BN/Prabhupada 0709 - ভগবানের সংজ্ঞা: Difference between revisions

(Created page with "<!-- BEGIN CATEGORY LIST --> Category:1080 Bengali Pages with Videos Category:Prabhupada 0709 - in all Languages Category:BN-Quotes - 1973 Category:BN-Quotes - L...")
 
(Vanibot #0023: VideoLocalizer - changed YouTube player to show hard-coded subtitles version)
 
Line 8: Line 8:
<!-- END CATEGORY LIST -->
<!-- END CATEGORY LIST -->
<!-- BEGIN NAVIGATION BAR -- DO NOT EDIT OR REMOVE -->
<!-- BEGIN NAVIGATION BAR -- DO NOT EDIT OR REMOVE -->
{{1080 videos navigation - All Languages|English|Prabhupada 0708 - The Difference Between the Life of the Fish and My Life|0708|Prabhupada 0710 - We Are Making Millions and Trillions of Ideas and Becoming Entangled in Those Ideas|0710}}
{{1080 videos navigation - All Languages|Bengali|BN/Prabhupada 0708 - মাছের জীবন আর আমার জীবনের মধ্যে পার্থক্য|0708|BN/Prabhupada 0710 - আমরা লক্ষকোটি মতবাদ আর ধারণা তৈরি করছি এবং সেসবের দ্বারা আবদ্ধ হয়ে পড়ছি|0710}}
<!-- END NAVIGATION BAR -->
<!-- END NAVIGATION BAR -->
<!-- BEGIN ORIGINAL VANIQUOTES PAGE LINK-->
<!-- BEGIN ORIGINAL VANIQUOTES PAGE LINK-->
Line 18: Line 18:


<!-- BEGIN VIDEO LINK -->
<!-- BEGIN VIDEO LINK -->
{{youtube_right|RA_MS1eHKyU|ভগবানের সংজ্ঞা<br/>- Prabhupāda 0709}}
{{youtube_right|gKxHeFmwEqw|ভগবানের সংজ্ঞা<br/>- Prabhupāda 0709}}
<!-- END VIDEO LINK -->
<!-- END VIDEO LINK -->



Latest revision as of 17:39, 29 June 2021



Lecture on BG 7.1 -- Bombay, January 13, 1973

ভগবান। ভগবানের সংজ্ঞা রয়েছে। এমন নয় যে কোন একটা বদমাশ এসে নিজেকে ভগবান বলে জাহির করল আর সে ভগবান হয়ে গেল। না। ব্যাসদেবের পিতা পরাশর মুনি ভগবানের সংজ্ঞা দিয়েছেন আমাদের কাছে। ভগ মানে বিভূতি। 'বান' শব্দের অর্থ হচ্ছে যার সেই সমস্ত বিভূতিসমূহ আছে। ঠিক যেমন আমাদের ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা অনুযায়ী। যে কেউ যখন ধনী হয়, সে সবার কাছে খুব আকর্ষণীয় হয়। সবার আকর্ষণের কারণে অনেকে লোক তাঁর কাছে যায়। যখন কেউ খুব প্রভাবশালী হয়, সেও আকর্ষণীয় হয়ে ওঠে। যার খুব খ্যাতি আছে, সেও আকর্ষণীয় হয়ে ওঠে। যিনি খুব বিদ্বান তিনি আকর্ষণীয় হন। যিনি খুব জ্ঞানী, তিনিও আকর্ষণীয় হন। এবং যার বৈরাগ্য আছে,... বৈরাগ্য মানে যার সবকিছু আছে কিন্তু তিনি তার থেকে অনাসক্ত... কোন কিছুই নিজের লাভের স্বার্থে ব্যবহার করেন না ঠিক যেমন কোন ব্যক্তি যখন অত্যন্ত দানী হন, জনসাধারণকে সব দান করে দেন, তিনিও লোকের কাছে আকর্ষণীয় হন।

