BN/Prabhupada 0794 - মূর্খ গুরু বলবে, ‘হ্যাঁ তুমি যা খুশি খেতে পার, যা খুশি করতে পার’

Revision as of 11:17, 8 June 2021 by Soham (talk | contribs) (Created page with "<!-- BEGIN CATEGORY LIST --> Category:1080 Bengali Pages with Videos Category:Prabhupada 0794 - in all Languages Category:BN-Quotes - 1973 Category:BN-Quotes - L...")
(diff) ← Older revision | Latest revision (diff) | Newer revision → (diff)


Lecture on BG 2.17 -- London, August 23, 1973

এই কলিযুগ এতোই শক্তিশালী যে এটি এমনকি ভক্তদেরও আক্রমণ করে। কলিযুগ অত্যন্ত শক্তিশালী তাই শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু বলেছেন যে তুমি নিজেকে রক্ষা করতে চাও যদি তুমি অমৃত পেতে চাও, যদি তুমি আগ্রহী হও... কেউই আগ্রহী নয়। ভগবান তাই বলেছেন সোহমৃতত্বায় কল্পতে (BG 2.15) সেটিই জীবনের উদ্দেশ্যঃ আমি কীভাবে অমর হতে পারব আমি কিভাবে জড়া প্রকৃতির এই চারটি দুর্দশা থেকে মুক্ত থাকতে পারি... জন্ম, মৃত্যু, জরা এবং ব্যাধি। কেউই গম্ভীরভাবে নিচ্ছে না। ওরা এতোই মূর্খ। তাই তাদের মন্দ বলে বলা হচ্ছে মন্দ মানে এতোই খারাপ, এতোই মূর্খ যে তাদের জীবনের কোন উদ্দেশ্যই নেই। তারা জানে না যে জীবনে উদ্দেশ্য কি। মন্দ মন্দ - খারাপ। এবং সুমন্দ মতয়োঃ আর যদি এদের মধ্যে কেউ খুব ধার্মিক বলে পরিচিত হতে চায় সে কিছু বদমাশকে, কোন জাদুকরকে গুরু বলে মনে করবে, এবং সবকিছু খাবে, সবকিছু করবে, এবং নিজেকে অধ্যাত্মবাদী ভাববে। আর তার বদমাশ গুরু বলবে, "হ্যাঁ, তুমি যা খুশি খেতে পারবে, যে কোন কিছু করতে পারবে। ধর্মের সাথে খাওয়ার কোন সম্পর্ক নেই"। এ সবই চলছে খ্রিষ্টান লোকেরা, তাঁদের (গ্রন্থে) প্রকাশ্যে বলা আছে, "তুমি কাওকে হত্যা কর না।" কিন্তু তারা হত্যা করছে। তা সত্ত্বেও তারা খুব গর্বিত যে "আমি খ্রিষ্টান" আরে তুমি কি ধরণের খ্রিষ্টান? তুমি রোজ যিশু খ্রিস্টের আদেশ অমান্য করছ, আর তবুও বলছ আমি খ্রিষ্টান?

এই সবকিছু চলছে। খ্রিষ্টান, মুসলমান, হিন্দু সবাই তথাকথিত সবাই বদমাশ হয়ে গেছে । ব্যাস্‌। এই হচ্ছে কলিযুগ। মন্দাঃ সুমন্দ মতয়োঃ (SB 1.1.10) ওরা ওদের নিজেদের মনমতো কাল্পনিক ধর্মনীতি বানিয়ে নিয়েছে। আর তাই তাদের নিন্দা করা হচ্ছে। তারা এটা জানে না। জীবনের উদ্দেশ্য হচ্ছে ভগবানকে উপলব্ধি করা। এটিই মনুষ্য জীবন। কিন্তু তারা তাদের অনিয়ন্ত্রিত ইন্দ্রিয়ের দ্বারা এতোই জর্জরিত যে তারা জড় জগতের অজ্ঞানের গভীরতম প্রদেশে যাচ্ছে। অদান্ত গোভিঃ। অদান্ত মানে অনিয়ন্ত্রিত। তারা তাদের ইন্দ্রিয় নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না। এতোটাই দুর্ভাগা যে এই সামান্য কাজ ইন্দ্রিয় সংযমের অল্প প্রচেষ্টা, অল্প তপস্যাটাই করছে পারছে না। যোগ পদ্ধতি মানে ইন্দ্রিয় সংযম যোগ মানে এই নয় তুমি কিছু ভেল্কিবাজি দেখাবে জাদু, জাদুকরও ভেল্কি দেখাতে পারে আমরা একজন জাদুকরকে দেখেছি , সে মুহূর্তের মধ্যে অনেক অনেক মুদ্রা বানাতে পারে - টাং , টাং, টাং, টাং পর মুহূর্তেই সব শেষ তারা এই মনুষ্য জীবনের মূল উদ্দেশ্য জানে না মন্দাঃ সুমন্দ মতয়োঃ। কেন? মন্দভাগ্য। তারা দুর্ভাগা। এসব কিছু আপনা থেকেই পাবে বলে মনে করছে আমরা এই কৃষ্ণভাবনামৃত আন্দোলনে তাদের জাগ্রত করার চেষ্টা করছি তা সত্ত্বেও তারা এতোই দুর্ভাগা যে ইন্দ্রিয় ভোগ ছাড়তে পারছে না এতোই দুর্ভাগা। নিন্দনীয়। দুর্ভাগা। আমরা বারবার গ্যলন গ্যলন রক্ত ব্যয় করছি - "এসব কর না" - তারপরও তারা তাই করে যাচ্ছে এমন কি নিদ্রাটুকুও কমাতে পারছে না। এতোটাই নিন্দনীয়। কলি যুগ। মন্দাঃ সুমন্দমতয়োঃ