BN/Prabhupada 0734 - মূক ব্যক্তিও অনেক বড় বাগ্মী হয়ে যায়

Revision as of 17:47, 29 June 2021 by Vanibot (talk | contribs) (Vanibot #0023: VideoLocalizer - changed YouTube player to show hard-coded subtitles version)
(diff) ← Older revision | Latest revision (diff) | Newer revision → (diff)


Lecture on SB 7.7.19-20 -- Bombay, March 18, 1971

এখানে সাংখ্য দর্শনের কথা বর্ণনা করা হয়েছে। ২৪টি উপাদান, ২৪টি তত্ত্ব। আটটি স্থুল এবং সূক্ষ্ম উপাদান এবং তাদের বিকার। দশ ইন্দ্রিয়, কর্মেন্দ্রিয় আর জ্ঞানেন্দ্রিয়। আট, দশ, আঠার। এরপর পাঁচটি স্পর্শেন্দ্রিয়। আঠার যোগ পাঁচ, তেইশ। এরপর রয়েছে আত্মা। চব্বিশটি উপাদান, সাংখ্য দর্শনে বিশ্লেষণ করা হয়েছে। সাংখ্য দর্শন ...... ইউরোপিয়ান দার্শনিকরা এই সাংখ্য দর্শন পদ্ধতি খুব পছন্দ করেন। কারণ সাংখ্য দর্শনে এই চব্বিশটি উপাদানকে খুব সহজ ভাবে বর্ণনা করা হয়েছে। সাংখ্য দর্শন। দেহঃ তু সর্ব-সংঘাতঃ জগৎ। (SB 7.7.23) দুই প্রকার শরীর রয়েছে, জগৎ এবং তস্থু- গতিশীল এবং স্থাবর। কিন্তু তারা সবাই এই চব্বিশটি উপাদানের সমন্বয়। অত্রৈব মৃগ্যঃ পুরুষো নেতি নেতীত্য। এখন একজন কে এই চব্বিশটি উপাদানের মধ্য থেকে আত্মাকে খুঁজে বের করতে হবে। এইভাবে বিচার করে, "কোথায় আত্মা, কোথায় আত্মা, কোথায় আত্মা।" কিন্তু এইভাবে প্রদত্ত উপায়ে কেউ একজন আত্মাকে খুঁজে পেতে পারে যদি সে নিয়ম নীতি গুলো অনুসরণ করে। এটি সম্ভব।

অন্বয়ব্যতিরেকেণ
বিবেকেনোশতাত্মনা
স্বর্গস্থানসমাম্নাইয়ৈ
র্বিমৃশদ্ভিরসত্বরৈ।
(SB 7.7.24)

তো আরও অধিক ব্যাখ্যার জন্য, এটি একটু কঠিন বিষয়, কিন্তু খুব গুরুত্বপূর্ণ। প্রহ্লাদ মহারাজ তাঁর অসুর বন্ধুদের কাছে বর্ণনা করছেন। পাঁচ বছরের বালক, তিনি কিভাবে সাংখ্য দর্শন বর্ণনা করছেন? কারণ তিনি হচ্ছেন একজন ভক্ত এবং তিনি সম্পূর্ণ সাংখ্য দর্শনটি একজন প্রামাণিক উৎস, শ্রীনারদ মুনির কাছ থেকে শ্রবণ করেছিলেন। মূকং করোতি বাচালং পঙ্গুং লঙ্ঘয়তে গিরিম। (CC Madhya 17.80) তাই, গুরুদেবের কৃপার কথা বর্ণনা করা হয়েছে, মূকং করোতি বাচালং। (CC Madhya 17.80) মূকং মানে বোবা, যে কথা বলতে পারেনা। সে একজন বিখ্যাত বক্তা হতে পারে। যদিও সে বোবা, তবুও সে বিরাট বক্তা হতে পারে, মুকং করোতি বাচালং। পঙ্গুং লঙ্ঘয়তে গিরিম, আর যে খোঁড়া, যে হাঁটতে পারেনা, সে পাহাড় টপকাতে পারে। মূকং করোতি বাচালম্‌ পঙ্গুং লঙ্ঘয়তে গিরিম... যৎ কৃপা তমহং বন্দে, যার কৃপায় এগুলো সম্ভব হয়, তাঁকে আমি আমার সশ্রদ্ধ প্রণাম জানাই। পরমানন্দ মাধবম, পরম পুরুষোত্তম ভগবান, সমস্ত আনন্দের আধার। শ্রীকৃষ্ণের করুণায় এটি সম্ভব। জড়-জাগতিক বিচারে এটি সম্ভব নয়। জড়-জাগতিক বিচারে কেউ হয়ত বলবে যে "এটি কি করে সম্ভব? তুমি বলবে বোবা সুন্দরভাবে প্রবচন দিচ্ছে? এটি সম্ভব নয়।" অথবা, "এই পঙ্গু লোকটি পাহাড় অতিক্রম করছে?" তাই জাগতিক বিচারে এটি সম্ভব নয়। কিন্তু শ্রীকৃষ্ণ বা তাঁর প্রতিনিধির কৃপায়......... ঠিক যেমন প্রহ্লাদ মহারাজ, পাঁচ বছরের বাচ্চা, তিনি সুন্দরভাবে আত্মার নিয়মতান্ত্রিক অবস্থান বর্ণনা করছেন। কেন? কারণ তিনি শ্রীনারদ মুনির কৃপা পেয়েছিলেন, শ্রীকৃষ্ণের প্রতিনিধি। তাই এটি সম্ভব হয়েছে।