BN/Prabhupada 0967 - ভগবান শ্রীকৃষ্ণকে বুঝতে গেলে আমাদের ইন্দ্রিয়গুলো শুদ্ধ করতে হবে

Revision as of 02:50, 9 June 2021 by Soham (talk | contribs) (Created page with "<!-- BEGIN CATEGORY LIST --> Category:1080 Bengali Pages with Videos Category:Bengali Pages - 207 Live Videos Category:Prabhupada 0967 - in all Languages Categor...")
(diff) ← Older revision | Latest revision (diff) | Newer revision → (diff)


720527 - Lecture BG The Yoga System - Los Angeles

শ্রীকৃষ্ণকে, ভগবানকে বোঝার জন্য, আমাদের ইন্দ্রিয়কে পরিশুদ্ধ করতে হবে এটা বলা হয় যে একজন শুদ্ধ ভক্ত ভগবান শ্রীকৃষ্ণকে প্রতি মুহূর্তে দর্শন করেন। সন্তঃ সদৈব (ব্রহ্ম সংহিতা)। সদৈব মানে সর্বদা। তিনি দেখছেন, কিন্তু তার মানে তিনি একজন অন্য ব্যক্তি। তার ইন্দ্রিয়গুলো শুদ্ধ। পরিশুদ্ধ। পবিত্র। তাই তিনি দেখছেন। এবং তার চোখ, যদি পবিত্র, শুদ্ধ না হয়, তিনি দেখতে পারবেন না। অনেক উদাহরণ রয়েছে। ঠিক যেমন একটি মেশিন। একটি বাচ্চা দেখছে, কিন্তু সে যথার্থ দেখতে পাচ্ছে না। সে একটা ধাতুপিণ্ড দেখছে। কিন্তু একজন প্রকৌশলী যখন দেখেন, তিনি তখনই বুঝে যান যে এই যন্ত্রটি এই এই জিনিস দিয়ে তৈরি, এটি এই কাজের জন্য ব্যবহার করা হয়, ভাল মেশিন, খারাপ মেশিন, সুন্দর। তিনি বিভিন্নভাবে দেখতে পারেন কারণ তিনি তা দেখার সঠিক দৃষ্টিলাভ করেছেন। তেমনি, ভগবান শ্রীকৃষ্ণকে বোঝার জন্য আমাদের ইন্দ্রিয়গুলোকে পরিশুদ্ধ করতে হবে। সেটাই নারদ পঞ্চরাত্রে প্রতিপন্ন হয়েছে। সর্বোপাধিবিনির্মুক্ত‌ (চৈতন্য চরিতামৃত ১৯.১৭০) সমস্ত উপাধি থেকে মুক্ত হয়ে। ঠিক যেমন আমরা কৃষ্ণভাবনামৃতকে দেখতে পাচ্ছি, একটি দৃষ্টিতে কৃষ্ণভাবনামৃতকে গ্রহণ করছি। এবং অন্য কেও, সাধারণ মানুষ... মনে কর কোন খ্রিষ্টান ব্যক্তি। সে কৃষ্ণভাবনামৃতকে হিন্দুদের আন্দোলন হিসেবে দেখে। কিন্তু আসলে তা নয়। তাই তাকে আমেরিকান হওয়ার উপাধি থেকে মুক্ত হতে হবে। সর্বোপাধিবিনির্মুক্তং।তাকে সমস্ত উপাধি থেকে মুক্ত হতে হবে। এই শরীরটি একটি উপাধি। আসলে আমেরিকান শরীর এবং ভারতীয় শরীরের মধ্যে কোন পার্থক্য নেই। সেই একই শারীরিক গঠন। সেখানে রক্ত আছে, মাংস আছে, হাড় আছে। যদি তুমি শরীরের ভেতরে দেখ, সেখানে কোন পার্থক্য নেই। কিন্তু তারপরও, আমাদের উপাধি দেয়া হয়েছে, " আমি আমেরিকান, তুমি ভারতীয়, তুমি কালো, আমি সাদা..." এগুলো সব উপাধি। মিথ্যা।

তাই তাকে উপাধি মুক্ত হতে হবে। তাই বর্ণনা করা হয়েছে, যে যখন আমরা উপাধি থেকে মুক্ত হই। সর্বোপাধিবিনির্মুক্তং।তাকে সমস্ত উপাধি থেকে মুক্ত হতে হবে। আসলে, উপাধির কোন মূল্য নেই। ব্যক্তিটি গুরুত্বপূর্ণ। উপাধিটি নয়। তাই শ্রীকৃষ্ণকে দেখার মানে, প্রথম কাজ হল সমস্ত উপাধি থেকে মুক্ত হওয়া। সর্বোপাধিবিনির্মুক্তং তৎপরত্বেন নির্ম্মলম্‌ (চৈতন্য চরিতামৃত ১৯.১৭০) এখানে বলা হয়েছে মৎপরঃ এবং নারদ মুনি বলেছেন তৎ পরঃ। তৎপরঃ মানে কৃষ্ণভাবনাময় হওয়া, এবং মৎপরঃ মানে... শ্রীকৃষ্ণ বলেছেন তোমাদের মৎপরঃ হতে। গভীরভাবে আমাতে নিবিষ্ট হও। এবং ভক্তরা বলেন গভীরভাবে শ্রীকৃষ্ণতে নিবিষ্ট হও। সেটিই হচ্ছে ধারণা, কিন্তু আসলে উদ্দেশ্য এক। তাকে উপাধিমুক্ত হতে হবে এবং শ্রীকৃষ্ণে নিবিষ্ট হতে হবে। সর্বোপাধিবিনির্মুক্তং তৎপরত্বেন...তখন সে নির্মল হবে। নির্মল মানে পরিশুদ্ধ, কোন জাগতিক কলুষতা ছাড়াই। আমি আমার শরীরের ভিত্তিতে চিন্তা করছি, সেটা জাগতিক, কারণ শরীরটি জাগতিক। যতক্ষণ আমি চিন্তা করছি, " আমি আমেরিকান, আমি ভারতীয়, আমি ব্রাহ্মণ, আমি ক্ষত্রিয়, আমি এটা, আমি ওটা," এগুলো সব উপাধি। সেটা নির্মলম্‌ নয়, পবিত্র অবস্থা নয়। পবিত্র অবস্থা হচ্ছে যখন কেউ বোঝে যে আমি চিন্ময় আত্মা, শ্রীকৃষ্ণ হচ্ছেন পরমাত্মা, এবং আমি হচ্ছি তার অবিচ্ছেদ্য অংশ। আমরা গুণগতভাবে এক। আমরা ব্যক্তি হিসেবে আলাদা হতে পারি। শ্রীকৃষ্ণ একজন বিশাল ব্যক্তিত্ব। আমি ক্ষুদ্র ব্যক্তি। ঠিক যেমন এই জড় জগতেও, একজন ব্যক্তি খুব শক্তিশালী। অন্য ব্যক্তি কম শক্তিশালী। কিন্তু তারা দুজনেই ব্যক্তি। তারা পশু নয়। একইরকমভাবে, শ্রী কৃষ্ণ, ভগবান গুণগতভাবে আমার সাথে এক। পরিমাণগতভাবে তিনি অনেক, অনেক শক্তিশালী।