BN/Prabhupada 0756 - আধুনিক শিক্ষা - এতে কোন বাস্তব জ্ঞান নেই

Revision as of 07:06, 22 June 2021 by Vanibot (talk | contribs) (Vanibot #0005: NavigationArranger - update old navigation bars (prev/next) to reflect new neighboring items)
(diff) ← Older revision | Latest revision (diff) | Newer revision → (diff)


Lecture on SB 6.1.10 -- Honolulu, May 11, 1976

তো, হ্যাঁ, গুরুদেব, শ্রীশুকদেব গোস্বামী পরীক্ষিৎ মহারাজকে পরীক্ষা করেছেন, এতে দেখা যায় যে রাজা পরীক্ষার এক পর্যায়ে উত্তীর্ণ হয়ে গেছেন, প্রায়শ্চিত্ত করার প্রক্রিয়া প্রত্যাখ্যান করার মাধ্যমে। এটি হচ্ছে বুদ্ধিমত্তা। তৎক্ষণাৎ বললেন ,"গুরুদেব এটি কি?" তিনি প্রত্যাখ্যান করেছেন। প্রায়শ্চিত্ত করার প্রক্রিয়া প্রত্যাখ্যান করে, কারণ এতে সকাম কর্ম জড়িত, কর্ম। কর্ম, আমি কিছু পাপকর্ম করেছি, এরপর আরেকটি, আমাকে শাস্তি দেয়ার মতো আরও কর্ম। তাই এখানে এটি বলা হয়েছে... একটি কর্মের দ্বারা আরেকটি কর্মকে শোধ বা বাতিল করা যায় না। তারা চালিয়ে যাচ্ছে, তারা একটার পর একটা সিদ্ধান্ত নিচ্ছে আর আইন পাশ করে যাচ্ছে, কিন্তু বিষয়গুলো একই অবস্থায় থেকে যাচ্ছে। এগুলো পরিবর্তিত হচ্ছে না। তাই তাদেরকে এই উপায়ে প্রতিরোধ করা যায় না। কর্মণা কর্মনির্হারো (শ্রীমদ্ভাগবত ৬.১.১১)। এখন শুকদেব গোস্বামী মনোধর্মী জ্ঞানের পর্যায়ের পরামর্শ দিচ্ছেন। যখন এটি ব্যর্থ হয়েছে যে, একটি চোর বারংবার অপরাধমূলক কাজ করছে, বার বার তাঁকে শাস্তি দেয়া হচ্ছে কিন্তু তবুও সে সংশোধিত হচ্ছে না। তাহলে এর প্রতিকার কি? এটি হচ্ছে বিমর্ষনম্‌, মনোধর্মী জ্ঞান। কর্মকাণ্ড থেকে জ্ঞানকাণ্ডে উপনীত হওয়া, তিনি প্রস্তাব করছেন প্রায়শ্চিত্তম্‌ বিমর্শনম (শ্রীমদ্ভাগবত ৬.১.১১)ঃ প্রকৃত প্রায়শ্চিত্ত হচ্ছে পূর্ণজ্ঞান। একজনকে জ্ঞান প্রদান করতে হয়।

অন্যথায় কেউ উপনীত হতে পারে জ্ঞানের... তো আধুনিক শিক্ষা ব্যবস্থায় কোন প্রকৃত জ্ঞান নেই। প্রকৃত জ্ঞান শুরু হয় ভগবদগীতা থেকে। যারা ভগবদগীতা পড়েছেন, প্রথম জ্ঞান, অর্জুনকে জ্ঞান প্রদান করা হয়েছিল। যখন তিনি কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়েছিলেন এবং শ্রীকৃষ্ণের শিষ্যত্ব বরণ করেছিলেন, শিষ্যস্তেহহং শাধি মাং ত্বাং প্রপন্নম্‌। (শ্রীমদ্ভগবতগীতা ২.৭)। "কৃষ্ণ, বন্ধুত্বপূর্ণ কথা রাখ। এরকম বন্ধুত্ব সুলভ কথা থামাও। এখন আমি তোমার শিষ্য হতে রাজি হয়েছি। এখন তুমি আমাকে শিক্ষা দাও।" তাই প্রথম শিক্ষা ছিল তিরস্কার। অশোচ্যানন্বশোচস্তং প্রজ্ঞাবাদাংশ্চ ভাষসে (শ্রীমদ্ভগবতগীতা ২.১১)। "তোমার কোন জ্ঞান নেই।" গতাসূনগতাসূংশ্চ নানুশোচন্তি পণ্ডিতাঃ "তুমি পণ্ডিতের মতো কথা বলছ কিন্তু তুমি পণ্ডিত নও।" তিনি পরোক্ষভাবে বললেন,"তুমি একটি বোকা," কারণ নানুশোচন্তি, "একজন জ্ঞানী ব্যক্তি এভাবে চিন্তা করেন না।" তার মানে "তুমি জ্ঞানী ব্যক্তি নও।" বর্তমান সময়ে এটি চলছে। প্রত্যেকেই ভাবে যে সে হচ্ছে খুব উন্নত, উচ্চ শিক্ষিত কিন্তু আসলে সে হচ্ছে এক নাম্বারের মূর্খ। এটিই চলছে, কারণ কোন মানসম্মত জ্ঞান নেই। সনাতন গোস্বামীও , যখন তিনি শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর সাথে মিলিত হন, তিনিও একই জিনিস জিজ্ঞাসা করেছিলেন। তিনি জ্ঞানী ছিলেন। তিনি ছিলেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি সংস্কৃত আর উর্দুতে উচ্চ শিক্ষিত পণ্ডিত ছিলেন- সেই সময় উর্দু, কারণ সেটি ছিল মুসলমান সরকার। কিন্তু তিনি বিচার করলেন যে "তারা আমাকে শিক্ষিত পণ্ডিত বলে, কিন্তু আমি কি ধরণের শিক্ষিত?" তিনি শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর কাছে এই প্রশ্নটি তুলে ধরে ছিলেন। গ্রাম্য ব্যবহারে কহয়ে পণ্ডিত সত্য করি মানি, আপনার হিতাহিত কিছুই নাহি জানিঃ 'আমার প্রিয় শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু, সাধারণ লোকেরা, তারা বলে যে আমি এম.এ, পিএইচ.ডি, ডি.এ.সি, আরও কত কিছু। আমি খুব শিক্ষিত পণ্ডিত। কিন্তু আমি এত বড় পণ্ডিত যে আমি জানি না যে আমি কে আর আমার জীবনের লক্ষ্য কি।" শুধু দেখ। যেকোনো তথাকথিত পণ্ডিতকে জিজ্ঞাসা কর যে "জীবনের লক্ষ্য কি?" সে বলতে পারবে না। জীবনের লক্ষ্য হচ্ছে একইরকম, কুকুরের জীবনের মতোঃ খাও-দাও, পান কর, বিয়ে কর, আনন্দ ফুর্তি কর আর শেষে মরে যাও। এগুলোই সব। তো শিক্ষা কোথায়? কোন শিক্ষা নেই। প্রকৃত শিক্ষা ভিন্ন ব্যাপারঃ যা হচ্ছে একজনকে অবশ্যই তার নিজের অবস্থান সম্পর্কে জানা এবং সেই অনুসারে আচরণ করা।