BN/Prabhupada 0659 - কেবল ঐকান্তিক এবং বিনম্রচিত্তে শ্রবণ করার মাধ্যমেই, তুমি শ্রীকৃষ্ণকে বুঝতে পারবে

Revision as of 08:54, 5 June 2021 by Soham (talk | contribs) (Created page with "<!-- BEGIN CATEGORY LIST --> Category:1080 Bengali Pages with Videos Category:Prabhupada 0659 - in all Languages Category:BN-Quotes - 1969 Category:BN-Quotes - L...")
(diff) ← Older revision | Latest revision (diff) | Newer revision → (diff)


Lecture on BG 6.13-15 -- Los Angeles, February 16, 1969

শ্রীল প্রভুপাদঃ হ্যাঁ বল।

ভক্তঃ প্রভুপাদ, আপনি বললেন যে শ্রীকৃষ্ণের এমন কোন অঙ্গ নেই, কোন চোখ নেই, এমন কোন রূপ নেই যা আমরা বুঝতে পারি। তাহলে ছবিতে বা বিগ্রহে শ্রীকৃষ্ণের যে রূপ আমরা দেখছি সেগুলো আমরা কিভাবে গ্রহণ করব?

শ্রীল প্রভুপাদঃ হ্যাঁ, আমি সেইটি ব্যাখ্যা করেছি। তোমাকে কেবল শ্রীকৃষ্ণের সেবা করতে হবে, তাহলে তিনিই তোমার কাছে প্রকাশ করবেন। তোমার আরোহ পন্থার দ্বারা তুমি শ্রীকৃষ্ণকে বুঝতে পারবে না। তোমাকে শ্রীকৃষ্ণের সেবা করতে হবে এবং তখন তিনি নিজেকে তোমার কাছে প্রকাশ করবেন। সেইটি ভগবদগীতায় দশম অধ্যায়ে বর্ণনা করা হয়েছে।

তেষামেবানুকম্পার্থং
অহম্ অজ্ঞানজম্ তমঃ
নাশয়ামি আত্মভাবস্থো
জ্ঞানদীপেন ভাস্বতা
(গীতা ১০.১১)

"যারা নিরন্তর আমার প্রেমময়ী সেবায় নিযুক্ত থাকে, তাদের প্রতি বিশেষ অনুকম্পাবশত," নাশয়ামি আত্মভাবস্থো জ্ঞানদীপেন ভাস্বতা (গীতা ১০.১১) আমি জ্ঞানের আলোক দ্বারা তাদের হৃদয়ের সমস্ত অজ্ঞান অন্ধকার নাশ করি।" শ্রীকৃষ্ণ তোমার হৃদয় অভ্যন্তরে বিরাজ করছেন। এবং যখন তুমি ভগবদ্ভক্তির পন্থার দ্বারা ঐকান্তিকভাবে তাঁর অন্বেষণ করবে, ঠিক যেমন ভগবদগীতায় অষ্টাদশ অধ্যায়ে বলা হয়েছে, ভক্ত্যা মাম্ অভিজানাতি (গীতা ১৮.৫৫) "কেবল মাত্র ভক্তির দ্বারাই কেউ আমাকে তত্ত্বতঃ জানতে পারে", ভক্ত্যা। আর ভক্তি কি? ভক্তি হচ্ছে শ্রবণং কীর্তনং বিষ্ণো (ভাগবত ৭.৫.২৩) কেবল ভগবান শ্রীবিষ্ণুর কথা শ্রবণ ও কীর্তন করা। এইটিই হচ্ছে ভক্তির শুরু।

তাই যদি কেবল বিনম্রভাবে এবং ঐকান্তিকতা সহকারে শ্রবণ কর, তাহলেই তুমি শ্রীকৃষ্ণকে বুঝতে পারবে। শ্রীকৃষ্ণ তোমার কাছে তাঁকে প্রকাশ করবেন। শ্রবণং কীর্তনং বিষ্ণো, স্মরণং পাদসেবনং অর্চনং বন্দনং দাস্যম্ (ভাগবত ৭.৫.২৩) নববিধা প্রকার ভক্তি অঙ্গ রয়েছে। বন্দনং, ভগবানের উদ্দেশ্যে স্তুতি-বন্দনা করাও ভক্তি। শ্রবণং, তাঁর সম্পর্কে শ্রবণ করা। ঠিক যেমন আমরা ভগবদগীতা থেকে শ্রীকৃষ্ণ সম্পর্কে শুনছি। তাঁর মহিমা কীর্তন করছি, হরে কৃষ্ণ। এই হচ্ছে প্রারম্ভ। শ্রবণং কীর্তনং বিষ্ণো (ভাগবত ৭.৫.২৩) বিষ্ণু মানে... সবকিছুই বিষ্ণু। ধ্যান হলেন বিষ্ণু, ভক্তি হলেন বিষ্ণু। বিষ্ণু ছাড়া নয়। আর শ্রীকৃষ্ণ হচ্ছেন সেই বিষ্ণুর আদি রূপ। কৃষ্ণস্তু ভগবান স্বয়ং (শ্রীমদ্ভাগবত ১.৩.২৮) । শ্রীকৃষ্ণ হলেন ভগবানের সমস্ত রূপের আদি রূপ। সুতরাং আমরা যদি কেবল এই পন্থার অনুসরণ করি, তাহলেই আমরা নিঃসন্দেহে তাঁকে বুঝতে পারব।