BN/Prabhupada 0870 - ক্ষত্রিয়ের কর্তব্য হচ্ছে সুরক্ষা দান করা

Revision as of 14:39, 19 July 2021 by Soham (talk | contribs) (Created page with "<!-- BEGIN CATEGORY LIST --> Category:1080 Bengali Pages with Videos Category:Bengali Pages - 207 Live Videos Category:Prabhupada 0870 - in all Languages Categor...")
(diff) ← Older revision | Latest revision (diff) | Newer revision → (diff)


750519 - Lecture SB - Melbourne

ক্ষত্রিয়ের কর্তব্য হচ্ছে সুরক্ষা দান করা এটি মহারাজ পরীক্ষিত এবং শুকদেব গোস্বামীর মধ্যকার কথোপকথন পাঁচ হাজার বছর আগে পরীক্ষিত মহারাজ সসাগরা পৃথিবীর সম্রাট ছিলেন আগের দিনে, পাঁচ হাজার বছর আগে সারা বিশ্ব সেই রাজাদের দ্বারা পরিচালিত হত যাঁদের রাজধানী ছিল হস্তিনাপুর, নতুন দিল্লী। সে সময় একটি পতাকা ছিল, একজন শাসক ছিলেন একটিই শাস্ত্র ছিল। বৈদিক শাস্ত্র। এবং আর্যরা ছিলেন আর্য মানে যারা সভ্য মানুষ ইউরোপিয়ান, আমেরিকান, তোমরাও আর্য ছিলে। ইন্দো-ইউরোপীয় গোত্র মহারাজ পরীক্ষিতের দুই পুত্রকে পূর্ব ইউরোপ এর গ্রীক বা রোমান অংশ দেয়া হয়েছিল সেটাই ইতিহাস, মহাভারত। মহাভারত মানে বিশাল ভারত কোন ভিন্ন ভিন্ন ধর্ম ছিল না। একটাই ধর্ম - বৈদিক ধর্ম বৈদিক ধর্ম মানে পরমেশ্বর ভগবানকে পরমপুরষ, সর্বেশ্বর পরম সত্য বলে গ্রহণ করা। সেটিই বৈদিক ধর্ম। যারা ভগবদগীতা পড়েছে তাতে পঞ্চদশ অধ্যায়ে বলা হয়েছে, বেদৈশ্চ সর্বৈরহমেব বেদ্যম্‌ (গীতা ১৫/১৫) বৈদিক জ্ঞান মানে ভগবানকে উপলব্ধি করা। সেটিই বৈদিক ধর্ম।

পরবর্তীতে, কলিযুগের অগ্রসরের সাথে সাথে... কলিযুগ মানে অন্ধকার যুগ। পাপের যুগ। অথবা ঝগড়া বিবাদ, অপ্রয়োজনীয় কথা আর যুদ্ধ করার যুগ এর নাম কলিযুগ। সেটাই চলছে শেষ পাঁচ হাজার বছর ধরে, এই কলিযুগ শুরু হয়েছে এবং এর শুরু হয়েছে গোহত্যা করার মাধ্যমে যখন পরীক্ষিত মহারাজ সারা বিশ্ব ভ্রমণ করছিলেন তিনি দেখলেন যে একটি কালো বর্ণের লোক একটি গাভী হত্যা করতে উদ্যত এবং মহারাজ পরীক্ষিত তা দেখে সঙ্গে সঙ্গে... সেই গাভীটি হত্যা হওয়ার ভয়ে কাঁপছিল এবং মহারাজ পরীক্ষিত দেখে বললেন, "এই লোকটি কে যে আমার রাজত্বে গাভী হত্যা করার চেষ্টা করছে?" তিনি তৎক্ষণাৎ তাঁর তরবারি বের করলেন, এই হচ্ছে ক্ষত্রিয়। ক্ষত্রিয় মানে... ক্ষত মানে আঘাত এবং ত্রায়তে। তাঁকে বলা হয় ক্ষত্রিয়। কিছু মানুষ আছে যারা অন্যদের ক্ষতি করতে চায়, এইধরনের লোকজন আজকাল অনেক বেড়েছে কিন্তু পরীক্ষিত মহারাজের আমলে তা কখনই অনুমোদিত ছিল না রাজা দায়ি থাকতেন। এই বিষয়ে সরকার দায়বদ্ধ থাকতো যে, কোন প্রজা তা সে পশুই হোক আর মানুষই হোক, সে যেন উৎপীড়ন না পায়। যেন সে তাঁর সম্পত্তি এবং পরিবারকে নিয়ে নিরাপদ অনুভব করে আর সেটাই হচ্ছে ক্ষত্রিয়ের দায়িত্ব, সুরক্ষা দেয়া, এটিই ছিল সরকার ব্যবস্থা। তা এক লম্বা কাহিনী পরীক্ষিত মহারাজ অত্যন্ত ধার্মিক ছিলেন। সেটাই ছিল ব্যবস্থা।