BN/Prabhupada 0865 - তুমি দেশের কথা বলছ, কিন্তু শাস্ত্র গ্রহ সম্পর্কে বলছে, দেশ নয়

Revision as of 07:02, 22 July 2021 by Vanibot (talk | contribs) (Vanibot #0005: NavigationArranger - update old navigation bars (prev/next) to reflect new neighboring items)
(diff) ← Older revision | Latest revision (diff) | Newer revision → (diff)


750520 - Morning Walk - Melbourne

পরমহংসঃ ফুলের অনেক প্রজাতি নেই।

প্রভুপাদঃ না আমি ফুলের কথা বলছি না আমি বলছি গাছপালা, লতা, ইত্যাদি স্থাবর প্রজাতি কুড়ি লক্ষ। লক্ষ বিংশতি দশ লক্ষ মানে এক মিলিয়ন। এবং বিংশতি - কুড়ি লাখ।

হরিশৌরিঃ আমি একটা পত্রিকার নিবন্ধ পড়ছিলাম সেখানে মানুষের বিবর্তন নিয়ে একটা নতুন বইয়ের কথা বলা হচ্ছে ওখানে ওরা দাবী করছিল যে এই গ্রহে প্রায় কুড়ি লক্ষ প্রজাতির জীবন আছে এটা ঐ বিজ্ঞানীদের গণনা।

প্রভুপাদঃকুড়ি লক্ষ? না, ৮৪ লক্ষ

শ্রুতকীর্তিঃ আপনি সেদিন বলছিলেন যে সমস্ত প্রজাতির জীবের কথা পদ্মপুরাণে বলা আছে

প্রভুপাদঃহ্যাঁ।

শ্রুতকীর্তিঃ সমস্ত কিছুর বর্ণনা দেয়া আছে

প্রভুপাদঃ ওরা আলাদা আলাদা গণনা দিয়েছে , নাকি সব মিলিয়ে ?

হরিশৌরিঃ অনুমান মাত্র।

শ্রুতকীর্তিঃ একটা আন্দাজ

হরিশৌরিঃ (বিরতি) ... বানর থেকে মানুষ হওয়ার একটা হারানো যোগসূত্র দিয়ে আঁকা ছবি তাঁরা একটা ছবি দিয়েছে মানুষের মতো দেখতে কিন্তু বানরের মতো কুঁজো। আর তাঁরা দাবী করছে যে...

প্রভুপাদঃ ওরা কোথা থেকে পেল এটা?

হরিশৌরিঃ এই ধরণের মানুষ লক্ষ লক্ষ বছর আগে ছিল (বিরতি)

অমোঘঃ চার লক্ষ কুড়ি প্রজাতির মানুষের মধ্যে কি কি আলাদা বৈশিষ্ট্য আছে যার ভিত্তিতে এতো মানুষ প্রজাতি? আমরা কীভাবে তাঁদের চিনব? অথবা আদৌ চিনব কি?

প্রভুপাদঃ তুমি মানুষের প্রকারভেদ দেখনি?

অমোঘঃ হ্যাঁ।

প্রভুপাদঃ তাহলে কি...

অমোঘঃ এটা কি দেশের ভাগে বিভক্ত, নাকি একটা দেশের ভেতরে অনেক ধরণের?

প্রভুপাদঃ তুমি দেশের কথা বলছ , কিন্তু শাস্ত্রে দেশ নয়, গ্রহের কথা বলা হচ্ছে তোমাদের ধারণা খুবই সঙ্কীর্ণ। 'দেশ' , 'জাতি'। কিন্তু শাস্ত্রে টা নয় ... শাস্ত্রে জাতীয় বলে কোন কথা নেই। তাতে সমগ্র বিশ্বব্রহ্মাণ্ডকে একক বলে বলা হচ্ছে তাঁরা সেই দৃষ্টিকোণ থেকে বিচার করেন এই দেশ, সমাজ, জাতি, রাষ্ট্র এইসব সঙ্কীর্ণ ধারণা অনেক পড়ে এসেছে এসব কিছু আগে ছিল না একটা গ্রহ বা একটা ব্রহ্মাণ্ড। এইভাবে। যেমন কাল রাতে মেয়েটি আশ্চর্য হচ্ছিল যে "কীভাবে এই পৃথিবী একজন রাজার দ্বারা শাসিত হোত?" এটা আসলেই করা হোত। আর সমস্ত ব্রহ্মাণ্ডটা একজন ব্যক্তি, ব্রহ্মা চালাতেন তাই জানতে হবে যে কীভাবে পরিচালনা করতে হয়

ভক্ত (১)ঃ শ্রীল প্রভুপাদ, আমরা দেখতে পাই যে, সমস্ত লোকগুলিতে সম্পদ ও খনি বিতরণের দ্বারা সমস্ত গ্রহগুলিতে একজন শাসকই পরিচালনা করতেন এক জায়গায় স্বর্ণ, আরেক জায়গায় শস্য উৎপাদন, তাই কি?

প্রভুপাদঃ না। সর্বত্র সবকিছু হোত। হয়ত কোথাও একরকম কোথাও বা কম বেশি

হরিশৌরিঃ এটা কি এমন যে ব্রহ্মা অন্যান্য দেবতাদের সম্পর্কে এই জগত পরিচালনা করেন যেমন বিভিন্ন বিভাগীয় প্রধানের মতো? যাতে তিনি সবকিছুতে আলাদা আলাদাভাবে যুক্ত নন।

প্রভুপাদঃ হ্যাঁ, তাঁকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে যেমন আমাদের বিভিন্ন কাজের জন্য ভিন্ন ভিন্ন জিবিসি আছে তেমনই, তাঁরা তাঁদের কাজ সুসম্পন্ন করছেন সমস্ত গ্রহ গুলি ভিন্ন ভিন্ন দেবতাদের আবাসিক কোয়ার্টারের মতো। তাঁরা ব্রহ্মাণ্ডের সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করছেন তাঁদের তুলনায় এই মানব প্রজাতি কিছুই না আমরা নিয়ন্ত্রিত। আমরা নিয়ন্ত্রক নই। সেটা তাঁরা উপলব্ধি করে না এই আধুনিক সভ্যতা, তাঁরা এটা বোঝেনা যদিও তাঁরা নিয়ন্ত্রিত তবু তাঁরা তা বুঝতে পায় না, দেখতে পায় না। সেটাই তাঁদের ত্রুটি।