BN/Prabhupada 0884 - আমরা বসে আছি আর কৃষ্ণ সম্বন্ধে আলোচনা করছি। এটাই জীবন

Revision as of 08:41, 8 July 2021 by Soham (talk | contribs) (Created page with "<!-- BEGIN CATEGORY LIST --> Category:1080 Bengali Pages with Videos Category:Bengali Pages - 207 Live Videos Category:Prabhupada 0884 - in all Languages Categor...")
(diff) ← Older revision | Latest revision (diff) | Newer revision → (diff)


730413 - Lecture SB 01.08.21 - New York

আমরা বসে আছি আর কৃষ্ণ সম্বন্ধে আলোচনা করছি। এটাই জীবন! ওরা আমাদের হিংসা করে যে আমরা কোন কাজ করি না। কিন্তু আসলে আমাদের অনেক কাজ আছে "তাহলে তোমরা এসে আমাদের সাথে যুক্ত হচ্ছ না কেন?" কিন্তু তা তারা করবে না। "আমাদের সঙ্গে এসে হ্রে কৃষ্ণ জপ কর"। না, না, না। সেটা আমি করতে পারব না। ঠিক আছে যাও তাহলে। তোমার ট্রাক নিয়ে সারাদিন কাজ করতে থাক, হুশ, হুশ, হুশ, হুশ। তারা তাদের নিজেদের অবস্থানটি বিপদজনক করে দিয়েছে এবং অন্যদেরটাও যে কোন সময়ে দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে, দেখেছ তো? এরই নাম সভ্যতা। বোকা কোথাকার। এটা সভ্যতা নয় সভ্যতা মানে স্নিগ্ধতা, প্রশান্তি, সমৃদ্ধি , শান্তি শান্তি এবং সমৃদ্ধিতে একজন ব্যক্তির সর্বদা কৃষ্ণ ভাবনাময় থাকা উচিৎ তস্যৈব হেতোঃ প্রযতেত কোবিদো ন লভ্যতে যদ্‌ ভ্রমতাম্‌ উপরি অধঃ (ভাগবত ১/৫/১৮) পশু জীবনে অথবা মানুষ ছাড়া অন্য জীবনে আমরা সারা দিন রাত কেবল একদানা খাবারের জন্যই কঠোর পরিশ্রম করেছি তবু খাবার রয়েছে। অবিদ্যা কর্মসংজ্ঞায় তৃতীয়া শক্তিরিষ্যতে (চৈতন্য চরিতামৃত আদি ৭/১১৯) অবিদ্যা। এই জড় জগত অজ্ঞানতায় পূর্ণ তাই আমাদের প্রচেষ্টা হওয়া উচিৎ কীভাবে এই অজ্ঞানতা থেকে বেরিয়ে আসা যায় তস্যৈব হেতোঃ । সেই কারণেই কেবল আমাদের কাজ করা উচিৎ কীভাবে অজ্ঞানতা থেকে বেরিয়ে আসা যায় যে "আমি এই জড় দেহ" আমাকে দিবারাত্রি কাজ করতে হবে আর তাহলে আমি একটু খাবার পাব, আর বেঁচে থাকব। এর নাম অজ্ঞানতা। তস্যৈব হেতোঃ প্রযতেত ...

তাই এটি অজ্ঞানতা। অজ্ঞানতার মধ্য দিয়ে জীবন যাচ্ছে অর্থাৎ বলতে চাইছি যে অন্যান্য জন্মে, যেমন মানুষ, প্রাণীদের জীবন, পাখি জীবন, এবং পশু জীবন এখন এই জন্মটি আমাদের শান্ত, স্নিগ্ধ এং নিরিবিলি কাটানো উচিৎ এবং জীবস্য তত্ত্বজিজ্ঞাসা। কেবল পরম সত্য সম্পর্কে অনুসন্ধান করার জন্য সেটাই একমাত্র কাজ হওয়া উচিৎ। জীবস্য তত্ত্বজিজ্ঞাসা। অথাতো ব্রহ্মজিজ্ঞাসা কেবল বসে থাক, যেমন আমরা বসে আছি আমরা বসে আছি এবং কৃষ্ণসম্পর্কিত আলোচনা করছি। সেটাই জীবন। এটাই জীবন আর এই জীবনটি কি? গাধার মতো দিনরাত কঠোর পরিশ্রম করা। না , তা জীবন নয়। তাই ভাগবতে বলা হচ্ছে আপনার জীবন এই কাজে ব্যয় করা উচিৎ যে, তস্যৈব হেতোঃ প্রযতেত কোবিদা। কোবিদা মানে বুদ্ধিমান তাহলে অর্থনৈতিক সমস্যা কীভাবে মিটবে? উত্তর হচ্ছে, তল্লভ্যতে দুঃখবৎ অন্যথ সুখম্‌ তুমি সুখের পেছনে ছুটছ। তুমি উদ্বেগের পেছনে যাচ্ছ কি? না" মশায়।" তাহলে দুঃখ কেন তোমার কাছে আসে? তুমি তো দুঃখ দুর্দশার জন্য চিন্তিত নও। তাহলে কেন সেগুলি তোমার কাছে আসছে? ঠিক তেমনই, তোমার সুখও এমনভাবেই তোমার কাছে আসবে। কারণ তোমার কর্ম অনুযায়ী তোমার জীবনটি সুখ ও দুঃখের একটি মিশ্রণ দিয়ে বানানো, কিছু অংশে সুখ আর কিছু অংশে দুঃখ যদি দুঃখ কোন আমন্ত্রণ ছাড়াই আসে, তাহলে সুখও আমন্ত্রণ ছাড়াই আসবে কোন নিমন্ত্রণ ছাড়াই। কারণ তোমার জন্য বরাদ্দ করাই আছে যে তুমি এই পরিমাণ সুখ পাবে এবং এই পরিমাণ দুঃখ পাবে ভাগ্যনির্ধারিত।

তুমি তা বদলাতে পারবে না। তোমার বর্তমান প্রভু, তোমার জাগতিক বদ্ধ জীবনের পরিবর্তন করতে চেষ্টা কর। সেটাই একমাত্র কাজ। তস্যৈব হেতোঃ প্রযতেত কোবিদো ন লভ্যতে যদ্‌ ভ্রমতাম্‌ উপরি অধঃ (ভাগবত ১/৫/১৮) ভ্রমতাম্‌ উপরি অধঃ। তুমি চেষ্টা করেছ, ভ্রমতাম্‌ উপরি অধঃ। উপরি মানে উচ্চ লোকে কখনও তুমি দেবতা হয়ে উচ্চতর লোকে জন্ম নিচ্ছ আর কখনও বা পশু, কুকুর বেড়াল, বিষ্ঠার কীট হয়ে নিম্নলোকের নিম্ন যোনিতে জন্ম নিচ্ছ এটাই চলছে। আমাদের কর্ম অনুযায়ী এটাই চলছে। চৈতন্য মহাপ্রভু বলেছেনঃ এই রূপে ব্রহ্মাণ্ড ভ্রমিতে কোন ভাগ্যবান জীব (চৈতন্য চরিতামৃত মধ্য ১৯/১৫১)