BN/Prabhupada 0856 - ভগবানের মতো চিন্ময় আত্মাও একজন ব্যক্তি

Revision as of 07:06, 13 August 2021 by Vanibot (talk | contribs) (Vanibot #0005: NavigationArranger - update old navigation bars (prev/next) to reflect new neighboring items)
(diff) ← Older revision | Latest revision (diff) | Newer revision → (diff)


740327 - Conversation - Bombay

প্রভুপাদঃ শুরুতে, সৃষ্টির প্রারম্ভে কেবল ভগবান ছিলেন এবং সৃষ্টির পরে যখন ধ্বংস হবে তখনও তিনি বর্তমান থাকবেন এই হচ্ছে তাঁর চিন্ময় স্থিতি

পঞ্চদ্রবিড়ঃ তাৎপর্যঃ ভগবানের স্থিতি সর্বদাই চিন্ময় কারণ সৃষ্টির কারণ ও প্রভাব সম্পর্কিত শক্তি ... (বিরতি)

প্রভুপাদঃ ... এই শার্টটি তৈরি করার আগে, এটা নিরাকার ছিল কোন হাত ছিল না, ঘাড় ছিল না, দেহ ছিল না। এই একই কাপড় কিন্তু দরজি দেহের মাপ অনুযায়ী বানাবার সময় হাতের আবরণ বানিয়েছে যা দেখতে হাতের মতো বুকের আবরণ দেখতে বুকের মতো তাই, নিরাকার মানে জড় আবরণ অন্যথায় চিন্ময় আত্মা একজন ব্যক্তি, সাকার ঠিক যেমন দর্জির কাছে গেলে সে তোমার দেহের গঠন অনুযায়ী কোট কাটবে এই কোট, বা কোটের কাপড় - সেটি হচ্ছে আকারহীন কিন্তু একে একটি মানুষের মতো করে বানানো হয়েছে, ব্যক্তির আবরণ পক্ষান্তরে বলা যায়, চিন্ময় আত্মাও একজন ব্যক্তি ঠিক যেমন ভগবানও একজন ব্যক্তি আকারহীন বস্তু মানে বাইরের আবরণটা। বুঝতে চেষ্টা কর। বাইরের আবরণটা আকারশুন্য, কিন্তু জীব নয় তাঁকে আবৃত করা হয়েছে। তিনি নিরাকার নন। তিনি একজন ব্যক্তি খুব সহজ উদাহরণ। কোট, বা শার্টটি আকারহীন কিন্তু যে মানুষটি এই কাপড়টি পরিধান করে আছে, সে আকারশুন্য নয় । সে একজন ব্যক্তি তাহলে ভগবান কিভাবে নিরাকার হলেন ? জড়া শক্তি নিরাকার। সেই কথা ব্যাখ্যা করা হয়েছে...

ভগবদগীতায়,

ময়া ততমিদম্‌ সর্বম্‌
জগদব্যক্তমূর্তিনা
(গীতা ৯/৪)

এই জগত অব্যক্ত, আকারশুন্য। তাও শ্রীকৃষ্ণের শক্তি তাই তিনি বলেছেন "আমি নিজেকে নিরাকার রূপে বিস্তার করেছি" সেই নিরাকার রূপটি শ্রীকৃষ্ণেরই শক্তি এই জড় আবরণ নিরাকার কিন্তু চিন্ময় আত্মা পরমাত্মা সাকার, ব্যক্তি এর ওপর কোন প্রশ্ন আছে, এটা কি খুবই জটিল বিষয়? কেউ? যদি কারও বুঝতে কোন সমস্যা থাকে? (বিরতি)

ভবভূতিঃ ... যেহেতু আমি অনেক ধরণের ইংরেজি গীতায় এইসব যোগীদের সম্বন্ধে শুনেছি, এটা সেটা কিন্তু তাঁরা এটা ব্যাখ্যা করতে পারে না, ধারে কাছেও পারে না...

প্রভুপাদঃ না, না, ওরা কিভাবে ব্যাখ্যা করবে?

ভবভূতিঃ তাঁদের কোন ধারণার আভাসও নেই।

প্রভুপাদঃ ওরা ভগবদগীতা স্পর্শ পর্যন্ত করতে পারে না। ওদের কোন যোগ্যতাই নেই।

ভবভূতিঃ ওনারা এসব বোঝে না।

প্রভুপাদঃ ভগবদগীতার ওপর ওদের বক্তৃতা কৃত্রিম।

ভবভূতিঃ হ্যাঁ।

প্রভুপাদঃ তারা এই ব্যাপারে বলতে পারবে না কারণ ভগবদগীতায় যে যোগ্যতার কথা বলা আছে, ভক্তোহসি ভগবদগীতা স্পর্শ করতে গেলে প্রথমে তাঁকে ভক্ত হতে হবে

ভবভূতিঃ এমন কি মায়াপুরেও আমরা যখন শ্রীধর স্বামীর আশ্রমে গিয়েছিলাম তিনি ইংরেজিতে কিছু বলছিলেন এবং তারপর আরেকজন লোকও ইংরেজিতে কিছু বললেন তাঁরা আপনার মতো ব্যাখ্যা করতে পারেন নি, শ্রীল

প্রভুপাদ। আপনিই একমাত্র ব্যক্তি যিনি ভগবদগীতা ব্যাখ্যা করার সময় এটি সঙ্গে সঙ্গে কানে কর্ণে এবং হৃদয়ে প্রবেশ করে। এবং তারপর তা উপলব্ধি হয়

প্রভুপাদঃ হয়তো। (হাসি)

ভারতীয় লোকঃ জয় (হিন্দী)

প্রভুপাদঃ হরে কৃষ্ণ। বিশাখা তুমিও কি তেমনটা মনে কর?

বিশাখাঃ নিঃসন্দেহে।

প্রভুপাদঃ (হাসি) হরে কৃষ্ণ।