BN/Prabhupada 0821 - পণ্ডিত মানে যিনি বড় ডিগ্রি নিয়েছেন তা নয়, যিনি সমচিত্ত তিনিই পণ্ডিত

Revision as of 10:32, 16 September 2021 by Soham (talk | contribs) (Created page with "<!-- BEGIN CATEGORY LIST --> Category:1080 Bengali Pages with Videos Category:Prabhupada 0821 - in all Languages Category:BN-Quotes - 1976 Category:BN-Quotes - L...")
(diff) ← Older revision | Latest revision (diff) | Newer revision → (diff)


Lecture on SB 5.5.3 -- Vrndavana, October 25, 1976

কলিযুগে ব্রাহ্মণের অর্থ একটি দু পয়সার সুতা, এখানেই শেষ। তবে তা ব্রাহ্মণ নয়। ব্রাহ্মণ অর্থাৎ শমো দমো তিতিক্ষা। এগুলিই লক্ষণ। একইভাবে, মহাত্মার অর্থ পোশাক নয়। তবে লোকেরা সেই পোশাকটিকে ব্যবহার করেছে, বেশোপাজিবিভিঃ (?)। ভারতে এখনও, যদ্যপি দারিদ্র্যপীড়িত, যদি কোনও ব্যক্তি কেবল গেরুয়া বস্ত্র ধারণ করে একটি গ্রামে যায়, তার কোনও সমস্যা হবেনা। প্রত্যেকে তাকে ডাকবে, তাকে আমন্ত্রণ জানাবে, আশ্রয় দেবে, তাকে খাবার দেবে। তবুও, (হিন্দি: "মহাত্মাজী, আসুন। প্রসাদ গ্রহণ করুন।") সবাই জিজ্ঞাসা করবে। দরিদ্র লোকেরা এই সুযোগের সদ্ব্যবহার করেছে। কোন শিক্ষা ছাড়া, বিনা ... তারা অর্থনৈতিক সমস্যা সমাধানের জন্য এই পদ্ধতি গ্রহণ করে। এখানে বৃন্দাবনেও আপনি দেখতে পাবেন অনেক লোক এখানে এসেছে কারণ এখানে অনেকগুলি ছত্র রয়েছে। তুমি বিনামূল্যে রুটি, ডাল পাবে। তুমি দেখবে সকালে বহু দুর্ভাগা মানুষ তারা কেবল এই রুটি এবং ডালের জন্য বৃন্দাবনে এসেছে। এবং তারা সংগ্রহ করে এবং বিনিময় করে। তারা বিড়ি কেনে।

তাই সব কিছু, কলিযুগে, সব কিছুর অপব্যবহার করা হচ্ছে। তবে শাস্ত্র আমাদের নির্দেশ দিয়েছে যে কে ব্রাহ্মণ, কে মহাত্মা। সুতরাং এখানে এক ধরণের মহাত্মার বর্ণনা করা হয়েছে: মহান্তস্‌ তে সমচিত্তাঃ। তারা সমান। ব্রহ্মভূতঃ প্রসন্নাত্মা (শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা ১৮/৫৪)। সম সর্বেষু ভূতেষু। তিনি হলেন মহাত্মা। তিনি উপলব্ধি করেছেন, ব্রহ্ম উপলব্ধি করেছেন, তাই তাঁর কোনও বৈষম্য নেই, মানুষ ও মানুষে বা মানুষ ও প্রাণীর মধ্যে উভয়েই। এমনকি একটি ...

বিদ্যাবিনয়সম্পন্নে
ব্রাহ্মণে গবি হস্তিনি
শুনি চৈব শ্বপাকে চ
পণ্ডিতাঃ সমদর্শিনঃ
(শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা ৫/১৮)।

পণ্ডিত অর্থাৎ এই নয় যিনি ডিগ্রি অর্জন করেছে। পণ্ডিত অর্থাৎ সমচিত্তাঃ। সেটাই হল সমচিত্তাঃ। চাণক্য পণ্ডিতও বলেছেন,

মাত্রবৎ পর দারেষু
পর দ্রব্যেষু লোষ্ট্রবৎ
আত্মবৎ সর্বভূতেষু য়ঃ
পশ্যতি স পণ্ডিতঃ।

তিনি হলেন পণ্ডিত। না হলে সে একটি বদমাশ। মাত্রবৎ পরদারেষু। যখনই তুমি নিজের বিবাহিত স্ত্রী ব্যতীত, প্রত্যেক মহিলাকে দেখবে, তুমি অবিলম্বে তাকে "মা" বলে সম্বোধন করবে। তিনি হলেন পণ্ডিত। তিনি হলেন পণ্ডিত। এমন নয় যে পর স্ত্রীর সাথে ফিশ-ফিশ করে কথা বলবে। সে একটা বদমাশ। সুতরাং মাত্রবৎ পর দারেষু পরদ্রব্যেষু লোষ্ট্রবৎ: অন্যের সম্পত্তি স্পর্শ না করা। কেউ আবর্জনা স্পর্শ করে না। তবে মানুষ অত্যন্ত হতভাগ্য। আমি হংকংয়ে দেখেছি, তারা কুকুরের মতো আবর্জনা থেকে কিছু খাবার তুলছে। আমি দেখেছি। কেউ কিছু খাবার ফেলে দেয় এবং তা সংগ্রহ করা হয়। মানুষ অত্যন্ত হতভাগ্য। সুতরাং আবর্জনা কেউ স্পর্শ করে না। তবে কলিযুগে, একজনকে কিছু কাগজ সংগ্রহ করতে হবে, কিছু, আমি বলতে চাইছি, কাপড়ের টুকরো, আবর্জনায় কিছু ব্যবসা করার জন্য। আবর্জনা অস্পৃশ্য, তবে কলিযুগে মানুষ এত হতভাগ্য যে তারা আবর্জনা থেকেও কিছু মূল্যবান বেছে নেয়।

সুতরাং যাইহোক, মহান্তস, এগুলিই লক্ষণ। সমচিত্তাঃ: তাদের তেমন কিছুই নেই, "ওহ, ইনি হিন্দু, ইনি মুসলমান, ইনি ধনী, ইনি গরীব।" না। তিনি সবার প্রতি সদয়। সেটাই হল ঐশ্বরিক গুণ।