BN/Prabhupada 0748 - ভগবান তাঁর ভক্তকে সন্তুষ্ট করতে চান

Revision as of 17:52, 29 June 2021 by Vanibot (talk | contribs) (Vanibot #0023: VideoLocalizer - changed YouTube player to show hard-coded subtitles version)
(diff) ← Older revision | Latest revision (diff) | Newer revision → (diff)


Lecture on SB 1.8.29 -- Los Angeles, April 21, 1973

তো ভগবদ্গীতায় ভগবান বলেছেনঃ পরিত্রাণায় সাধূনাং বিনাশায় চ দুষ্কৃতাম্‌ (শ্রীমদ্ভগবতগীতা ৪.৮)। দুইটা উদ্দেশ্য। ভগবান যখন অবতরণ করেন, তখন তাঁর দুইটা বিশেষ উদ্দেশ্য থাকে। একটি উদ্দেশ্য হচ্ছে পরিত্রাণায় সাধূনাং বিনাশায় চ দুষ্কৃ... একটি কাজ হচ্ছে নিষ্ঠাবান ভক্তদের উদ্ধার করা, সাধু। সাধু মানে ধার্মিক ব্যাক্তি।

সাধু... আমি বেশ কয়েকবার ব্যাখ্যা করেছি। সাধু মানে ভক্ত। সাধু বলতে জাগতিক সৎ, অসৎ বা নৈতিক, অনৈতিক বোঝায় না। জাগতিক ব্যাপারে এর কিছু করার নেই। এটি শুধু চিন্ময়, সাধু। কিন্তু মাঝে মাঝে আমরা জাগতিকভাবে ভালো গুণ বা নৈতিকতা সম্পন্ন ব্যাক্তিকে সাধু বলে মনে করি। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে "সাধু" মানে চিন্ময় স্তর। যারা ভক্তিমূলক সেবায় নিয়োজিত। স গুণান্‌ সমতীত্যৈতান্‌ (শ্রীমদ্ভগবতগীতা ১৪.২৬)। সাধু সমস্ত জড় গুণের অতীত। তাই পরিত্রাণায় সাধূনাম্‌। পরিত্রাণায় মানে উদ্ধার করতে।

এখন একজন সাধু যদি ইতোমধ্যেই মুক্ত হয়ে থাকেন, তিনি চিন্ময় স্তরে রয়েছেন, তাহলে তাঁকে উদ্ধার করার কি প্রয়োজন? এটি হচ্ছে প্রশ্ন। তাই এই শব্দটি ব্যবহার করা হয়, বিড়ম্বনম। এটি হতবুদ্ধিকর। এটি পরস্পর বিরোধী। এটি মনে হয় যেন পরস্পর বিরোধী। যদি একজন সাধু ইতোমধ্যেই মুক্ত হয়ে থাকেন... চিন্ময় স্তর মানে তিনি আর নিয়ন্ত্রনে নেই সত্ত্ব, রজো আর তমো এই তিনটি জড় গুণের। কারণ ভগবতগীতায় এটি স্পষ্টভাবে বলা হয়েছেঃ স গুণান্‌ সমতীত্যৈতান্‌ (শ্রীমদ্ভগবতগীতা ১৪.২৬)। তিনি জড় গুণকে অতিক্রম করেছেন। একজন সাধু, ভক্ত। তাহলে উদ্ধারের প্রশ্ন কোথায়? মুক্তি...। তাঁর মুক্তির প্রয়োজন নেই, একজন সাধু, কিন্তু যেহেতু তিনি পরম পুরুষোত্তম ভগবানকে সামনাসামনি দেখার জন্য খুব উদ্বিগ্ন, এটি তাঁর অন্তরের বাসনা, তাই শ্রীকৃষ্ণ আসেন। উদ্ধার করার জন্য নয়। তিনি ইতোমধ্যেই মুক্ত। তিনি ইতোমধ্যেই মায়ার কবল থেকে মুক্ত হয়ে গেছেন। কিন্তু তাঁকে আনন্দ দানের জন্য, শ্রীকৃষ্ণ সর্বদাই...

ঠিক যেমন ভক্ত ভগবানকে সব রকম শ্রদ্ধা প্রদর্শন করে সন্তুষ্ট করতে চান, একইভাবে ভক্তের থেকেও ভগবান আরো বেশী করে ভক্তকে আনন্দ দিতে চান। এটি হচ্ছে ভালোবাসার বিনিময়। ঠিক যেমন তোমাদের, আমাদের সাধারণ আচার -আচরণের ক্ষেত্রেও এটি হয়ে থাকে। যদি তুমি কাউকে ভালবাস, তাহলে তুমি তাকে খুশী করতে চাইবে। একইভাবে, সেও চাইবে ভাবের আদান-প্রদান করতে। তাই এই জড়-জগতে যদি ভালবাসার ক্ষেত্রে ভাবের এমন আদান-প্রদান থাকে, তাহলে চিন্ময় জগতে তা কতোটা উন্নত পর্যায়ে রয়েছে? তাই একটি শ্লোক রয়েছেঃ "ভক্ত আমার হৃদয়, আর আমিও ভক্তের হৃদয়।" একজন সাধু সর্বদাই শ্রীকৃষ্ণের কথা চিন্তা করেন, শ্রীকৃষ্ণও তাঁর ভক্তের কথা চিন্তা করেন, সাধু।