BN/Prabhupada 0707 - যারা উৎসাহী নয়, অলস, তারা কখনও পারমার্থিক জীবনে উন্নতি করতে পারবে না

Revision as of 17:38, 29 June 2021 by Vanibot (talk | contribs) (Vanibot #0023: VideoLocalizer - changed YouTube player to show hard-coded subtitles version)
(diff) ← Older revision | Latest revision (diff) | Newer revision → (diff)


Lecture on SB 3.26.30 -- Bombay, January 7, 1975

পারমার্থিক জগত রয়েছে। ভগবদ্গীতায় শ্রীকৃষ্ণ বলেছেন যে, পরস্তস্মাদ্‌ তু ভাবঃ অন্যঃ (গীতা ৮/২০) "আরেকটি ভাব বা প্রকৃতি রয়েছে।" প্রকৃতি কি? সর্বেষু নাশ্যস্তু ন বিনাশ্যতি যখন এই জড় জগত, সম্পূর্ণ সৃষ্টি, দৃশ্যমান বিশ্ব ধ্বংস হয়ে যাবে, সেই চিন্ময় জগত থেকে যাবে। সেটি কখনও নাশ হবে না এইরকম অনেক উদাহরণ আছে। ঠিক যেমন মরুভূমিতে মরীচিকা কখনও কখনও তোমরা মরুভূমিতে বিশাল জলরাশি দেখবে পশুরা পিপাসার্ত হয়ে সেই জলের পেছনে ধাবিত হয়। কিন্তু ওখানে আসলে কোন জল নেই। তাই পশুগুলো মারা যায় কিন্তু মানুষের উচিত নয় পশুর মতো হয়ে যাওয়া তাঁদের উচিত নিজেদের মান বাড়ানো । কারণ তাঁদের উন্নত চেতনা আছে ভগবান প্রদত্ত এই সমস্ত শাস্ত্রগ্রন্থের মাধ্যমে তাঁরা তাঁদের উপলব্ধির মান বাড়াতে পারে। ব্যাসদেব হচ্ছেন শ্রীকৃষ্ণের অবতার। তিনি আমাদের বৈদিক শাস্ত্র প্রদান করেছেন। তাই তাঁর নাম ব্যাসদেব, ভগবান ব্যাসদেব। মহামুনিকৃতে কিম্‌ ব পরৈঃ কোন জল্পনা কল্পনার প্রয়োজন নেই কেবল গুরু পরম্পরা অনুয়ায়ী ব্যাসদেবকে অনুসরণ কর। ব্যাসদেবের শিষ্য হচ্ছেন নারদ মুনি নারদ মুনির শিষ্য হচ্ছেন ব্যাসদেব তাই এই পরম্পরা ধারায় যদি আমরা জ্ঞান লাভ করি তবে সেটি আদর্শ জ্ঞান হবে এটি আমাদের গ্রহণ করতে হবে। নিশ্চয়ত্মিকা।

সুতরাং শ্রীল রূপ গোস্বামী বলেছেন পারমার্থিক জীবনে উন্নতি করার জন্য প্রথম নীতি হচ্ছে উৎসাহ উৎসাহাৎ। উৎসাহ। হ্যাঁ। শ্রীকৃষ্ণ বলেছেন, সর্ব ধর্মান্‌ পরিত্যজ্য মামেকম্‌ শরণম্‌ ব্রজ (গীতা ১৮/৬৬) আমি এটি গ্রহণ করব এবং উৎসাহের সঙ্গে সেবা করব , যেমনটা শ্রীকৃষ্ণ বলেছেন।" ভগবান বলেছেন, মন্মনা ভব মদ্ভক্ত মদ্‌যাজী মাম্‌ নমস্কুরু (গীতা ১৮/৬৫) এবং আমাদের জন্য তা উৎসাহের সঙ্গে পালন করা উচিত "হ্যাঁ, আমি অবশ্যই সর্বদা কৃষ্ণচিন্তা করব"। মন্মনাঃ । ভগবান সরাসরি বলছেন। মন্মনা ভব মদ্ভক্তঃ "তুমি কেবল আমার ভক্ত হও।" তাই আমাদেরকে উৎসাহী হতে হবে, "হ্যাঁ, আমি অবশ্যই ভগবান শ্রীকৃষ্ণের ভক্ত হব"। মন্মনা ভব মদ্ভক্ত মদ্‌যাজী... শ্রীকৃষ্ণ বলেছেন, "আমার পূজা কর।" তাই আমাদের ভগবানের পূজা করতে অত্যন্ত উৎসাহী হতে হবে। মঙ্গলারতি কর, ভোরে ঘুম থেকে উঠবে। এইসব কিছুই হচ্ছে উৎসাহ। যারা উৎসাহী নয়, অলস, উদ্যমহীন, তারা ভক্তিজীবনে উন্নতি করতে পারে না। কেবল ঘুমিয়ে থাকবে, তারা কখনও উন্নতি করতে পারবে না। একজন ব্যক্তিকে অত্যন্ত, অত্যন্ত উৎসাহী, ইতিবাচক হতে হবে। উৎসাহাৎ ধৈর্যাৎ। ধৈর্য ধরা। এমন নয় যে, "যেহেতু আমি উৎসাহের সাথে ভক্তি জীবন শুরু করেছি ..." তুমি ইতিমধ্যেই আদর্শ পন্থায় রয়েছ। কিন্তু যদি তুমি ধৈর্যহারা হয়ে যাও যে, "আমি কেন এখনও শুদ্ধ হতে পারছি না? কেন মাঝে মাঝে মায়া আমাকে লাঠি মারছে?" হ্যাঁ। সেটি স্বাভাবিক। সেটি চলতেই থাকবে। এটি বন্ধ হবে। নিশ্চয়াৎ। ধৈর্যাৎ, নিশ্চয়াৎ । যখন শ্রীকৃষ্ণ বলছেন, "সর্বধর্মান্‌ পরিত্যাজ্য মামেকম্‌ শরণম্‌ ব্রজ (গীতা ১৮/৬৬) এখন আমি সবকিছু পরিত্যাগ করেছি। আমার আর কোন কর্তব্যকর্ম নেই। কেবল কৃষ্ণসেবা করা ছাড়া। যখন আমি সেই স্তরে আছি, তখন নিশ্চয়ই শ্রীকৃষ্ণ আমাকে অবশ্যই সুরক্ষা দেবেন।" এর নাম 'নিশ্চয়' হতাশ হয়ো না। ভগবান মিথ্যা আশ্বাস দেন না। তিনি বলেছেন, অহম্‌ ত্বাম্‌ সর্বপাপেভ্য মোক্ষ্যয়িস্যামি।