BN/Prabhupada 0807 - ব্রহ্মাস্ত্র মন্ত্র দিয়ে তৈরি করা হয়, সূক্ষ্মভাবে

Revision as of 08:26, 1 September 2021 by Soham (talk | contribs) (Created page with "<!-- BEGIN CATEGORY LIST --> Category:1080 Bengali Pages with Videos Category:Prabhupada 0807 - in all Languages Category:BN-Quotes - 1976 Category:BN-Quotes - L...")
(diff) ← Older revision | Latest revision (diff) | Newer revision → (diff)


Lecture on SB 1.7.26 -- Vrndavana, September 23, 1976

আমরা ব্রহ্মাস্ত্র সম্পর্কে আলোচনা করেছি। এটি অনেকটা আধুনিক পারমাণবিক অস্ত্র বা বোমার মতো, কিন্তু... এটি রাসায়নিক পদার্থ দিয়ে তৈরি আর ব্রহ্মাস্ত্র তৈরি মন্ত্র দিয়ে। এটি হচ্ছে সূক্ষ্ম উপায়। আধুনিক বিজ্ঞান এখনও সেই সূক্ষ্ম অস্তিত্বের পর্যায়ে পৌঁছায়নি। তাই তারা আত্মার দেহান্তর প্রাপ্তি কিভাবে ঘটে, তা বুঝতে পারে না। আধুনিক বিজ্ঞানের সেই বিষয়ে কোন জ্ঞান নেই। অসম্পূর্ণ জ্ঞান। তারা স্থুল দেহটাকে দেখে, কিন্তু তাদের সূক্ষ্ম দেহ সম্বন্ধে কোন জ্ঞান নেই। কিন্তু সূক্ষ্ম দেহ রয়েছে। ঠিক যেমন আমরা তোমার মনকে দেখতে পাইনা, কিন্তু আমি জানি যে তোমার মন রয়েছে। তুমি আমার মনকে দেখতে পাওনা, কিন্তু তুমি জান যে আমার মন আছে। মন, বুদ্ধি এবং অহংকার। আমার ধারণা, পরিচিতি, "আমি হই," এই চেতনা রয়েছে। এটি হচ্ছে অহংকার। এবং আমার বুদ্ধি, আমার মন, তোমরা দেখতে পাও না, না আমি দেখতে পাই। কাজেই মন, বুদ্ধি এবং ব্যক্তিগত পরিচিতি বা অহংকার কিভাবে, আত্মাকে অন্য দেহে বহন করে নিয়ে যায়, তারা তা দেখতে পায় না, তারা এটি দেখতে পারে না। তারা দেখে স্থূল দেহটা থেমে গেছে, সবকিছু থেমে গেছে। স্থুল দেহটা পুরে ছাই হয়ে গেছে; তাই তারা ভাবে সবকিছু শেষ হয়ে গেছে। ভস্মীভূতস্য দেহস্য কুতঃ পুনরাগমনো ভবেদ (চার্বাক মুনি)। নাস্তিকেরা এভাবে চিন্তা করে। জ্ঞানের স্বল্প ভাণ্ডার নিয়ে তারা এভাবে চিন্তা করে। "আমি দেখতে পাচ্ছি এখন দেহটি পুড়ে ছাই হয়ে গেল।তাহলে আত্মা কোথায়?" তাই "কোন আত্মা নেই, ভগবান বলে কিছু নেই, সব কল্পনা।" কিন্তু এটি সত্য নয়, এটি প্রকৃত ঘটনা নয়। প্রকৃত সত্য হচ্ছে, স্থুল দেহ শেষ হয়ে যায়, কিন্তু সূক্ষ্ম দেহ তখনও থাকে। মনো বুদ্ধির অহংকারঃ। ভূমিরাপোহনলো বায়ুঃ খং মনো বুদ্ধিরেব চ (শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা ৭.৪)। অপরেয়মিতস্ত্বন্যাং বিদ্ধি মে প্রকৃতিং পরাম্‌। (BG 7.5) তাই সূক্ষ্ম বস্তুর ক্রিয়া প্রতিক্রিয়া, সূক্ষ্ম ব্যপার... মনও জড় বস্তু, কিন্তু সূক্ষ্ম, খুব নিখুঁত। ঠিক যেমন আকাশ, আকাশও জড় বস্তু, কিন্তু খুবই সূক্ষ্ম, নিখুঁত। মন আকাশের থেকেও সূক্ষ্ম, আর বুদ্ধি মনের থেকেও সূক্ষ্ম। আর বুদ্ধির থেকেও সূক্ষ্ম হচ্ছে আমার অহংকারঃ "আমি হচ্ছি," এই ধারণা।

এই বিষয়ে তাদের কোন জ্ঞান নেই। তাই... তারা স্থুল পদার্থ দিয়ে অস্ত্র বা বোমা তৈরি করে। ভূমিরাপ অনল- রাসায়নিক পদার্থ, এগুলো স্থুল। কিন্তু এই ব্রহ্মাস্ত্র স্থুল নয়। এটিও জড় কিন্তু সূক্ষ্ম পদার্থ দিয়ে তৈরি; মন, বুদ্ধি এবং অহংকার। তাই অর্জুন শ্রীকৃষ্ণকে জিজ্ঞাসা করছেন, "আমি জানি না এটি কোথা থেকে আসছে, কোথা থেকে এত তীব্র তাপ আসছে।" এটি এখানে বর্ণনা করা হয়েছে, তেজঃ পরম দারুণং(SB 1.7.26)। তাপ এত তীব্র, অসহনীয়। সুতরাং আমাদের কর্তৃপক্ষকে জিজ্ঞাসা করা উচিত। শ্রীকৃষ্ণ হচ্ছেন সর্বোত্তম কর্তৃপক্ষ। তাই অর্জুন শ্রীকৃষ্ণকে জিজ্ঞাসা করছেন, কিম ইদং স্বিৎ কুত বেতিঃ "প্রিয় কৃষ্ণ, এত তাপ কোথা থেকে আসছে?" কিম ইদম্, দেব দেব। কেন তিনি শ্রীকৃষ্ণকে জিজ্ঞাসা করছেন? কারণ শ্রীকৃষ্ণ হচ্ছেন দেব দেব।