BN/Prabhupada 0828 - যিনিই তাঁর অধীনস্থদের দেখাশোনা করেন তিনিই গুরু

Revision as of 07:04, 19 September 2021 by Vanibot (talk | contribs) (Vanibot #0005: NavigationArranger - update old navigation bars (prev/next) to reflect new neighboring items)
(diff) ← Older revision | Latest revision (diff) | Newer revision → (diff)


Lecture on SB 5.5.18 -- Vrndavana, November 6, 1976

প্রদ্যুম্ন: অনুবাদ: "যে জন্ম ও মৃত্যুর পুনরাবৃত্ত থেকে তার অধীনদের রক্ষা করতে পারে না তার কখনোই আধ্যাত্মিক গুরু, পিতা, স্বামী, মা বা উপাস্য দেবতা হওয়া উচিত নয়। "

প্রভুপাদ:

গুরুর্ন স স্যাৎস্বজনো ন স্যাৎ
পিতা ন স্যাজ্জননী ন স স্যাৎ
দৈবং ন তৎস্যান পাতিশ্চ স স্যান্ন
ন মোচয়েদ্যঃ সমুপেতমৃত্যুম
(শ্রীমদ্ভাগবৎ ৫/৫/১৮)

সুতরাং আগের শ্লোকে এটি বর্ণনা করা হয়েছে, যে কস্তং স্বয়ং তদভিজ্ঞো বিপশ্চিদ্ (শ্রীমদ্ভাগবৎ ৫/৫/১৭)। অভিভাবক কে অভিজ্ঞঃ, এবং বিপশ্চিৎ, খুব শিক্ষিত হতে হবে। সরকার, পিতা, গুরু, শিক্ষক, এমনকি স্বামী... কারণ আমরা পরিচালিত, প্রত্যেকেই অন্য কারও দ্বারা পরিচালিত। এটাই সমাজ। বিড়াল এবং কুকুর নয়। ঠিক যেমন বিড়াল এবং কুকুর তারা বাচ্চাদের জন্ম দেয় এবং তারপর তাদের কোনও দায়িত্ব থাকে না। কুকুরগুলো রাস্তায় ঘুরে বেড়াচ্ছে; কেউ যত্ন নেয় না। তবে মানব সমাজ তেমন হওয়া উচিত নয়। দায়িত্বশীল অভিভাবক থাকা উচিত। কিছু দায়িত্বশীল অভিভাবকের বর্ণনা এখানে দেওয়া হয়েছে। প্রথমত, গুরু। ধরুন স্কুল বা কলেজের সাধারণ শিক্ষক, তাদেরও গুরু বলা হয়, এবং শ্রেষ্ঠ গুরু হলেন আধ্যাত্মিক গুরু। শুধু আধ্যাত্মিক গুরুই নন, যিনি অন্যদের শিক্ষা দেওয়ার জন্য গুরু হওয়ার পদ গ্রহণ করেছেন, তাকে অবশ্যই খুব শিক্ষিত, খুব দায়িত্বশীল, বিপশ্চিৎ, অভিজ্ঞঃ, হতে হবে। অভিজ্ঞাতঃ, এটি পরম ভগবানের বৈশিষ্ট্য। যেমন শ্রীমদ্ভাগবতের শুরুতে বলা হয়েছে, অভিজ্ঞাতঃ। জন্মাদ্যস্য য়তোঽন্বয়াদিতরতশ্চার্থেম্বভিজ্ঞঃ (শ্রীমদ্ভাগবৎ ১/১/১)। নিয়ন্ত্রণকারীকে অবশ্যই অভিজ্ঞঃ হতে হবে। একই জিনিস এখানে বলা হয়েছে। অবশ্য, আমরা ভগবানের মতো অভিজ্ঞঃ হতে পারি না - তা সম্ভব নয় - তবে সেই অভিজ্ঞাতেঃর সামান্য পরিমাণ থাকা উচিত। নইলে কি লাভ ...?

প্রথমত, গুরুর সম্পর্কে বলা হয়, যিনি তার অধীনস্থের যত্ন নেন, তিনি গুরু। প্রথম দায়িত্ব হল তোমার গুরু হওয়া উচিত নয় যতক্ষণ না তুমি সম্পূর্ণ সচেতন হচ্ছ কীভাবে তোমার অনুগতদের জন্ম ও মৃত্যুর পথ থেকে বাঁচাবে। এটাই প্রথম প্রশ্ন। এমন নয় যে "আমি তোমার গুরু। আমি তোমার পেটের শূলবেদনা নিরাময় করতে পারি।" তারা সেই উদ্দেশ্যেও গুরুর কাছে যায়। মানুষ সাধারণত গুরুর কাছে যায়, মূর্খেরা গুরুর কাছে যায়, আরেক মূর্খের কাছে। এটা কি? "মহাশয়, আমার ব্যথা হচ্ছে। আমাকে আশির্বাদ দিন যাতে আমার ব্যথা সেরে যায়। " "কিন্তু তুমি এখানে কেন এসেছ, মূর্খ, তোমার পেটের ব্যথা সারাতে? তুমি ডাক্তারের কাছে যাও, অথবা ওষুধ খাও। সেটাই কি গুরুর কাছে আসার উদ্দেশ্য ? " কিন্তু সাধারণত তারা গুরুর কাছে আসে এবং কিছু জড় জাগতিক সুবিধার জন্য আশীর্বাদ চায়। তারা মূর্খ, আর তাই শ্রীকৃষ্ণ তাদের একজন মূর্খ গুরুও দেন। তারা প্রতারিত হতে চায়। তারা জানে না গুরুর কাছে যাওয়ার উদ্দেশ্য কি। তারা জানে না। তারা জানে না আমার জীবনের সমস্যা কি এবং আমি কেন গুরুর কাছে যাব? তারা জানে না। এবং তথাকথিত গুরুরাও জনসাধারণের এই অজ্ঞতার সুযোগ নেয়, এবং তারা গুরু হয়। এটাই চলছে। গুরু জানে না তার দায়িত্ব কি, এবং মূর্খ জনসাধারণ, তারা জানে না কিসের জন্য গুরুর কাছে যাওয়া উচিত। এটাই মুশকিল।