BN/Prabhupada 0784 - যদি আমরা ভগবৎ চেতনায় কাজ না করি, তাহলে আমাদের মায়ার কবলগ্রস্ত হয়ে কাজ করতে হবে

Revision as of 03:10, 8 June 2021 by Soham (talk | contribs) (Created page with "<!-- BEGIN CATEGORY LIST --> Category:1080 Bengali Pages with Videos Category:Prabhupada 0784 - in all Languages Category:BN-Quotes - 1975 Category:BN-Quotes - L...")
(diff) ← Older revision | Latest revision (diff) | Newer revision → (diff)


Lecture on SB 6.1.44 -- Los Angeles, July 25, 1975

তাই যেই এই জড় দেহ পেয়েছে সে এক মুহূর্তের জন্যই কাজ করা ছাড়া থাকতে পারবে না ন হি অকর্ম কৃৎ। (SB 6.1.44) এটাই মানুষের স্বভাব একটা কিছু করবেই... শিশুর মতো। যেমন শিশু সবসময়ই চঞ্চল ঠিক তেমনই... "শিশুরাই একদিন জনক" পিতা হলেও সেই একই চঞ্চলতা থাকে কারণ সেটি স্বভাব । ন হি দেহবান্‌ অকর্মকৃৎ যদি তুমি ভাল কাজ না করছ, তাহলে তোমাকে অবশ্যই খারাপ কাজ করতেই হবে সেটি স্বাভাবিক । তোমাকে কাজ করতেই হবে তাই বলা হয়, অলস মস্তিষ্ক শয়তানের কারখানা যদি তুমি চুপ করেও বসে থাকো , তোমার মন কাজ করবেই। মাথা কাজ করবেই দেহের ক্রিয়াগুলো চলতেই থাকবে তাই যদি তুমি তোমাকে ভাল কাজে নিযুক্ত না কর , তাহলে অবশ্যই বাজে কাজে তোমাকে যুক্ত হতেই হবে এবং যদি তুমি ভাল কাজে না থাকো... যদি তুমি ... দুটি জিনিস আছে , ভাল এবং খারাপ। এর যে কোন একটিতে তোমাকে যুক্ত হতেই হবে

যদি আমরা ভাল কাজ করার যথার্থ প্রশিক্ষণ না পাই, তাহলে আমাকে খারাপ কাজ করতেই হবে বাজে কাজ মানে মায়া, ভাল কাজ মানে ভগবান। দুটো জিনিস আছে- ভগবান এবং মায়া যদি আমরা দৈবসুলব পরিস্থিতিতে না থাকি, তাহলে আমাদের নিশ্চিত মায়ার অধীনে কাজ করতে হবে সেটি শ্রীচৈতন্য চরিতামৃতে একটি সরল শ্লোকের মাধ্যমে উক্ত হয়েছে হইয়া মায়ার দাস, করি নানা অভিলাষঃ "যেই মাত্র আমি মায়ার দাসত্ব করি, তখন আমি দর্শন আর বিজ্ঞানের নামে নানা ধরণের বদমাশি করব। এটাই চলছে। তথাকথিত দর্শন এবং বিজ্ঞান মানে সব ধরণের বদমায়েশি, বাজে কাজ। এই কথার অনেকেই চ্যালেঞ্জ করবে, কিন্তু এটাই সত্যি। যদি আমরা সেটি না মানি... ধর একটা উদাহরণ দেই। অনেক অনেক বিজ্ঞানী আছে, অনেক দার্শনিক আছে, অনেক হিপ্পি আছে, এল এস ডি আছে এসব কেন হয়েছে? কারণ কোন ভাল কাজে তারা নিযুক্ত হচ্ছে না কেউ কেউ তথাতকথিত বিজ্ঞানী এবং তথাকথিত দার্শনিক নামে চালাচ্ছে আর কেউ কেউ হিপ্পি , কিন্তু এরা সবাই বাজে কাজে নিযুক্ত , অসৎ অসৎ এবং সৎ , সৎ মানে নিত্য, অসৎ মানে অনিত্য

তাই আমাদেরকে অবশ্যই জানতে হবে যে আমাদের প্রকৃত স্বরূপ কি আমরা জানি না যে, আমরা সৎ, নিত্য। তাই আমাদেরকে এমন ভাবে কাজ করা উচিৎ যেন তা আমাদের নিত্য জীবনের জন্য উপকারী হয়। এর নাম সৎ। এই জন্য বেদে নির্দেশ দেয়া হচ্ছে, অসতো মা সদ্‌গময় "অনিত্য বা দেহের জন্য কাজে নিযুক্ত থেকো না..." দেহের প্রয়োজন মানে অনিত্য যদি আমি শিশু হই, তাহলে আমার দেহ একটি শিশুর দেহ তখন আমার চাহিদা আমার বাবার চাহিদা থেকে আলাদা এভাবে সবাই দেহের কাজেই নিযুক্ত তাই বলা হচ্ছে, দেহবান্‌ ন হি অকর্মকৃৎ এবং কারণম্‌ গুণসঙ্গহস্য। সংক্রমণ। আমাদের এসবের বাস্তবিক অভিজ্ঞতা হয়েছে যদি তোমার দেহে কোন রোগ হয়, তাহলে তোমাকে ভুগতে হবে আর যদি তোমার কোন সংক্রমণ থেকে মুক্ত থাকে, তাহলে তুমি সুস্থ থাকতে পারবে সেই জন্য বলা হয়েছে, সম্ভবন্তি হি ভদ্রাণি বিপরীতানি চ অনঘঃ বিপরীতানি। বিপরীত মানে উল্টো। সম্ভবন্তি ভদ্রাণি কেউ শুভ কর্ম করছে, আর কেউ উল্টো কাজ করছে , অশুভ। এইভাবে আমরা জন্মজন্মান্তর ধরে মায়ার বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে থাকছি