BN/Prabhupada 0729 - সন্ন্যাসী একটু ভুল করলেই সেটি কয়েক হাজার গুণে বড় করে দেখা হয়

Revision as of 17:45, 29 June 2021 by Vanibot (talk | contribs) (Vanibot #0023: VideoLocalizer - changed YouTube player to show hard-coded subtitles version)
(diff) ← Older revision | Latest revision (diff) | Newer revision → (diff)


Arrival Address -- London, March 8, 1975

প্রভুপাদঃ তো ভক্তিবনোদ ঠাকুর গেয়েছেন, যায় সকল বিপদ ......... (একপাশে) এটি এখন চলছে। যায় সকল বিপদ, গাই ভক্তিবিনোদ, যখন আমি ও নাম গাই, রাধা-কৃষ্ণ বল বল, বল রে সবাই। শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর প্রচার হচ্ছে সবাইকে হরে কৃষ্ণ বা রাধা-কৃষ্ণ কীর্তন করার জন্য অনুরোধ করা। তাই ভক্তিবিনোদ ঠাকুর বলেছেন যে " যখন আমি হরে কৃষ্ণ মহামন্ত্র জপ করি তখন সমস্ত বিপদ দূর হয়ে যায়। " তো এই জায়গা, এই জড়জগত, একটি বিপদজনক জায়গা। পদম্‌ পদম্‌ যৎ বিপদাম। বিপদ মানে বিপদ , আর পদম্‌ পদম্‌ মানে প্রতি পদে পদে। এই জড়-জগতে তুমি খুব মসৃণ আর শান্তিপূর্ণ জীবন আশা করতে পারনা। এটি সম্ভব নয়। এর একমাত্র প্রতিকার হচ্ছে তাঁর চরণে আশ্রয় গ্রহণ করা... যেমন মুরারি। মুরারি মানে শ্রীকৃষ্ণ।

সমাশ্রিতা যে পদপল্লবং
মহৎপদং পুণ্যযশো মুরারেঃ
ভবাম্বুধির্বৎসপদং পরং
পদং পদং পদং যদ্‌ বিপদাং ন তেষাং।
(SB 10.14.58)

সতরাং এখানে সর্বদাই...... তুমি যদি একটি খুব ভালো নৌকায়ও থাকতে চাও, তবুও, কারণ স্থানটি হচ্ছে জলের। তুমি মনে করতে পারনা যে নৌকাটি সর্বদা খুব মসৃণ আর কোন উপদ্রব ছাড়াই থাকবে। তাই জড়-জগত সর্বদাই অসুবিধায় পূর্ণ। তো আমরা যদি আমাদের নিজেদের মান বজায় রাখি, নিয়মিতভাবে হরে কৃষ্ণ মহামন্ত্র জপ করি, তাহলে বিপদ কেটে যাবে। বিপদসমূহ, তারাও স্থায়ী নয়। তারা ঋতু পরিবর্তনের মতো আসে আর যায়। অনেক সময় খুব গরম ; অনেক সময় খুব ঠাণ্ডা। তাই শ্রীকৃষ্ণ উপদেশ দিয়েছেন যে, আগমাপায়িনোহনিত্যাস্তাংস্তিতিক্ষস্ব ভারত (শ্রীমদ্ভগবতগীতা ২.১৪)। তাই হরে কৃষ্ণ মহামন্ত্র জপ করা থেকে বিমুখ হইওনা। আর যদি কিছু বিপদ থাকে তাহলে ভয় পেও না (অস্পষ্ট)। শ্রীকৃষ্ণের চরণে আশ্রয় গ্রহন কর, হরে কৃষ্ণ মহামন্ত্র জপ কর, তাহলে বিপদ কেটে যাবে।

কিন্তু আমাদের এমন কোন পরিস্থিতি সৃষ্টি করা উচিত নয় যা বিপদজনক। এটি ইতোমধ্যেই বিপদজনক। কারণ শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুও পারমার্থিক জীবন সম্বন্ধে খুব সাবধান ছিলেন। সন্ন্যাসীর অল্প ছিদ্র বহু করি মানে। অন্যরা আইন ভঙ্গ করতে পারে, আর তারা অনেক পাপকর্মও করছে। কিন্তু কেউ এ ব্যাপারে এত মাথা ঘামায় না। কিন্তু যখন কোন ধর্মীয় সঙ্ঘ বা সন্ন্যাসী অল্প একটু ভুল করে, এটি হাজার গুণে অতিরঞ্জিত হয়ে যায়। কাজেই আমাদেরকে খুব সাবধান থাকতে হবে এরকম কোন কিছু না করার ব্যাপারে যা লোকচক্ষে অতিরঞ্জিত হয়ে যেতে পারে। কারণ আমরা প্রচার করছি। আমরা প্রচার করছি, আর এখানে সর্বদাই কিছু অসুর প্রকৃতির লোক রয়েছে যারা আমাদেরকে বিপদে ফেলতে চায়। এটিই স্বাভাবিক। এমনকি হিরন্যকশিপু, প্রহ্লাদ মহারাজের পিতা হয়েও সর্বদা তাঁকে বিপদে ফেলত। কিন্তু যদি আমরা সচেতন থাকি এবং জপ চালিয়ে যাই, বিপদ অতিক্রান্ত হয়ে যাবে। ভয় পেয়োনা। তোমাদের নিত্য নৈমিত্তিক নীতি অনুসরণ, কাজকর্ম, অনুষ্ঠান এগুলো বন্ধ করোনা। এগুলো চালিয়ে যাও। শ্রীকৃষ্ণের ওপর নির্ভরশীল হও, তাহলে ধীরে ধীরে সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে।

তো আমি মনে করি আজকে অনেক হয়েছে। সময় অতিক্রম হয়ে গিয়েছে। শ্রীবিগ্রহগণকে বিশ্রাম দেয়া উচিত। আমাদের আর বিলম্ব করা উচিত নয়। ঠিক আছে। হরে কৃষ্ণ।

ভক্তবৃন্দঃ জয় শ্রীল প্রভুপাদ।