BN/Prabhupada 0935 - জীবনের প্রকৃত প্রয়োজন হচ্ছে আত্মার স্বাচ্ছন্দ্য বিধান করা

Revision as of 15:29, 31 July 2021 by Soham (talk | contribs) (Created page with "<!-- BEGIN CATEGORY LIST --> Category:1080 Bengali Pages with Videos Category:Bengali Pages - 207 Live Videos Category:Prabhupada 0935 - in all Languages Categor...")
(diff) ← Older revision | Latest revision (diff) | Newer revision → (diff)


730425 - Lecture SB 01.08.33 - Los Angeles

জীবনের প্রকৃত প্রয়োজন হচ্ছে আত্মার স্বাচ্ছন্দ্য বিধান করা সুতরাং এটি বলা হয় যে... এখন আমি এই শ্লোকটি ব্যাখ্যা করছি। ধর্মস্য গ্লানির্ভবতি। এটি হচ্ছে ধর্মস্য গ্লানিঃ, কর্তব্যের দূষণ। ধর্ম মানে কর্তব্য। ধর্ম এক ধরণের বিশ্বাস নয়। ইংরেজী অভিধানে বলা হয় যেঃ "ধর্ম মানে বিশ্বাস।" না, না। তা নয়। ধর্ম মানে প্রকৃত স্বরূপগত কর্তব্য। এটি হচ্ছে ধর্ম। আত্মা সম্বন্ধে যদি তোমার কাছে কোন তথ্য না থাকে, যদি তুমি না জান যে আত্মার প্রয়োজন গুলো কি, তুমি যদি শুধু দেহের প্রয়োজন গুলো নিয়েই ব্যস্ত থাক, দেহের আরাম... কিন্তু দেহের আরাম তোমাকে রক্ষা করতে পারবে না।

ধর একজন মানুষ খুব আরামদায়ক অবস্থায় রয়েছে। এর মানে কি এটি বোঝায় যে, সে মরবে না? সে মারা যাবে। তাই শুধুমাত্র দেহের আরাম নিয়ে তুমি বেঁচে থাকতে পারবে না। যোগ্যতমের বেঁচে থাকা। অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার সংগ্রাম। এইভাবে যখন আমরা শুধু দেহের যত্ন নিব, এটিকে বলে ধর্মস্য গ্লানি, কলূষিত। একজনের অবশ্যই জানা উচিত দেহের প্রয়োজন গুলো কি এবং আত্মার প্রয়োজন গুলো কি। জীবনের আসল প্রয়োজন হল আত্মার স্বাচ্ছন্দ্য প্রদান করা। আর আত্মা জড় বস্তুর সুসমন্বয় দ্বারা সুখী হতে পারে না। কারণ আত্মার একটি ভিন্ন পরিচয় রয়েছে, আত্মাকে অবশ্যই চিন্ময় খাদ্য দিতে হবে। চিন্ময় খাদ্য হচ্ছে কৃষ্ণভাবনামৃত। তুমি যদি আত্মাকে চিন্ময় খাদ্য দাও...

খাদ্য, যখন কেউ অসুস্থ হয়, তখন তাকে ঔষধ এবং পথ্য দিতে হবে। দুটো জিনিস প্রয়োজন। তুমি যদি তাকে শুধু ঔষধ দাও, খাদ্য না দাও, তবে এটি খুব লাভজনক হবে না, দুটোই প্রয়োজন। আর এই কৃষ্ণভাবনামৃত আন্দোলন হলো খাদ্য দেয়া। আত্মা কে খাদ্য এবং ঔষধ দেয়া বোঝায়। হরে কৃষ্ণ মহামন্ত্র হচ্ছে ঔষধ। ভবৌষধাচ্ছ্রোত্রমনোভিরামাৎ ক উত্তমশ্লোকগুণানুবাদাৎ পুমান্‌ বিরজ্যেত বিনা পশুঘ্নাৎ (শ্রীমদ্ভাগবত ১০.১.৪)। পরীক্ষিৎ মহারাজ শুকদেব গোস্বামীকে বলছেন, যে, "এই ভাগবত কথা যা আপনি আমাকে দিতে প্রস্তুত, তা কোন সাধারণ জিনিস নয়।" নিবৃত্ততষৈরুপগীয়মানাদ্‌। এই ভাগবত কথা সেই সমস্ত ব্যক্তিদের নিকটই আস্বাদ্য যারা নিবৃত্ততৃষ্ণ। তৃষ্ণা, তৃষ্ণা মানে তীব্র লালসা। এই জড় জগতে সবাই লালায়িত। তাই যিনি এই লালসা থেকে মুক্ত হয়েছেন, ভাগবত যে কতটা সুস্বাদু, সেটা শুধু তিনিই অনুভব করতে পারেন। এটি এমন একটি জিনিস। নিবৃত্ততৃষ্ণঃ... একইভাবে ভাগবত বলতে এও বোঝায়... হরে কৃষ্ণ মহামন্ত্র মানেও ভাগবত। ভাগবত মানে পরম পুরুষোত্তম ভগবানের সাথে সম্পর্কিত যে কোন কিছুকে বোঝায়। এটিকে বলে ভাগবত। পরম ঈশ্বরকে বলা হয় ভগবান। ভগবত শব্দ, এবং তাঁর সঙ্গে সম্বন্ধযুক্ত যে কোন কিছুই ভাগবত শব্দে পরিণত হয়।

তাই পরীক্ষিৎ মহারাজ বলেছেন যে ভাগবতের স্বাদ তিনিই আস্বাদন করতে পারেন যিনি জড় জাগতিক বাসনার আকাঙ্ক্ষা থেকে নিবৃত্ত হয়েছেন। নিবৃত্ততষৈরুপগীয়মানাদ্‌। আর কেন এই ধরণের জিনিসের স্বাদ নেয়া উচিত? ভবৌষধি। ভবৌষধি, আমাদের জন্ম মৃত্যু রূপ রোগের ঔষধ। ভবৌ মানে "উপযুক্ত হওয়া।"