BN/Prabhupada 0822 - কেবল কীর্তনের দ্বারাই তুমি শুদ্ধ হতে পারবে

Revision as of 10:40, 16 September 2021 by Soham (talk | contribs) (Created page with "<!-- BEGIN CATEGORY LIST --> Category:1080 Bengali Pages with Videos Category:Prabhupada 0822 - in all Languages Category:BN-Quotes - 1975 Category:BN-Quotes - L...")
(diff) ← Older revision | Latest revision (diff) | Newer revision → (diff)


Lecture on SB 3.28.18 -- Nairobi, October 27, 1975

হরিকেশ: অনুবাদ: "ভগবানের মহিমা সর্বদা গুণগান করার যোগ্য, কারণ তাঁর মহিমা তাঁর ভক্তদের মহিমা বৃদ্ধি করে। অতএব আমাদের পরম ভগবান ও তাঁর ভক্তদের উপর ধ্যান করা উচিত। মন স্থির না হওয়া পর্যন্ত আমাদের ভগবানের অনন্ত রূপের উপর ধ্যান করা উচিত।

প্রভুপাদঃ

কীর্তন্যতীর্থযশসং
পুণ্যশ্লোকযশস্করম্
ধ্যায়েদ্দেবং সমগ্রাঙ্গং
যাবন্ন চ্যবতে মনঃ
(শ্রীমদ্ভাগবত ৩/২৮/১৮)।

একেই বলে ধ্যান। যাবন- যতক্ষণ মন অস্থির এবং আমাদের ধ্যানের বিষয় থেকে বিচ্যুত হয়, আমাদের এই কীর্তন অনুশীলন করা উচিত। কীর্তনীয়ঃ সদা হরিঃ (শ্রীচৈতন্য চরিতামৃত আদি ১৭/৩১)। শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু নির্দেশ দিয়েছেন যে ভক্তের সর্বদা চব্বিশ ঘন্টা জপ-কীর্তন করা উচিত। কীর্তন্য: "তা গুণগান করার যোগ্য।" তা গুণগান করার যোগ্য, কেন? পুণ্যশ্লোকস্য। পুণ্যশ্লোকস্য...পুণ্যশ্লোকযশস্করম্। এমনকি যদি তুমি নিজের মন কে স্থির না করো - কীর্তন অর্থাৎ নিজের মন কে স্থির করো - তবে এমনকি তুমি যদি নিজের মন স্থির নাও করো, তবুও তুমি লাভবান হবে। তুমি যত ভগবানের মহিমার গুণগান করবে, কেবল কীর্তন করেই তুমি ধর্মনিষ্ঠ হয়ে উঠবে। তোমার বোঝা অনিবার্য নয়, তবে তুমি যদি হরে কৃষ্ণ মহা মন্ত্র জপ করতে থাক, তাহলে তুমি ধর্মপরায়ণ হয়ে উঠবে। পুণ্যশ্লোক। শ্রীকৃষ্ণের অপর নাম পুণ্যশ্লোক, উত্তমশ্লোক। কেবল "কৃষ্ণ" জপ করে তুমি ধর্মনিষ্ঠ হয়ে উঠবে।

সুতরাং ধ্যায়েদ্দেবং সমগ্রাঙ্গং। সেই ধ্যান, সেই ধ্যান, শ্রীপাদপদ্ম থেকে শুরু হওয়া উচিত। যখনি তুমি কীর্তন শুরু করবে, সর্বপ্রথম শ্রীপাদপদ্মের উপর মনোনিবেশ করো, সরাসরি ঝাঁপ মেরে শ্রীমুখ দর্শন কর না। শ্রীপাদপদ্মের উপর ধ্যান করাতে দক্ষ হও, তারপর আরও উপরে, হাঁটু, তারপরে ঊরু, তারপরে উদর, তারপরে বক্ষ:স্থল। এইভাবে, শেষে শ্রীমুখ দর্শন করো। এটাই পদ্ধতি। এটি দ্বিতীয় স্কন্ধে বর্ণিত হয়েছে। সেই প্রক্রিয়াটি হল কীভাবে শ্রীকৃষের বিষয় চিন্তা করা যায়, মন্মনা ভব মদ্ভক্তঃ (শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা ১৮/৬৫)। এটাই ধ্যান। সুতরাং এটি ... কীর্তন দ্বারা এটি খুব সহজ হয়ে যায়। তুমি যদি শ্রী হরিদাস ঠাকুরের মতো চব্বিশ ঘন্টা হরে কৃষ্ণ মহামন্ত্র জপ করো... সেটা সম্ভব নয়। সুতরাং যতটা সম্ভব। তীর্থযশসা। কীর্তন... এটাও কীর্তন। আমরা শ্রীকৃষ্ণের বিষয় কথা বলছি, শ্রীকৃষ্ণ সম্পর্কে পড়ছি, শ্রীমদ্ভগবদ্গীতায় শ্রীকৃষ্ণের নির্দেশ পাঠ করছি বা শ্রীমদ্ভাগবতে শ্রীকৃষ্ণের মহিমার বিষয় পড়ছি। এইগুলি সবই কীর্তন। এই নয় যে কেবল যখন আমরা বাদ্যযন্ত্র নিয়ে গান করি, সেটাই কীর্তন। না। তুমি শ্রীকৃষ্ণ সম্পর্কে যে কথাই বলবে, সেটাই কীর্তন।