BN/Prabhupada 0827 - আচার্যের কর্তব্য হচ্ছে শাস্ত্রের নির্দেশ প্রদান করা

Revision as of 11:34, 16 September 2021 by Soham (talk | contribs) (Created page with "<!-- BEGIN CATEGORY LIST --> Category:1080 Bengali Pages with Videos Category:Prabhupada 0827 - in all Languages Category:BN-Quotes - 1972 Category:BN-Quotes - L...")
(diff) ← Older revision | Latest revision (diff) | Newer revision → (diff)


The Nectar of Devotion -- Vrndavana, November 5, 1972

সুতরাং শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু আমাদের প্রদান করেছেন ... এটা শাস্ত্রে রয়েছে। শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু চিহ্নিত করেছেন... একজন আচার্যের কি করা উচিত... শাস্ত্রে সবকিছু রয়েছে। আচার্য কিছু আবিষ্কার করেন না। সেটা আচার্যের কাজ নয়। আচার্য কেবল ইঙ্গিত করেন, "এই হলো বিষয়।" ঠিক যেমন রাতের অন্ধকারে আমরা কোন কিছুই ঠিকভাবে দেখতে পাই না অথবা কিছুই দেখতে পাই না, কিন্তু, যখন সূর্যোদয় হয়, সূর্যোদয়, সূর্যোদয় হওয়ার কারণে আমরা জিনিসগুলিকে যথাযথভাবে দেখতে পারি। জিনিসগুলি তৈরি করা হয় না। সেগুলি ইতিমধ্যেই উপস্থিত। জিনিসগুলো ... বাড়ি, শহর এবং সবকিছুই থাকে, কিন্তু যখন সূর্যোদয় হয় তখন আমরা সবকিছু সুন্দরভাবে দেখতে পারি। একইভাবে, আচার্য, বা অবতার, তারা কিছুই তৈরি করেন না। তাঁরা কেবল জিনিসগুলিকে যথাযথভাবে দেখার আলোক প্রদান করেন। সুতরাং শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু বৃহন্নারদীয় পুরাণের এই শ্লোকটি চিহ্নিত করেছেন। শ্লোকটি আগে থেকেই বৃহন্নারদীয় পুরাণে ছিল।

হরের্নাম হরের্নাম হরের্নামৈব কেবলম্‌।
কলৌ নাস্ত্যেব নাস্ত্যেব নাস্ত্যেব গতিরন্যথা
(শ্রীচৈতন্য চরিতামৃত আদি ১৭/২১)।

এই শ্লোকটি আগে থেকেই বৃহদনারদীয় পুরাণে ছিল, কলিযুগে আমাদের কর্মকাণ্ডের ইঙ্গিত। শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু, তিনি নির্দেশ দিয়েছিলেন। যদিও তিনি স্বয়ং শ্রীকৃষ্ণ - তিনি অনেক কিছু তৈরি করতে পারতেন - কিন্তু তিনি তা করেননি। এই হলেন আচার্য। আচার্য কোনও নতুন ধরনের ধর্ম, একটি নতুন ধরনের হরে কৃষ্ণ মন্ত্রের বাক্য তৈরি করবেন না। সেটি শক্তিশালী নয়। সেই ... ঠিক যেমন হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে হরে রাম হরে রাম রাম রাম হরে হরে। এটা শাস্ত্রে আছে। সুতরাং এটি শক্তিশালী। এখন যদি আমরা এই ষোলটি শব্দ থেকে কিছু যোগ করি এবং বিয়োগ করি, সেটা আমার তৈরী। সেটার ক্ষমতা থাকবে না। তারা এটা বুঝতে পারে না। তারা ভাবছেন যে তারা যদি হরে কৃষ্ণের সাথে যোগ করে কিছু নতুন বাক্য তৈরি করতে পারেন, তাহলে তিনি বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য হয়ে উঠবেন। কিন্তু সে পুরো জিনিসটাই নষ্ট করে দেয়। সেটা হল ... সে নতুন কিছু তৈরি করে না। নতুন যে জিনিসটি সে করে, সে পুরো জিনিসটাই নষ্ট করে দেয়। সুতরাং শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু কখনও তা করেননি, যদিও তিনি স্বয়ং শ্রীকৃষ্ণ। তিনি শাস্ত্রের নির্দেশে অনড় ছিলেন। শ্রীকৃষ্ণ, তিনি পরম ভগবান। তিনি আরও নির্দেশ করেন: যঃ শাস্ত্র বিধিমুৎসৃজ্য বর্ততে কামকামরতঃ ন স সিদ্ধিমবাপ্নোতি (শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা ১৬/২৩)। তিনি নির্দেশ দেন যে কেউ শাস্ত্রের উপদেশ অমান্য করতে পারে না। ব্রহ্মসূত্রপদৈশ্চৈব হেতুমদ্ভির্বি নিশ্চিতৈঃ (শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা ১৩/৫)। শ্রীকৃষ্ণ বলেন। তিনি দিতে পারেন। তিনি যা বলেন, সেটাই শাস্ত্র, সেটাই বেদ। কিন্তু তবুও, তিনি শাস্ত্রের বর্ণনা দেন।

