BN/Prabhupada 0624 - ভগবান নিত্য এবং আমরাও নিত্য

Revision as of 08:03, 26 January 2019 by Anurag (talk | contribs) (Created page with "<!-- BEGIN CATEGORY LIST --> Category:1080 Bengali Pages with Videos Category:Prabhupada 0624 - in all Languages Category:BN-Quotes - 1972 Category:BN-Quotes - L...")
(diff) ← Older revision | Latest revision (diff) | Newer revision → (diff)


Lecture on BG 2.13 -- Pittsburgh, September 8, 1972

আমাদেরকে এই জ্ঞান কর্তৃপক্ষ থেকে নিতে হবে। এখানে শ্রীকৃষ্ণ বলছেন। তিনি হচ্ছেন কর্তৃপক্ষ। আমরা শ্রীকৃষ্ণকে পরম পুরুষোত্তম ভগবান বলে গ্রহণ করেছি। তাঁর জ্ঞান নিখুঁত। তিনি অতীত, বর্তমান এবং ভবিষ্যত জানেন অতএব, তিনি অর্জুনকে শিক্ষা দিচ্ছেন "প্রিয় অর্জুন, এই শরীরের মধ্যে চিন্ময় আত্মা শাশ্বত।" এটিই সত্য। ঠিক যেমন আমি বুঝতে পারি, আমি অতীতে ছিলাম, আমি বর্তমানে আছি, তাই আমি ভবিষ্যতেও নিশ্চিত থাকব। সময়ের তিনটি পর্যায়; অতীত, বর্তমান, এবং ভবিষ্যত।

আরেক জায়গায়, ভগবদ্গীতাতে আমরা পড়েছি, ন জায়তে ম্রিয়তে বা কদাচিৎ। জীবসত্তার না জন্ম হয়েছে; না কখনও মারাও যায়। ন জায়তে ম্রিয়তে, সে কখনও জন্মায় না। ন জায়তে ন ম্রিয়তে, এটি কখনও ধ্বংসও হয় না। নিত্যম্ শাশ্বতোহয়ং, ন হন্যতে হন্যমানে শরীরে (গীতা ২.২০) এটি শাশ্বত, চিরন্তন। ন হন্যতে হন্যমানে শরীরে (গীতা ২.২০) এই শরীরের ধ্বংসের দ্বারা আত্মা কখনও মরে না। এই কথা উপনিষদেও নিশ্চিত করা হয়েছে, বেদে বলা হয়েছেঃ নিত্য নিত্যানাং চেতনশ্চেতনানাং একো বহুনাং বিদধাতি কামান্।

ভগবান শাশ্বত এবং আমরাও শাশ্বত। আমরা ভগবানের অবিচ্ছেদ্য অংশ। ঠিক যেমন স্বর্ণ এবং স্বর্ণের একটি ছোট টুকরো, উভয়েই স্বর্ণ। যদিও আমি ভগ্নাংশ, স্বর্ণ বা চেতন আত্মার, তা সত্ত্বেও আমি চেতন। তাই আমরা এই তথ্যটি পাই যে স্বর্ণ এবং আমরা জীবেরা নিত্য। নিত্য নিত্যানাং, নিত্য মানে শাশ্বত। দুটো শব্দ রয়েছে। একটি হচ্ছে এক বচন, নিত্য এবং আরেকটি বহু বচন, নিত্যানাং। সুতরাং আমরা সংখ্যায় বহু। বহুসংখ্যক নিত্য। আমরা জানি না সংখ্যাগতভাবে জীবশক্তি কত। বলা হয়েছে অসংখ্য। অসংখ্য মানে গণনা করা অসম্ভব। কোটি কোটি অর্বুদ অর্বুদ। তাহলে এই এক বচন বা একক সংখ্যা আর বহু সংখ্যকের মধ্যে পার্থক্যটি কি? বহু সংখ্যক জীবেরা সেই এককের ওপর নির্ভর করছে। একো বহুনাম্ বিদধাতি কামান্। সেই একক ব্যক্তিটি বহুসংখ্যক জীব, আমাদের, জীবনের সমস্ত প্রয়োজনীয়তাগুলো সরবরাহ করছেন। এটি হচ্ছে বাস্তব সত্য।

আমরা আমাদের বুদ্ধি দিয়েও তা পরীক্ষা করতে পারি। ৮৪ লক্ষ বিভিন্ন প্রজাতির মধ্যে আমরা মানুষ প্রজাতি সামান্য কিছু মাত্র। কিন্তু অন্যরা সংখ্যায় অনেক বেশি। ঠিক যেমন জলের ভেতর। জলজা নব-লক্ষানি। জলের ভেতর নয় লক্ষ ধরণের জীব প্রজাতি রয়েছে। স্থাবরা লক্ষ বিংশতি। ২০ লাখ বিভিন্ন প্রজাতির উদ্ভিদ, গাছপালা রয়েছে। জলজা নব লক্ষানি, স্থাবরা লক্ষ বিংশতি, কৃময়ো রুদ্রসংখ্যকা। ১১ লক্ষ প্রজাতির কৃমি-কীটপতঙ্গ রয়েছে। কৃময়ো রুদ্রসংখ্যকা পক্ষীনাং দশ লক্ষানাম্। দশ লক্ষ প্রজাতির পাখি। এরপর পশু। পশ্বস্ত্রিংশ লক্ষানি। ৩০ লক্ষ প্রজাতির চতুষ্পদ পশু। আর চতুরলক্ষানি মানুষঃ। চার লক্ষ প্রজাতির মানুষ রয়েছে। এই চার লক্ষের অধিকাংশই অসভ্য।