BN/Prabhupada 0964 - যখন ভগবান কৃষ্ণ এই জগতে ছিলেন তখন তিনি গোলোক বৃন্দাবনে অনুপস্থিত ছিলেন, না

Revision as of 02:23, 9 June 2021 by Soham (talk | contribs) (Created page with "<!-- BEGIN CATEGORY LIST --> Category:1080 Bengali Pages with Videos Category:Bengali Pages - 207 Live Videos Category:Prabhupada 0964 - in all Languages Categor...")
(diff) ← Older revision | Latest revision (diff) | Newer revision → (diff)


720000 - Lecture BG Introduction - Los Angeles

যখন শ্রী কৃষ্ণ এই ধরাধামে প্রকটিত ছিলেন, তিনি গোলোক বৃন্দাবনে অনুপস্থিত ছিলেন। না। যেহেতু এই ব্রহ্মাণ্ডের সর্বোচ্চ গ্রহের নাম ব্রহ্মলোক, একইরকমভাবে, চিদাকাশে, সেখানে একটি সর্বোচ্চ গ্রহ রয়েছে যার নাম গোলোক বৃন্দাবন। সেটি কৃষ্ণের অবস্থান। সেখানে কৃষ্ণ আছেন। কিন্তু তিনি তার বিভিন্ন শক্তির দ্বারা নিজেকে বিস্তার করতে পারেন এবং তার বিভিন্ন অবতারের দ্বারা। তার মানে এই নয় যে যখন শ্রী কৃষ্ণ এই ধরাধামে প্রকটিত ছিলেন, তখন তিনি গোলোক বৃন্দাবনে ছিলেন না। না।এটি এমন নয়। ঠিক যেমন আমি এখন এখানে উপস্থিত আছি, আমি আমার এপার্টমেন্ট এ অনুপস্থিত আছি। শ্রী কৃষ্ণ এমন নন। তিনি সবজায়গায় উপস্থিত থাকতে পারেন; একই সময়ে, তিনি তার নিত্য আলয়ে থাকতে পারেন। সেটা ব্রহ্ম সংহিতায় বর্ণনা করা আছেঃ গোলোক এব নিবসত্যখিলাত্মভূতো (ব্রহ্মসংহিতা ৫.৩৭)। যদিও তিনি তার ধামে আছেন, যা গোলোক বৃন্দাবন নামে বিখ্যাত, তিনি নিজেকে বিস্তার করতে পারেন সবার মাঝে...সবজায়গায় এবং আসলে তিনি তাই করেছেন। তাই আমাদের জানা উচিত যে তিনি কিভাবে বিস্তার করেছেন। কীভাবে তিনি আমাদের সাথে সম্পর্কিত। সেটাই হচ্ছে বিজ্ঞান।ভগবদগীতায়, এই জিনিসগুলো বর্ণনা করা আছে।

