BN/Prabhupada 0743 - যদি তুমি তোমার ভোগের পদ্ধতি উদ্ভাবন কর - তোমাকে চপেটাঘাত খেতে হবে

Revision as of 03:33, 7 June 2021 by Soham (talk | contribs) (Created page with "<!-- BEGIN CATEGORY LIST --> Category:1080 Bengali Pages with Videos Category:Prabhupada 0743 - in all Languages Category:BN-Quotes - 1975 Category:BN-Quotes - L...")
(diff) ← Older revision | Latest revision (diff) | Newer revision → (diff)


Morning Walk -- April 7, 1975, Mayapur

রামেশ্বরঃ... মানুষ আনন্দ উপভোগ করছে, কিন্তু ভগবান যদি আমাদের বন্ধু হন..

প্রভুপাদঃ আনন্দ আর ভোগের সাথে সাথে চপেটাঘাতও খাচ্ছে, উভয়ই আছে। তুমি দেখেছ? - শিশুরা যখন আনন্দ করে, মাঝে মাঝে তাদের পিতা তাদের চড়ও মারেন। কেন?

পুষ্ট কৃষ্ণঃ অবাধ্যতা। তারা এমন কিছু করে যা তাদের নিজেদের অথবা অন্যদের ক্ষতিকর হয়।

প্রভুপাদঃ সুতরাং তুমি জীবন উপভোগ করতে পার, জড়-জাগতিক জীবন,কিন্তু পিতা যেভাবে নির্দেশনা দেন সেভাবে। আর এটি হচ্ছে ভক্তিমূলক সেবা। তখন তুমি উপভোগ করতে পার। অন্যথায় তোমাকে চড় মারা হবে।

ত্রিবিক্রমঃ তথাকথিত আনন্দ।

প্রভুপাদঃ হ্যাঁ। যদি তুমি তোমার আনন্দ উপভোগের জন্য কর্মসূচী তৈরি কর, তাহলে তোমাকে চপেটাঘাত পেতে হবে। আর তুমি যদি পিতার নির্দেশনা অনুযায়ী উপভোগ কর, তাহলে তুমি আনন্দ লাভ করবে। এটি হচ্ছে... শ্রীকৃষ্ণ বলেছেন, "জীবন উপভোগ কর। ঠিক আছে। মন্মনা ভব মদ্ভক্তো মদ্‌যাজী। শান্তিপূর্ণ ভাবে বসবাস কর। সর্বদা আমাকে চিন্তা কর। আমার পূজা কর।" আমাদেরকে এভাবে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে, "এখানে এসো, আর শ্রীকৃষ্ণ চিন্তা কর।" এটি হচ্ছে আনন্দ। কিন্তু তারা তা চায় না। তারা চায় মদ, অবৈধ সঙ্গ। তারা চায় মাংস। তাই তাদেরকে অবশ্যই চপেটাঘাত করা হবে। প্রকৃতপক্ষে সমগ্র বিশ্বই তোমাদের আনন্দ উপভোগের জন্য তৈরি করা হয়েছে, কিন্তু উপভোগটা হবে তাঁর নির্দেশনা অনুযায়ী। তখন তুমি উপভোগ করতে পার। এটিই হচ্ছে দেবতা আর অসুরদের মধ্যে পার্থক্য। অসুরেরা তাদের নিজেদের তৈরি জীবন প্রণালীর মাধ্যমে উপভোগ করতে চায়। আর দেবতারা, তাঁরা অসুরদের থেকে বেশি উপভোগ করে, কারণ তাঁরা ভগবানের নির্দেশনা অনুযায়ী তা করে।

জগদীশঃ শ্রীকৃষ্ণ কেন জীবাত্মাদের এই পাপময় আনন্দ উপভোগের অনুমোদন দেন? শ্রীকৃষ্ণ কেন জীবাত্মাদের এই পাপময় আনন্দ উপভোগের অনুমোদন দেন?

প্রভুপাদঃ শুধুই আনন্দ?

জগদীশঃ পাপময় আনন্দ, যেমন নেশাগ্রস্ত হওয়া...

প্রভুপাদঃ শ্রীকৃষ্ণ অনুমোদন করেন না। তুমি তোমার পাপাচার সৃষ্টি কর। শ্রীকৃষ্ণ কখনও বলেন না যে "তুমি আমিষ আহার কর," কিন্তু তুমি কসাইখানা খোল, তাই তুমি ক্লেশ ভোগ কর।

ব্রহ্মানন্দঃ কিন্তু এখানে কিছু আনন্দ আছে, এইসব পাপময় কর্ম থেকে কিছু পরিমাণে সুখ পাওয়া যায়। প্রভুপাদঃ এটা কি ধরণের আনন্দ? (হাসি)

ব্রহ্মানন্দঃ কিছু লোক চায়... তারা নেশা করা থেকে আনন্দ পায়, তারা আনন্দ পায়... প্রভুপাদঃ হ্যাঁ। আর যার কারণে প্রতিক্রিয়া স্বরূপ তারা কষ্ট পায়। এটি হচ্ছে অজ্ঞানতা, তুমি তাৎক্ষণিক ভাবে কিছু ইন্দ্রিয় সুখ পাচ্ছো কিন্তু ফলাফলটা খারাপ। আর এটা হচ্ছে পাপাচার।

রামেশ্বরঃ আপনি চতুর্থ স্কন্ধে লিখেছেন যে যদি আমরা আমদের যৌবনে অত্যধিক ইন্দ্রিয় সুখ ভোগ করি, তাহলে আমদের বৃদ্ধ বয়সে অনুরূপ রোগে ভুগতে হবে।

প্রভুপাদঃ হ্যাঁ। জড়-জাগতিক জীবন মানে যখনই নিয়মকানুন ভঙ্গ করবে, তুমি কষ্ট পাবে। তাই বর্ণাশ্রম ধর্ম হল জড়-জাগতিক জীবনে পরিপূর্ণতা লাভের সূচনা। এটি হল শুরু। চাতুর্বর্ণং ময়া সৃষ্টং (শ্রীমদ্ভগবদ্গী‌তা ৪.১৩)। এটি ভগবান তৈরি করেছেন। যদি তুমি বর্ণাশ্রম ধর্মের এই বিধান অনুসরণ কর, তাহলে তোমার জীবনের পরিপূর্ণতার সূচনা হবে।