" কারণ ভক্ত, তিনি ভগবদ্ধামে ফিরে যাবার অভিলাষ করেন না। না। যে কোন স্থানেই হোক, কোনও ব্যাপার না। তিনি শুধু পরমেশ্বর ভগবানের মহিমা কীর্তন করতে চান। সেটিই তাঁর কাজ। ভক্ত নৃত্য-কীর্তন আর ভগবৎ সেবা বৈকুণ্ঠ বা গোলোক বৃন্দাবনে ফিরে যাওয়ার জন্য করেন না। সেটি শ্রীকৃষ্ণের ইচ্ছা, "যদি তিনি চান, তিনি আমাকে নিয়ে যাবেন।"

ঠিক যেমন শ্রীল ভক্তিবিনোদ ঠাকুর বলছেন, "ইচ্ছা যদি তোর"। "জন্মাওবি যদি মোরে ইচ্ছা যদি তোর, ভক্তগৃহেতে জন্ম হউ যেন মোর।" ভক্ত শুধু এই প্রার্থনাই করেন ... তিনি শ্রীকৃষ্ণকে অনুরোধ করেন না যে "কৃপা করে আমাকে বৈকুণ্ঠে বা গোলোক বৃন্দাবনে ফিরিয়ে নিয়ে চলুন"। না। "যদি আপনি চান আবার জন্ম হোক, তাহলে তাই হোক।" কিন্তু আমার একমাত্র প্রার্থনা হচ্ছে আমাকে দয়া করে ভক্তগৃহে জন্ম দিন। আর কিছু চাই না। যাতে করে আমি আপনাকে ভুলে না যাই"। এটিই ভক্তের একমাত্র প্রার্থনা।