এই হচ্ছে ছয় ধরণের আকর্ষণের বিষয় সুতরাং ভগবান মানে হচ্ছে যিনি এই ছয় ঐশ্বর্যে পরিপূর্ণ। তিনিই ভগবান। রাস্তার কোন ভবঘুরে মূর্খ কখনও ভগবান হতে পারে না। না। সেটি লোক ঠকানো। আমরা জানি না ভগবান শব্দের অর্থ কি। তাই আমরা যে কোন মূর্খ বদমাশকে ভগবান বলে মেনে নিচ্ছি। ঐশ্বর্যস্য সমগ্রস্য (বিষ্ণুপুরাণ ৬.৫.৪৭)। ধন ঐশ্বর্য। বোম্বে শহরে অনেক ধনী লোক আছে। কিন্তু কেউই এই কথা দাবী করতে পারে না যে "আমিই সব ঐশ্বর্যের মালিক। বম্বের যত ব্যাংকের টাকা আছে, বা বম্বে শহরে যত টাকা আছে সবকিছুর মালিক আমি।" কেউই তা দাবী করতে পারে না। কিন্তু শ্রীকৃষ্ণ তা পারেন। ঐশ্বর্যস্য সমগ্রস্য (বিষ্ণুপুরাণ ৬.৫.৪৭)। সমস্ত ঐশ্বর্য। সামান্য কোন অংশ নয়। সমগ্র। ঐশ্বর্যস্য সমগ্রস্য বীর্যস্য। শক্তি , প্রভাব। বীর্যস্য। যশসঃ, খ্যাতি, যশ। যেমন শ্রীকৃষ্ণ পাঁচ হাজার বছর পূর্বে ভগবদ্গীতা বলেছেন, কিন্তু তা এখনও সারা বিশ্বে আদৃত। কেবল ভারতেই নয়, সারা পৃথিবীতে। ভগবদগীতা যে কোন দেশে, ধর্মমত নির্বিশেষে সবার কাছে সুপরিচিত। প্রত্যেকেই, যে কোন বুদ্ধিমান লোক , পণ্ডিত, দার্শনিক, তাঁরা ভগবদগীতা অধ্যয়ন করে থাকেন। তার মানে শ্রীকৃষ্ণ এতোই যশস্বী যে সবাই তাঁকে জানেন।

ঐশ্বর্যস্য। এবং যখন তিনি এই ধরাধামে লীলা করছিলেন তিনি তাঁর ঐশ্বর্য দেখিয়েছেন। শ্রীনারদ মুনি দেখতে চেয়েছিলেন ভগবান শ্রীকৃষ্ণ কীভাবে তাঁর ১৬ হাজার ১০৮ পত্নীকে পালন করছেন যখন নারদ মুনি এলেন তিনি প্রত্যেকটি প্রাসাদে আলাদা আলাদাভাবে গেলেন। ষোল হাজার একশত আটটি প্রাসাড ছিল, সবগুলি মণিমানিক্যে খচিত ছিল। রাতের বেলা কোন বিদ্যুতের বা আলোর প্রয়োজন পড়ত না। সবগুলি প্রাসাদ এমনভাবেই মণিরত্নে খচিত ছিল। আসবাবপত্রগুলি সব গজদন্ত এবং সোনা দ্বারা নির্মিত ছিল। ঐশ্বর্য। উদ্যানসমূহ পারিজাত বৃক্ষে পূর্ণ ছিল এবং শুধু তাই নয়, নারদমুনি দেখলেন শ্রীকৃষ্ণ তাঁর একেক জন পত্নীর সঙ্গে একেকটি প্রাসাদে বিভিন্ন ধরণের কার্যকলাপে ব্যস্ত। কোথাও তিনি তাঁর পত্নী ও সন্তানদের সঙ্গে বসে রয়েছেন কোথাও তাঁর সন্তানদের বিবাহ হচ্ছে কোথাও আরও অন্য কিছু... বহু ধরণের। একরকম কাজ নয়। সুতরাং এইসব বিষয়কে বলা হয় ঐশ্বর্য। এমন নয় যে কেবল কয়েক তোলা স্বর্ণের মালিক হয়ে কেউ ভগবান হয়ে যাবে। না। ভোক্তারম্‌ যজ্ঞতপসাম্‌ সর্বলোক মহেশ্বরম্‌ ((গীতা ৫/২৯) সুহৃদ্ম্‌ শ্রীকৃষ্ণ ঘোষণা করেছেন, "আমিই পরম ভোক্তা"। ভোক্তারম্‌ যজ্ঞতপসাম্‌ সর্বলোক মহেশ্বরম্‌। "আমিই সমস্ত বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের অধিপতি"। এই হচ্ছে ঐশ্বর্য। ক্ষমতা এবং শক্তির কথা যখন আসছে, শ্রীকৃষ্ণ... তিনি যখন তাঁর মায়ের কোলে কেবল তিন মাসের শিশু, তখনই তিনি বহু অসুর নিধন করেছেন।