BN/Prabhupada 0946 - আমরা এই মায়িক সুখের জন্য এক দেহ থেকে অন্য দেহ দেহান্তরিত হচ্ছি

Revision as of 07:16, 10 June 2021 by Vanibot (talk | contribs) (Vanibot #0005: NavigationArranger - update old navigation bars (prev/next) to reflect new neighboring items)
(diff) ← Older revision | Latest revision (diff) | Newer revision → (diff)


720831 - Lecture - New Vrindaban, USA

আমরা তথাকথিত অলীক সুখের জন্য এক দেহ থেকে অন্য দেহে দেহান্তরিত হই। জীবনের বদ্ধদশা মানে আমরা এমন একটি একটি জড় শরীর লাভ করি যা কিনা বিভিন্ন ভাবে বদ্ধ। ঠিক যেমন জড় দেহকে ছয় ধরণের পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যেতে হয়। এটির জন্ম হয়। শরীরের জন্ম হয়, আত্মার না। একটি নির্দিষ্ট তারিখে এর জন্ম হয়, এটি কিছু সময়ের জন্য থাকে, এটি বৃদ্ধি প্রাপ্ত হয়, বংশ বিস্তার করে, তারপর শরীরটি ক্ষয় হতে থাকে এবং অবশেষে ধ্বংস হয়ে যায়। ছয় ধরণের পরিবর্তন হয়। শুধুমাত্র ছয় ধরণের পরিবর্তনই না, বরং আরও অনেক ধরণের ক্লেশও রয়েছে। সেগুলোকে বলা হয় ত্রিতাপ দুঃখ। দেহজাত এবং মনোজাত, অন্যান্য জীবের দেয়া দুঃখ, আর প্রাকৃতিক নিয়মে যে সমস্ত দুঃখ। এবং সর্বোপরি এই সবকিছু আবার চারটি মূল দুঃখে ভাগ করা যায়, সেগুলো হল জন্ম, মৃত্যু, জরা ও ব্যাধি। এ সবই হচ্ছে আমাদের বদ্ধ জীবন।

তাই এই বদ্ধ জীবন থেকে বেরিয়ে আসার জন্য, আমরা আমাদের ভাগবত ভাবনা অথবা কৃষ্ণভাবনাকে জাগিয়ে তুলি, অথবা ঈশ্বর ভাবনা, তোমরা যে নামেই বল না কেন... যখন আমরা "শ্রীকৃষ্ণ" সম্পর্কে বলি, তার অর্থ হল পরমেশ্বর ভগবান। ভগবৎ চেতনা, কৃষ্ণ চেতনা অথবা আমাদের মূল চেতনা। ঠিক যেমন, আমরা প্রতেকেই এটি সবসময়ই মনে রাখি যে "আমি অমুক অথবা তমুক ভদ্রলোকের সন্তান। অমুক অথবা তমুক ভদ্রলোক আমার বাবা।" কারো জন্য তার নিজের বাবা এবং বাবার সাথে সম্পর্ককে মনে রাখাটা খুব স্বাভাবিক। এবং সাধারন ভাবেও ভদ্রতাটা হচ্ছে, কাওকে নিজের পরিচয় দিতে হলে, তাকে তার বাবার নাম দিতে হবে। ভারতে এটা খুবই জরুরি, সকলের নামেরই শেষে তার বাবার নাম অথবা তার পদবীটি থাকে। তাই যখন আমরা পরম পিতা কে ভুলে যাই এবং স্বাধীনভাবে বাঁচতে চাই... স্বাধীন মানে যদি আমরা আমাদের খেয়াল খুশি মত জীবন উপভোগ করতে চাই। একেই বলা হয় তথাকথিত স্বাধীনতা। কিন্তু...কিন্তু এরকম স্বাধীনতায় আমরা কখনই সুখী হতে পারি না। তাই আমরা তথাকথিত অলীক সুখের জন্য এক দেহ থেকে অন্য দেহে দেহান্তরিত হই। কারণ একটি নির্দিষ্ট শরীর একটি নির্দিষ্ট প্রকার সুখ পাওয়ার সুযোগ পায়। ঠিক আমাদের সবার মত, আমরা আকাশে উড়তে চাই। কিন্তু যেহেতু আমরা মানুষ, আমাদের কোন পাখা নেই, তাই আমরা উড়তে পারি না। কিন্তু পাখিরা, যদিও তারা নিম্ন প্রজাতির পশু, তারা সহজেই উড়তে পারে। এইভাবে তোমরা পর্যবেক্ষণ করে দেখবে যে, প্রত্যেকটি শরীর একটি নিদিষ্ট সুবিধা পেয়েছে, যা অন্যরা পায় নি। কিন্তু আমরা জীবনের সমস্ত সুযোগ সুবিধা পেতে চাই।