শ্রী কৃষ্ণকে এখানে পরমধাম বলে সম্বোধন করা হচ্ছে। সবকিছুর আশ্রয়স্থল। সবকিছু আশ্রয়ে আছে। শ্রী কৃষ্ণ আরও বলেছেন যে, মৎস্থানি সর্বভূতানি (ভগবদগীতা ৯.৪) সমস্ত জীব আমাতেই অবস্থিত। ন চাহং তেষ্ববস্থিতঃ - কিন্তু আমি তাতে অবস্থিত নই। এই পরস্পরবিরোধী বস্তুগুলো। সমস্ত জীব আমাতেই অবস্থিত।কিন্তু আমি তাতে অবস্থিত নই। কিন্তু এটি পরস্পরবিরোধী নয়। এটি বোঝা খুবই সহজ। ঠিক যেমন, সমস্ত গ্রহগুলো, তারা সব সূর্যের আলোর ওপর নির্ভর করে আছে। কিন্তু সূর্য এই গ্রহগুলো থেকে অনেক দূরে অবস্থিত। কিছু লক্ষ মাইল দূরে... কিন্তু সূর্যের আলোর ওপর নির্ভর করা মানে সূর্যের ওপর নির্ভর করা, সেটাই সত্যি। তাই শ্রী কৃষ্ণ বলেছেন, মৎস্থানি সর্বভূতানি ন চাহং তেষ্ববস্থিতঃ (ভগবদগীতা ৯.৪) পরম ব্রহ্ম পরম ধাম পবিত্রম (ভগবদগীতা ১০.১২)... পবিত্রম মানে নিষ্কলুষ। যখন আমরা এই জড় জগতে আসি... আমরাও তখন আত্মা, ব্রহ্ম, ঠিক পরম ব্রহ্মের মতো ভালো নয়, শ্রী কৃষ্ণ, কিন্তু, তবুও,যেহেতু আমরা ভগবানের অবিচ্ছেদ্য অংশ, আমরাও ব্রহ্ম। পবিত্রম। পবিত্রম মানে শুদ্ধ। ঠিক যেমন সোনার একটি টুকরোও সোনা। যদি সোনা খাঁটি হয়, তাহলে সোনার টুকরোটিও, খাঁটি।

শ্রী কৃষ্ণ এই ধরাধামে আসেন, আমারও আসি। কিন্তু আমরা কলুষিত। শ্রী কৃষ্ণ কলুষিত নন। উধাহরণ স্বরূপ। ঠিক যেমন জেলখানায়'সেখানে অনেক কয়েদী থাকে, কিন্তু যদি রাজা, অথবা রাজার প্রতিনিধি, মন্ত্রী, জেলখানায় যায়, পরিদর্শন করার জন্য, কীভাবে সবকিছু চলছে, তার মানে এই নয় যে রাজা অথবা তার মন্ত্রীও কয়েদী। তিনি কয়েদী নন। কিন্তু আমরা, জীবাত্মা, আমরা জড়া প্রকৃতির এই গুণগুলির সাথে জড়িয়ে পড়েছি। কিন্তু শ্রী কৃষ্ণ কখনও জড়া প্রকৃতির এই গুনগুলির সাথে জড়িয়ে পরেন না। তাই তাকে বলা হয় পবিত্রম পরমম।সম্পূর্ণ খাঁটি। ভবন, ভবনের অর্থ তুমি, তোমার প্রভু। এবং পুরুষম। পুরুষম একজন ব্যক্তি কে বলা হয়। ভগবান নৈর্ব্যক্তিক নন। ভগবান একজন ব্যক্তি। ঠিক তোমার আর আমার মতই একজন ব্যক্তি। এবং যখন তিনি এই জগতে আবির্ভূত হন, ঠিক একজন মানুষের মতো, দুটো হাত, দুটো পা... মানুষের মতো হাঁটেন, কথা বলেন, মানুষের মতো ব্যবহার করেন, সবকিছু। তাই ভগবান হচ্ছেন পুরুষম। পুরুষম মানে মানুষ। আমি বলতে চাই ছেলে মানুষ। মেয়ে মানুষ না। ছেলে। ছেলে না হয়ে কেও উপভোগ করতে পারে না। আরেক যায়গায় বলা আছে যে শ্রী কৃষ্ণ হচ্ছেন সর্বোচ্চ উপভোগকারী. যখনই উপভোগকারী শব্দটি ব্যবহার করা হয়, তাকে পুরুষম হতে হবে, ছেলে মানুষ। তাই বর্ণনা করা হয়েছে। অর্জুন তাকে বুঝতে পেরেছেন। তিনি পুরুষ। পরম পুরুষ, সর্বোচ্চ ব্যক্তি। অন্য যায়গায় বর্ণনা করা আছে যে শ্রী কৃষ্ণ হচ্ছেন পুরুষোত্তম - সবথেকে ভালো পুরুষ। পুরুষোত্তম শাশ্বতম। শাশ্বতম মানে চিরস্থায়ী.