সুতরাং আচার্যের কর্তব্য হল শাস্ত্রীয় উপদেশ চিহ্নিত করা। সেগুলো ইতিমধ্যে বেদে রয়েছে। তার কর্তব্য হলো... ঠিক যেমন অনেক ওষুধ রয়েছে। আপনি যদি কোনও ওষুধের দোকানে যান, সেখানে সবই ওষুধ, তবে অভিজ্ঞ চিকিৎসক, তিনি তোমাকে একটি ওষুধ দেন যা তোমার জন্য বিশেষভাবে উপযুক্ত। তুমি বলতে পারো না, "স্যার, আপনি ওষুধ নির্বাচন কেন করছেন? আপনি যে কোনও একটি বোতল দিতে পারেন।" সেটা বোকামি। যেকোনও একটি নয়। সেই নির্দিষ্ট শরীর, একটি নির্দিষ্ট বোতল এবং একটি বিশেষ ওষুধ যা তোমার জন্য উপযুক্ত, অভিজ্ঞ চিকিৎসক আপনাকে প্রদান করেন। তিনি হলেন আচার্য। সুতরাং তুমি বলতে পারো না যে "আমি যেই বোতলটাই নি না কেন, সবই ওষুধ, ঠিক আছে।" না তা নয়। এটাই চলছে। যত মত তত পথ। যত মত তত পথ কেন? সেই বিশেষ মত যা একটি নির্দিষ্ট সময়ে আপনার জন্য উপযুক্ত, সেটি গ্রহণ করা উচিত, অন্য কোনও মত নয়। একইভাবে, এই যুগে, এই কলিযুগে, যেখানে মানুষ খুবই স্বল্পজীবী, জীবনকাল খুব কম, তারা অভাগা, তারা খুব ধীর, এবং তারা অননুমোদিত ধর্মীয় নীতিগুলি গ্রহণ করে, তারা জীবনের অনেক ঝামেলার শিকার হওয়ায় প্রবণ ... অতএব এই যুগের জন্য এই বিশেষ ওষুধ, যা শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু প্রদান করেছেন:

হরের্নাম হরের্নাম হরের্নামৈব কেবলম্‌
কলৌ নাস্ত্যেব নাস্ত্যেব নাস্ত্যেব গতিরন্যথা
(শ্রীচৈতন্য চরিতামৃত আদি ১৭/২১)।

প্রভু কহে, ইহা হইতে সর্বসিদ্ধি হইবে তোমার। সুতরাং আমাদের শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর নির্দেশ গ্রহণ করা উচিত, যিনি এই যুগে, কলিযুগ বিশেষভাবে নিজেকে অবতীর্ণ করেছেন। কলৌ সংকীর্তনপ্রায়ৈর্জযজন্তি হি সুমেধসঃ। এটাই শাস্ত্রের উপদেশ।

কৃষ্ণবর্ণং ত্বিষাকৃষ্ণং
সাঙ্গোপাঙ্গাস্ত্রপার্ষদম
যজ্ঞৈঃ সংকীর্তনপ্রায়ৈ
র্যজন্তি হি সুমেধসঃ
(শ্রীমদ্ভাগবত ১১/৫/৩২)।

এটাই হল শাস্ত্রের উপদেশ, সেটা হল ভগবানের রূপ, যিনি সর্বদা নিজ পার্ষদের সঙ্গে থাকেন... সাঙ্গোপাঙ্গস্ত্রপার্ষদম। সুতরাং চৈতন্য মহাপ্রভু সর্বদা শ্রী অদ্বৈত প্রভুর সঙ্গে থাকেন, শ্রীনিত্যানন্দ প্রভু, শ্রী গদাধর প্রভু, শ্রী শ্রীবাস প্রভু। অতএব পূজার প্রক্রিয়া হল শ্রীকৃষ্ণ চৈতন্য প্রভু নিত্যানন্দ শ্রীঅদ্বৈত গদাধর শ্রীবাসাদি গৌর ভক্ত বৃন্দ। এটি নিখুঁত প্রক্রিয়া। একে কাট-ছাট করা উচিত নয়। না। যেমনটি নির্দেশিত হয়েছে। এটি শ্রীমদ্ভাগবতে নির্দেশিত। কৃষ্ণবর্ণং ত্বিষাকৃষ্ণনং সাঙ্গোপাঙ্গস্ত্রপার্ষদম (শ্রীমদ্ভাগবত ১১/৫/৩২)। সুতরাং যখন আমরা ভগবান শ্রীচৈতন্যের পূজা করি, তখন আমরা তাঁর পার্ষদের সঙ্গে পূজা করি। শ্রীকৃষ্ণ চৈতন্য প্রভু নিত্যানন্দ শ্রীঅদ্বৈত গদাধর শ্রীবাসাদি গৌরভক্তবৃন্দ। কোন কাট-ছাট পদ্ধতি নয়। সুতরাং এটি শাস্ত্রের নির্দেশ। সুতরাং এই যুগের পাপ কর্ম থেকে পরিত্রাণ পেতে, এটি ইতঃপূর্বে শাস্ত্রে নির্দেশিত এবং সর্বশ্রেষ্ঠ কর্তৃত্ব শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু দ্বারা প্রতিপাদিত। চেতোদর্পণমার্জনম ভবমহাদাবাগ্নিনির্বাপনং (শ্রী চৈতন্য চরিতামৃত অন্ত্য ২০.১২, শ্রী শিক্ষাষ্টকম ১)। তাই আমাদের সকলের উচিত এই মহামন্ত্র গ্রহণ করা, বলুন

হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে
হরে রাম হরে রাম রাম রাম হরে হরে।

অনেক ধন্যবাদ। হরে কৃষ্ণ।