BN/Prabhupada 0793 - উপদেশের মধ্যে কোন পার্থক্য নেই। অতএব গুরু একজনই

Revision as of 11:04, 8 June 2021 by Soham (talk | contribs) (Created page with "<!-- BEGIN CATEGORY LIST --> Category:1080 Bengali Pages with Videos Category:Prabhupada 0793 - in all Languages Category:BN-Quotes - 1973 Category:BN-Quotes - L...")
(diff) ← Older revision | Latest revision (diff) | Newer revision → (diff)


Lecture What is a Guru? -- London, August 22, 1973

তাই গুরুর কাজ হচ্ছে জ্ঞানের আলোকবর্তিকা নিয়ে অন্ধকারে থাকা অজ্ঞমূর্খ বা শিষ্যদের কাছে উপস্থাপন করা এবং তাকে এই অজ্ঞানের অন্ধকার থেকে বা ভোগান্তি থেকে রক্ষা করা সেটিই গুরুর কাজ তারপর

আরেকটি শ্লোক বলা হচ্ছে

তদ্‌বিজ্ঞানার্থম্‌ স গুরুমেবাভিগচ্ছেৎ
সমিৎপাণি শ্রোত্রিয়ম্‌ ব্রহ্মনিষ্ঠম্‌
(মুন্ডক উপনিষদ ১/২/১২)

সেটিই বৈদিক শাস্ত্রের নির্দেশ। কেউ একজন জিজ্ঞাসা করছিল গুরু কি অত্যাবশ্যক? হ্যাঁ। অতি আবশ্যক। সেটিই বৈদিক নির্দেশ। বেদে বলা হচ্ছে, তদ্‌ বিজ্ঞানার্থম্‌। তদ্‌ বিজ্ঞান মান বৈদিক জ্ঞান। পারমার্থিক জ্ঞান। পারমার্থিক জ্ঞান আহরণ করতে গেলে তদ্‌ বিজ্ঞানার্থম্‌ স - একজন, গুরুমেব - এব মানে অবশ্যই , গুরুম্‌ মানে গুরুর কাছে অবশ্যই গুরুর কাছে যেতে হবে। একজন নির্দিষ্ট ব্যক্তি গুরু নয়। গুরু একটি তত্ত্ব। গুরু একই তত্ত্ব। যেমনটা আমাদের রেবতীনন্দন মহারাজ বলছিলেন গুরু আসছেন পরম্পরা ধারার মাধ্যমে পাঁচ হাজার বছর আগে ব্যাসদেব যা বলেছেন অথবা শ্রীকৃষ্ণ যা বললেন, সেই একই কথা গুরু বলছেন তাই তাদের নির্দেশের মধ্যে কোন পার্থক্য নেই। তাই গুরু এক। যদিও এর মধ্যে হাজার হাজার আচার্য এসেছেন বা চলে গিয়েছেন কিন্তু বার্তাটি একই আছে। তাই গুরু দুই বা ভিন্ন হতে পারেন না প্রকৃত গুরু ভিন্ন কথা বলবেন না কোন গুরু বলে, "আমার মতে, তোমার এটা করা উচিৎ"। এবং অন্য কোন গুরু বলবে, "আমার মতে এটা কর..." ওরা গুরু নয়। ওরা সব বদমাশ। গুরুর নিজের কোন মতামত থাকে না। গুরুর কেবল একটিই মত যা কৃষ্ণ বলে গেছেন, বা ব্যাসদেব বা নারদ বলেছেন, সেই একই মত। অথবা অর্জুন বা শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু যা বলেছেন বা গোস্বামীরা যা বলে গেছেন, সেই একই কথা পাঁচ হাজার বছর আগে শ্রীকৃষ্ণ এই ভগবদগীতা বলেছেন এবং ব্যাসদেব তা লিখলেন, লিপিবদ্ধ করলেন ব্যাসদেব বলেন নি, "আমার মত অনুযায়ী"। ব্যাসদেব লিখেছেন, "শ্রীভগবান উবাচ - আমি যাই লিখছি না সেসব পরমেশ্বর ভগবান বলে গেছেন" তিনি তাঁর নিজের মতামত দিচ্ছেন না। শ্রীভগবান উবাচ। তাই তিনি একজন গুরু। তিনি শ্রীকৃষ্ণের কথার অপব্যাখ্যা করছেন না তিনি অবিকল একই কথা বলছেন। ঠিক একজন পত্র বাহক বা পিয়নের মতো। কেউ তোমাকে চিঠি লিখেছে, ডাকপিয়ন সেই চিঠিটি পেল তার মানে এই নয় যে সে তাতে কিছু লেখাজোখা করবে, যোগ বিয়োগ করবে। না সেই কেবল এটি পৌঁছে দেবে। সেটিই তার কাজ। তাহলেই গুরু। তিনি সৎ। তেমনই গুরু দুই হতে পারেন না। মনে রাখবে। ব্যক্তি ভিন্ন হতে পারেন, কিন্তু বার্তাটি একই । তাই গুরু তত্ত্বগতভাবে এক।